সাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ঘুষের টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. গিয়াস উদ্দিন নামের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। টাকা দিতে না পারায় ভূমিহীনদের বাদ দিয়ে জনপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধনীদের ঘর দেওয়া হয়েছে।
আর এই কাজে সম্পদশালী ব্যক্তিদের ভূমিহীন সনদ দিয়ে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার সাহতা ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চল এবং একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ।
সাহতা ইউনিয়নের বড়গাঁওয়া গ্রামের মো. মন্নাফ মিয়া, আমেনা আক্তার ও গোপালপুর গ্রামের আক্কাছ মিয়া এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ২ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন। বারহাট্টার ইউএনও এস এম মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বড়গাঁওয়া গ্রামের মো. মন্নাফ মিয়া, আমেনা আক্তার এবং গোপালপুর গ্রামের আক্কাছ মিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমরা তিনজনই ভূমিহীন। অন্যের বাড়িতে থাকি। আশ্রয়ণের ঘরের জন্য আবেদন করার পর স্থানীয় সাহতা ইউপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন আমাদের কাছে ঘরপ্রতি ৩০ হাজার করে টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি বলেন, লটারিতে তোমাদের ঘর আসেনি। তাই তোমরা ঘর পাবে না। অথচ বাড়ি ও কৃষিজমি থাকা সত্ত্বেও আমাদের এলাকার প্রশন্ন চন্দ্র বর্মণ ও রতন চন্দ্র বর্মণকে ঘর দেওয়া হয়েছে।’ এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগকারী মো. মন্নাফ মিয়া বলেন, ‘প্রথমে এ বিষয়ে আমরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছিলাম। তিনি সাহতা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিউটি রানী সাহাকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
সাহতা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিউটি রানী সাহা তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি ঘর পাওয়া প্রশন্ন চন্দ্র বর্মণের ৫ শতাংশ এবং রতন চন্দ্র বর্মণের ১০ শতাংশ বসতবাড়ি আছে বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি ১৫ শতাংশ চাষাবাদের জমি কিনেছেন, তবে দলিল করেননি বলে এলাকাবাসী জানান—এমন প্রতিবেদনও তিনি দাখিল করেন।
উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ইউপি সদস্যের তো সরকারি ঘর দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এসব অভিযোগ মিথ্যা। আর যারা ঘর পেয়েছে, তারা নিতান্তই গরিব মানুষ। দিন আনে দিন খায়। তারা টাকা দেবে কেমনে। অভিযোগের বিষয়টি ইউএনও স্যার নিজে তদন্ত করেছেন। কিন্তু কোনো সত্যতা পাননি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চল বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর তদন্ত হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
বারহাট্টা উপজেলার ইউএনও এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর আগেও একই বিষয়ে আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছিল। তদন্ত করে সেটির সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ঘুষের টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. গিয়াস উদ্দিন নামের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। টাকা দিতে না পারায় ভূমিহীনদের বাদ দিয়ে জনপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধনীদের ঘর দেওয়া হয়েছে।
আর এই কাজে সম্পদশালী ব্যক্তিদের ভূমিহীন সনদ দিয়ে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার সাহতা ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চল এবং একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ।
সাহতা ইউনিয়নের বড়গাঁওয়া গ্রামের মো. মন্নাফ মিয়া, আমেনা আক্তার ও গোপালপুর গ্রামের আক্কাছ মিয়া এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর ২ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন। বারহাট্টার ইউএনও এস এম মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বড়গাঁওয়া গ্রামের মো. মন্নাফ মিয়া, আমেনা আক্তার এবং গোপালপুর গ্রামের আক্কাছ মিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমরা তিনজনই ভূমিহীন। অন্যের বাড়িতে থাকি। আশ্রয়ণের ঘরের জন্য আবেদন করার পর স্থানীয় সাহতা ইউপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন আমাদের কাছে ঘরপ্রতি ৩০ হাজার করে টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি বলেন, লটারিতে তোমাদের ঘর আসেনি। তাই তোমরা ঘর পাবে না। অথচ বাড়ি ও কৃষিজমি থাকা সত্ত্বেও আমাদের এলাকার প্রশন্ন চন্দ্র বর্মণ ও রতন চন্দ্র বর্মণকে ঘর দেওয়া হয়েছে।’ এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগকারী মো. মন্নাফ মিয়া বলেন, ‘প্রথমে এ বিষয়ে আমরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছিলাম। তিনি সাহতা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিউটি রানী সাহাকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
সাহতা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিউটি রানী সাহা তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি ঘর পাওয়া প্রশন্ন চন্দ্র বর্মণের ৫ শতাংশ এবং রতন চন্দ্র বর্মণের ১০ শতাংশ বসতবাড়ি আছে বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি ১৫ শতাংশ চাষাবাদের জমি কিনেছেন, তবে দলিল করেননি বলে এলাকাবাসী জানান—এমন প্রতিবেদনও তিনি দাখিল করেন।
উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ইউপি সদস্যের তো সরকারি ঘর দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এসব অভিযোগ মিথ্যা। আর যারা ঘর পেয়েছে, তারা নিতান্তই গরিব মানুষ। দিন আনে দিন খায়। তারা টাকা দেবে কেমনে। অভিযোগের বিষয়টি ইউএনও স্যার নিজে তদন্ত করেছেন। কিন্তু কোনো সত্যতা পাননি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চল বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর তদন্ত হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
বারহাট্টা উপজেলার ইউএনও এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর আগেও একই বিষয়ে আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছিল। তদন্ত করে সেটির সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে