মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
৫৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। নোয়াখালীসহ পাশের জেলা ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের প্রায় ছয় হাজার ছাত্রী মহাবিদ্যালয়টিতে পড়ছেন। এ ছাড়া শিক্ষক ও হোস্টেলে শয্যাসহ নানা সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও অফিস কার্যক্রম চলাকালে একাধিকবার পলেস্তারা খসে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে শিক্ষকসংকটও। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ ৪৫টি পদ রয়েছে এখানে; যার মধ্যে ১৬টি পদই কয়েক বছর ধরে শূন্য পড়ে আছে।
জেলার মেয়েদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে ১৯৭০ সালে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি বিজ্ঞান ভবন, একটি একাডেমিক ও একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তবে ভবনগুলো জরাজীর্ণ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটিতে বিএ, বিবিএস ও বিএসএস স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বাংলা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইংরেজি, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। পরীক্ষার কেন্দ্রও হিসেবে ব্যবহার করা হয় প্রতিষ্ঠানটির কক্ষগুলো। বর্তমানে পাঠদানসহ সব কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ চার তলাবিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন এবং তিনতলার একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে। ছাত্রী অনুযায়ী ৩০টি কক্ষের বিপরীতে পাঠদান করানো হয় মাত্র ১০টিতে।
সরেজমিনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিকের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলাকালে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবের ছাদ থেকে পলেস্তারার বড় একটি অংশ খসে পড়ে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই কক্ষে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ প্রতিটি কক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানানো হয়। তবু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই একরকম বাধ্য হয়ে আমরা ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিয়ে নিচ্ছি।’
এদিকে ছাত্রীদের আবাসিকেও সংকট। দুটি হোস্টেল ভবনের মধ্যে ২০০৫ সালে একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ১০০ শয্যার হোস্টেলে গাদাগাদি করে থাকছেন দেড় শ ছাত্রী।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম ভবন ও শিক্ষকসংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশলীর একটি দল পরিদর্শন করেছে।’
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপংকর খীসা বলেন, ‘ইতিমধ্যে কলেজটির ছয় তলাবিশিষ্ট একটি বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
৫৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। নোয়াখালীসহ পাশের জেলা ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের প্রায় ছয় হাজার ছাত্রী মহাবিদ্যালয়টিতে পড়ছেন। এ ছাড়া শিক্ষক ও হোস্টেলে শয্যাসহ নানা সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও অফিস কার্যক্রম চলাকালে একাধিকবার পলেস্তারা খসে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে শিক্ষকসংকটও। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ ৪৫টি পদ রয়েছে এখানে; যার মধ্যে ১৬টি পদই কয়েক বছর ধরে শূন্য পড়ে আছে।
জেলার মেয়েদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে ১৯৭০ সালে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি বিজ্ঞান ভবন, একটি একাডেমিক ও একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তবে ভবনগুলো জরাজীর্ণ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটিতে বিএ, বিবিএস ও বিএসএস স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বাংলা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইংরেজি, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। পরীক্ষার কেন্দ্রও হিসেবে ব্যবহার করা হয় প্রতিষ্ঠানটির কক্ষগুলো। বর্তমানে পাঠদানসহ সব কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ চার তলাবিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন এবং তিনতলার একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে। ছাত্রী অনুযায়ী ৩০টি কক্ষের বিপরীতে পাঠদান করানো হয় মাত্র ১০টিতে।
সরেজমিনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিকের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলাকালে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবের ছাদ থেকে পলেস্তারার বড় একটি অংশ খসে পড়ে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই কক্ষে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ প্রতিটি কক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানানো হয়। তবু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই একরকম বাধ্য হয়ে আমরা ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিয়ে নিচ্ছি।’
এদিকে ছাত্রীদের আবাসিকেও সংকট। দুটি হোস্টেল ভবনের মধ্যে ২০০৫ সালে একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ১০০ শয্যার হোস্টেলে গাদাগাদি করে থাকছেন দেড় শ ছাত্রী।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম ভবন ও শিক্ষকসংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশলীর একটি দল পরিদর্শন করেছে।’
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপংকর খীসা বলেন, ‘ইতিমধ্যে কলেজটির ছয় তলাবিশিষ্ট একটি বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে