সৌগত বসু, ঢাকা
চলতি বছরের ১৯ মার্চ সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে একটি বাস। এতে বাসটির চালক, তাঁর সহকারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে তদন্তে দেখা যায়, খুলনার ফুলতলা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের এই বাসের রুট পারমিট ছিল না। শুধু ইমাদ পরিবহন নয়, এ রকম অনেক কোম্পানিই রুট পারমিট ছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চালাচ্ছে। এতে রাস্তায় যানজট যেমন বাড়ছে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
২০২২ সালে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়। শুরুতে যেসব বাস মাওয়া হয়ে পদ্মা পার হতো, সেগুলো পদ্মা সেতু ব্যবহার করে। পরে গাবতলী হয়ে দক্ষিণবঙ্গে চলাচলকারী বাসগুলোও পদ্মা সেতু ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু এসব বাসের ওই পথে চলাচলের কোনো অনুমতি নেই।
জানা গেছে, রাজধানীতে যানজটের কথা চিন্তা করে পদ্মা সেতুর পথে নতুন করে রুট পারমিট না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) অনুরোধ জানিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক চিঠিতে এই অনুরোধ করে ডিএসসিসি। এরপর থেকে বিআরটিএ ওই পথে নতুন করে কোনো বাস চলাচলের অনুমোদন দেয়নি।
বিআরটিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাজারের ওপরে বাসের আবেদন জমা আছে। সেগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রুট পারমিট দেওয়া বন্ধ আছে। এটা একটা ভালো চিন্তা থেকেই করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে যদি গাবতলী বা মহাখালী থেকে বাস ওই অঞ্চলে চলাচল করে, তবে শহরে যানজট বাড়বে।
তবে বিআরটিএ অনুমতি না দিলেও অনেক বাস রুট পারমিট ছাড়াই চলছে। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া অনেক বাস হানিফ ফ্লাইওভার পার করে পদ্মা সেতুর দিকে ছুটছে। শুধু তা-ই নয়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার সঙ্গে এখন সরাসরি বাস সার্ভিসও চালু হয়েছে।
গাবতলী থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী পূর্বাশা পরিবহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে চুয়াডাঙ্গায় যেত। সম্প্রতি এই কোম্পানির বাস রাজধানীর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াত করছে। গাবতলী থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বেশির ভাগ বাস রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে যাচ্ছে। এতে রাজধানীতে বেড়েছে যানজট।
এ বিষয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন চায়, যেন যানজট না হয়। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন এটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দেখবে বা ব্যবস্থা নেবে। আগামী মাসেই সায়েদাবাদে নতুন করে টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে। তখন এই সমস্যার সমাধান হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগেই কিছু কিছু বাস সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যেত। সেগুলো এখনো যাচ্ছে। এই বাইরে সায়েদাবাদে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ১২টা কোম্পানির বাস লালবাগ, ফুলবাড়িয়া অঞ্চলে থেকে ছেড়ে যেত। এটা সাঈদ খোকনের সময় থেকেই যাচ্ছে।
রুট পারমিট ছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ। ২০২২ সালের ২৮ জুন এক চিঠিতে দক্ষিণাঞ্চলের সব মালিক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এনায়েত উল্ল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা কর্তৃপক্ষ দেখবে। যারা রুট পারমিট ছাড়া চলাচল করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে একটি বাস। এতে বাসটির চালক, তাঁর সহকারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে তদন্তে দেখা যায়, খুলনার ফুলতলা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের এই বাসের রুট পারমিট ছিল না। শুধু ইমাদ পরিবহন নয়, এ রকম অনেক কোম্পানিই রুট পারমিট ছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চালাচ্ছে। এতে রাস্তায় যানজট যেমন বাড়ছে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
২০২২ সালে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়। শুরুতে যেসব বাস মাওয়া হয়ে পদ্মা পার হতো, সেগুলো পদ্মা সেতু ব্যবহার করে। পরে গাবতলী হয়ে দক্ষিণবঙ্গে চলাচলকারী বাসগুলোও পদ্মা সেতু ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু এসব বাসের ওই পথে চলাচলের কোনো অনুমতি নেই।
জানা গেছে, রাজধানীতে যানজটের কথা চিন্তা করে পদ্মা সেতুর পথে নতুন করে রুট পারমিট না দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) অনুরোধ জানিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক চিঠিতে এই অনুরোধ করে ডিএসসিসি। এরপর থেকে বিআরটিএ ওই পথে নতুন করে কোনো বাস চলাচলের অনুমোদন দেয়নি।
বিআরটিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাজারের ওপরে বাসের আবেদন জমা আছে। সেগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রুট পারমিট দেওয়া বন্ধ আছে। এটা একটা ভালো চিন্তা থেকেই করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে যদি গাবতলী বা মহাখালী থেকে বাস ওই অঞ্চলে চলাচল করে, তবে শহরে যানজট বাড়বে।
তবে বিআরটিএ অনুমতি না দিলেও অনেক বাস রুট পারমিট ছাড়াই চলছে। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া অনেক বাস হানিফ ফ্লাইওভার পার করে পদ্মা সেতুর দিকে ছুটছে। শুধু তা-ই নয়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার সঙ্গে এখন সরাসরি বাস সার্ভিসও চালু হয়েছে।
গাবতলী থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী পূর্বাশা পরিবহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে চুয়াডাঙ্গায় যেত। সম্প্রতি এই কোম্পানির বাস রাজধানীর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াত করছে। গাবতলী থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বেশির ভাগ বাস রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে যাচ্ছে। এতে রাজধানীতে বেড়েছে যানজট।
এ বিষয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন চায়, যেন যানজট না হয়। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন এটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দেখবে বা ব্যবস্থা নেবে। আগামী মাসেই সায়েদাবাদে নতুন করে টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে। তখন এই সমস্যার সমাধান হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগেই কিছু কিছু বাস সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যেত। সেগুলো এখনো যাচ্ছে। এই বাইরে সায়েদাবাদে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ১২টা কোম্পানির বাস লালবাগ, ফুলবাড়িয়া অঞ্চলে থেকে ছেড়ে যেত। এটা সাঈদ খোকনের সময় থেকেই যাচ্ছে।
রুট পারমিট ছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ। ২০২২ সালের ২৮ জুন এক চিঠিতে দক্ষিণাঞ্চলের সব মালিক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এনায়েত উল্ল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা কর্তৃপক্ষ দেখবে। যারা রুট পারমিট ছাড়া চলাচল করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে