লালমনিরহাট ও নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। অনেক সময় যানবাহনের হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শীতে ঠিকমতো কাজে বের হতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
নাগেশ্বরী: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শীতে বেশি বিপদে পড়েছেন গ্রাম ও চরাঞ্চলের গরিব মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যা না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাট-বাজারের দোকানপাট।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহিন মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা যায় না। এ ছাড়া সড়কে যাত্রী নাই, ফলে আয় কমে গেছে তাঁদের।’
একই এলাকার কৃষিশ্রমিক ইয়াকুব আলী ও আবুল হোসেন বলেন, ‘কুয়াশা আর শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। কাজে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে সমস্যা হয়, হাত-পা জমে যাওয়ার অবস্থা, আয়ও ভালো হয় না।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঠান্ডাজনিত রোগ বিশেষ করে জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ সাধ্যের মধ্যে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌসুমভিত্তিক দোকানগুলোয় শীতের কাপড় কেনা-বেচা বেশি হচ্ছে।
ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়েটারের দাম ১০০-২০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ৪০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়ের ফুটপাতের দোকানদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এ ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচাকেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড়সহ সব ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যায়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, জেলায় এই পর্যন্ত সরকারিভাবে প্রায় ২৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে জানান, গত তিন দিন থেকে জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকলেও মধ্যরাত থেকেই মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। গতকাল সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। অনেক সময় যানবাহনের হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শীতে ঠিকমতো কাজে বের হতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
নাগেশ্বরী: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শীতে বেশি বিপদে পড়েছেন গ্রাম ও চরাঞ্চলের গরিব মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সন্ধ্যা না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাট-বাজারের দোকানপাট।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহিন মিয়া বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা যায় না। এ ছাড়া সড়কে যাত্রী নাই, ফলে আয় কমে গেছে তাঁদের।’
একই এলাকার কৃষিশ্রমিক ইয়াকুব আলী ও আবুল হোসেন বলেন, ‘কুয়াশা আর শীতের কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। কাজে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে সমস্যা হয়, হাত-পা জমে যাওয়ার অবস্থা, আয়ও ভালো হয় না।’
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঠান্ডাজনিত রোগ বিশেষ করে জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ সাধ্যের মধ্যে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌসুমভিত্তিক দোকানগুলোয় শীতের কাপড় কেনা-বেচা বেশি হচ্ছে।
ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়েটারের দাম ১০০-২০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ৪০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড়ের ফুটপাতের দোকানদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এ ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচাকেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড়সহ সব ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যায়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, জেলায় এই পর্যন্ত সরকারিভাবে প্রায় ২৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে জানান, গত তিন দিন থেকে জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকলেও মধ্যরাত থেকেই মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। গতকাল সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে