তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রচারে মুখর হয়ে উঠছে পীরগাছা উপজেলা। তবে কেউই মানছেন না নির্বাচনী আচরণবিধি। নেচে-গেয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে প্রার্থীদের পক্ষে। বেলা দুইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণার নিয়ম থাকলেও কেউ মানছেন না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচার। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানোর নিয়ম থাকলেও মানা হচ্ছে না।
অপর দিকে, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মিছিল যেন নিত্য দিনের চিত্র। হোটেল-রেস্তোরাঁয় চলছে ভোটারদের আপ্যায়ন। পাড়ার দোকানগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চা-পান, সিগারেট দিয়ে ভোট প্রার্থনা।
গত রোববার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাড়ার দোকানগুলোতে মানুষের জটলা। প্রার্থীরা আসবেন জেনে বসে আছেন ভোটাররা। গানে গানে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভোটারদের সকালের নাশতা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা। চলছে বাড়ির আঙিনা ও উঠান বৈঠকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা। সরকারি-বেসরকারি, ব্যক্তিমালিকানা ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ ঘরের দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টার। গাছপালাও রক্ষা পায়নি পোস্টারের হাত থেকে। অধিকাংশ প্রার্থীরাই রাত ১১-১২টা পর্যন্ত উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে নির্বাচনী সভা করছেন।
কথা হয় ফজলুল হক নামের এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর প্রার্থীদের আর দেখা পাওয়া যায় না। ভোট পার হলেই কেউ চেনে না। তাই ভোটারের স্বভাব-চরিত্র পাল্টেছে। টাকা ছাড়া কেউ মুখ খুলতে রাজি না। কে হারবে, আর কে জিতবে তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ভোটারদের।’
পীরগাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে চলে প্রচার-প্রচারণা। এতে পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট হয়।
কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, দিনের বেলা সবাইকে বাড়িতে পাওয়া যায় না। তাই রাতে প্রচার চালানো হচ্ছে। আচরণবিধির বিষয়ে তাঁরা জানান, সবাই যে ভাবে করছে, তাঁরাও সেভাবে করছেন।
পীরগাছার আটটি ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন চারজন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকী, মৎস্য কর্মকর্তা হাকিবুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এনামুল হক ও শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।
কথা হলে তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, আচরণবিধির বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু’একদিনের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে কাজ করবে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউপিতে আগামী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রচারে মুখর হয়ে উঠছে পীরগাছা উপজেলা। তবে কেউই মানছেন না নির্বাচনী আচরণবিধি। নেচে-গেয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে প্রার্থীদের পক্ষে। বেলা দুইটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণার নিয়ম থাকলেও কেউ মানছেন না। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচার। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানোর নিয়ম থাকলেও মানা হচ্ছে না।
অপর দিকে, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মিছিল যেন নিত্য দিনের চিত্র। হোটেল-রেস্তোরাঁয় চলছে ভোটারদের আপ্যায়ন। পাড়ার দোকানগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চা-পান, সিগারেট দিয়ে ভোট প্রার্থনা।
গত রোববার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাড়ার দোকানগুলোতে মানুষের জটলা। প্রার্থীরা আসবেন জেনে বসে আছেন ভোটাররা। গানে গানে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভোটারদের সকালের নাশতা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা। চলছে বাড়ির আঙিনা ও উঠান বৈঠকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা। সরকারি-বেসরকারি, ব্যক্তিমালিকানা ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ ঘরের দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টার। গাছপালাও রক্ষা পায়নি পোস্টারের হাত থেকে। অধিকাংশ প্রার্থীরাই রাত ১১-১২টা পর্যন্ত উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে নির্বাচনী সভা করছেন।
কথা হয় ফজলুল হক নামের এক ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর প্রার্থীদের আর দেখা পাওয়া যায় না। ভোট পার হলেই কেউ চেনে না। তাই ভোটারের স্বভাব-চরিত্র পাল্টেছে। টাকা ছাড়া কেউ মুখ খুলতে রাজি না। কে হারবে, আর কে জিতবে তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ভোটারদের।’
পীরগাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে চলে প্রচার-প্রচারণা। এতে পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট হয়।
কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, দিনের বেলা সবাইকে বাড়িতে পাওয়া যায় না। তাই রাতে প্রচার চালানো হচ্ছে। আচরণবিধির বিষয়ে তাঁরা জানান, সবাই যে ভাবে করছে, তাঁরাও সেভাবে করছেন।
পীরগাছার আটটি ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন চারজন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকী, মৎস্য কর্মকর্তা হাকিবুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এনামুল হক ও শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।
কথা হলে তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, আচরণবিধির বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু’একদিনের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে কাজ করবে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউপিতে আগামী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে