নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী এবং সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
শুরুতে আমের দাম হয় চড়া। ধীরে ধীরে তা কমে আসে। প্রায় প্রতিবছর এমনটিই হয়। বাজারে আম বিক্রির জন্য শুরুতে যাঁরা যাবেন, লাভের অঙ্ক তাঁদের বেশি হবে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আম পাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দেরিতে গাছ থেকে নামানো শুরু করায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা।
আর রাজশাহীতে মাত্র দুজন ব্যবসায়ীর অনুরোধে এবার জেলার ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ ৯ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলার বাদবাকি কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ছাড়াই আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
সাতক্ষীরায় গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়া শুরু হয়। কিন্তু আম পেকে যাওয়া ও ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গোপালভোগ, গোবিন্দভোগসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া হচ্ছে এই জেলায়।
উৎপাদন ভালো হলেও আম সংগ্রহের নির্ধারিত তারিখ নিয়ে অখুশি জেলার চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, সাতক্ষীরার আম আগে পাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ‘খামখেয়ালিপনা’য় আম ভাঙার তারিখ পরে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৭ থেকে ১৮ দিন পর্যন্ত আম পাড়ার তারিখ এগিয়ে এনেছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে পারকুখরালী এলাকার আমচাষি ও ব্যবসায়ী মোকসেদ আলী বলেন, উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় সাতক্ষীরার আম আগেভাগে পাকে।
অথচ সাতক্ষীরায় আম ভাঙার তারিখ ছিল ১২ মে। যেখানে রাজশাহীর মতো অ-উপকূলীয় জেলায় আম ভাঙা শুরু হয়েছে ৪ মে। সদর উপজেলার মথুরেশপুর এলাকার আমচাষি আব্দুল আওয়াল বলেন, এবার আম পাড়ার তারিখ যেভাবে পেছানো হয়েছে, তাতে সাতক্ষীরার আমের বাজার ধরা যাবে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পরে বাস্তবতার নিরিখে আম পাড়ার দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। এদিকে নিজেদের গাছের আম আগেভাগেই পেকেছে জানিয়ে কৃষি বিভাগকে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ এগিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাজশাহীর দুই ব্যবসায়ী। তাঁদের একজন ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের ধার না ধেরে এক দিন আগেই বাগানের আম নামিয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছেন বিদেশে পাঠানোর জন্য।
শফিকুল ইসলাম নামের এই ব্যক্তি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বাগান থেকে ৩ মে আম পাড়েন। সেদিনই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং-সংক্রান্ত সভা হয়। ওই সভায় পরদিন ৪ মে থেকেই গুটি জাতের আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সভায় ৪ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার তারিখ ঠিক করা হলেও রাজশাহীর বেশির ভাগ গাছে আম পাকা দেখা দেয়নি। দু-একটি গাছ এর ব্যতিক্রম।
আম পাড়ার সময় নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয় কী ছিল, তা জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বাঘা ও চারঘাট উপজেলার দুই ব্যবসায়ীর বাগানের আম পাকার উদাহরণ দেন।
কৃষি বিভাগ যে আরেক ব্যবসায়ীর অনুরোধ রেখেছে, তাঁর নাম গোলাম মোস্তফা। বাড়ি চারঘাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে।
যোগাযোগ করা হলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার বাগানের আম বৈশাখের ১০ তারিখ পার হলেই পেকে যায়। আমি ৪ তারিখে ৫০ মণ আম নামিয়ে রেখেছি। ৩-৪ দিন পর বাজারে পাঠাব।’
রাজশাহী-চাঁপাই অ্যাগ্রো ফুড প্রডিউসারের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমার নিজের ৫০ বিঘা জমিতে আমবাগান আছে। ৪ মে আম নামিয়ে দেখেছি। পাকতে আরও ১০ দিন অন্তত লাগবে। প্রথমে যাঁরা বাজারে যাবেন, তাঁরা ভালো দাম পাবেন। আমরা পুষ্ট আম পরে বাজারে নিলে ভালো দাম পাব না।’
আনোয়ারুল আরও বলছেন, গত বছর গুটি আম নামানোর সময় শুরু হয়েছিল ১৩ মে থেকে। সময়টা ঠিকই ছিল। সময় ঠিক করার আগে সভায় তাঁদের ডাকাও হয়েছিল। তাঁরা মতামত দিয়েছিলেন। এবার ডাকা হয়নি।
‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ এগিয়ে আসার ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘যে চাষির আম আগে পাকবে, তিনি ক্যালেন্ডারের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই এগিয়ে আনাটা ঠিক হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারও থাকছে না ক্যালেন্ডার
আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত দুই বছরের মতো এবারও থাকছে না আম পাড়ার ক্যালেন্ডার বা সময়সূচি। আমচাষি, কৃষক, উদ্যোক্তা ও আম রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এতে বিভিন্ন জাতের আম পাকলেই গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করতে পারবেন আমচাষিরা।
শুরুতে আমের দাম হয় চড়া। ধীরে ধীরে তা কমে আসে। প্রায় প্রতিবছর এমনটিই হয়। বাজারে আম বিক্রির জন্য শুরুতে যাঁরা যাবেন, লাভের অঙ্ক তাঁদের বেশি হবে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আম পাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে দেরিতে গাছ থেকে নামানো শুরু করায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা।
আর রাজশাহীতে মাত্র দুজন ব্যবসায়ীর অনুরোধে এবার জেলার ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ ৯ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলার বাদবাকি কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ছাড়াই আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
সাতক্ষীরায় গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়া শুরু হয়। কিন্তু আম পেকে যাওয়া ও ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই গোপালভোগ, গোবিন্দভোগসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া হচ্ছে এই জেলায়।
উৎপাদন ভালো হলেও আম সংগ্রহের নির্ধারিত তারিখ নিয়ে অখুশি জেলার চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, সাতক্ষীরার আম আগে পাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ‘খামখেয়ালিপনা’য় আম ভাঙার তারিখ পরে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৭ থেকে ১৮ দিন পর্যন্ত আম পাড়ার তারিখ এগিয়ে এনেছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে পারকুখরালী এলাকার আমচাষি ও ব্যবসায়ী মোকসেদ আলী বলেন, উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় সাতক্ষীরার আম আগেভাগে পাকে।
অথচ সাতক্ষীরায় আম ভাঙার তারিখ ছিল ১২ মে। যেখানে রাজশাহীর মতো অ-উপকূলীয় জেলায় আম ভাঙা শুরু হয়েছে ৪ মে। সদর উপজেলার মথুরেশপুর এলাকার আমচাষি আব্দুল আওয়াল বলেন, এবার আম পাড়ার তারিখ যেভাবে পেছানো হয়েছে, তাতে সাতক্ষীরার আমের বাজার ধরা যাবে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পরে বাস্তবতার নিরিখে আম পাড়ার দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। এদিকে নিজেদের গাছের আম আগেভাগেই পেকেছে জানিয়ে কৃষি বিভাগকে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ এগিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাজশাহীর দুই ব্যবসায়ী। তাঁদের একজন ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারের ধার না ধেরে এক দিন আগেই বাগানের আম নামিয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছেন বিদেশে পাঠানোর জন্য।
শফিকুল ইসলাম নামের এই ব্যক্তি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বাগান থেকে ৩ মে আম পাড়েন। সেদিনই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং-সংক্রান্ত সভা হয়। ওই সভায় পরদিন ৪ মে থেকেই গুটি জাতের আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সভায় ৪ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার তারিখ ঠিক করা হলেও রাজশাহীর বেশির ভাগ গাছে আম পাকা দেখা দেয়নি। দু-একটি গাছ এর ব্যতিক্রম।
আম পাড়ার সময় নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয় কী ছিল, তা জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বাঘা ও চারঘাট উপজেলার দুই ব্যবসায়ীর বাগানের আম পাকার উদাহরণ দেন।
কৃষি বিভাগ যে আরেক ব্যবসায়ীর অনুরোধ রেখেছে, তাঁর নাম গোলাম মোস্তফা। বাড়ি চারঘাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে।
যোগাযোগ করা হলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার বাগানের আম বৈশাখের ১০ তারিখ পার হলেই পেকে যায়। আমি ৪ তারিখে ৫০ মণ আম নামিয়ে রেখেছি। ৩-৪ দিন পর বাজারে পাঠাব।’
রাজশাহী-চাঁপাই অ্যাগ্রো ফুড প্রডিউসারের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমার নিজের ৫০ বিঘা জমিতে আমবাগান আছে। ৪ মে আম নামিয়ে দেখেছি। পাকতে আরও ১০ দিন অন্তত লাগবে। প্রথমে যাঁরা বাজারে যাবেন, তাঁরা ভালো দাম পাবেন। আমরা পুষ্ট আম পরে বাজারে নিলে ভালো দাম পাব না।’
আনোয়ারুল আরও বলছেন, গত বছর গুটি আম নামানোর সময় শুরু হয়েছিল ১৩ মে থেকে। সময়টা ঠিকই ছিল। সময় ঠিক করার আগে সভায় তাঁদের ডাকাও হয়েছিল। তাঁরা মতামত দিয়েছিলেন। এবার ডাকা হয়নি।
‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ এগিয়ে আসার ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘যে চাষির আম আগে পাকবে, তিনি ক্যালেন্ডারের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই এগিয়ে আনাটা ঠিক হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারও থাকছে না ক্যালেন্ডার
আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত দুই বছরের মতো এবারও থাকছে না আম পাড়ার ক্যালেন্ডার বা সময়সূচি। আমচাষি, কৃষক, উদ্যোক্তা ও আম রপ্তানিকারকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এতে বিভিন্ন জাতের আম পাকলেই গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করতে পারবেন আমচাষিরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে