এমাম হোসেন, দাগনভূঞা (ফেনী)
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের স্মরণে নির্মিত গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি ১৪ বছর পরও প্রাণহীন রয়ে গেছে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাস এলে তাঁর স্মরণে কর্মতৎপরতা বাড়লেও বাকি ১১ মাস স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি ঘিরে লোকজনের উপস্থিতি থাকে খুবই কম।
জানা যায়, ১৯২৫ সালে ২৭ নভেম্বর ফেনী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আব্দুস সালাম। স্থানীয় মাতুভূঞা করমুল্যা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণী পাস করে দাগনভূঞা কামাল আতাতুর্ক উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ সময় জ্যাঠাতো ভাই হাবীবের সহযোগিতায় ঢাকার মতিঝিলে একটি প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরিতে যোগদান করেন।
বাহান্নর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কয়েক দিনের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরেন সালাম। তখন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা উত্তাল। ছাত্র-জনতার আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে তৎকালীন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গেলে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, সফিকসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। অন্যদের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ সালামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের নামে তাঁর গ্রাম লক্ষ্মণপুর (পরে পরিবর্তন করে গ্রামের নামকরণ হয় সালাম নগর) সালামের বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১২ শতক জমির ওপর সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়।
গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ৫ হাজার মূল্যবান বই রয়েছে। ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শহীদ আব্দুস সালামের ভাতিজি খাদিজা বেগমকে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু দায়িত্বে অবহেলার কারণে খাদিজা বেগমকে প্রত্যাহার করে ২০২০ সালে লুৎফুর রহমান বাবলুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। গ্রন্থাগারিক লুৎফুর রহমান বাবলু জানান, বর্তমানে এখানে ৩ হাজার ৫০০ বই রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৪-৫ জন পাঠক এখানে বই পড়তে আসেন। দর্শনার্থী আসেন গড়ে ৭-৮ জন।
নারী নির্যাতন মামলা থাকায় গ্রন্থাগারের নৈশ প্রহরী শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন। জেলা পরিষদের নির্দেশে তাঁর স্থলে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরই ছেলে শেখ রাসেল।
পাশেই স্থাপিত লক্ষ্মণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নাম বদলে পরে ভাষাশহীদ সালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজি ইফতেখারুল আলাম বলেন, সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি জমজমাট করে তুলতে পাশের খালটিকে কেন্দ্র করে বিনোদনের জন্য পার্ক বা দৃষ্টিনন্দন কিছু স্থাপনা তৈরি করা হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। সালাম জাদুঘরে তাঁকে নিয়ে নির্মিত কিছু জিনিস রাখার দাবিও জানান তিনি।
দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল করিব রতন জানান, ‘সালামের গ্রামে ঢোকার পথে জাদুঘর ও লাইব্রেরিতে একটি নির্দেশিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করায় তা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।’
ফেনী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আবু দাউদ গোলাম মোস্তফা জানান, গ্রন্থাগারটি সরগরম রাখতে হলে আশপাশে কিছু স্থাপনা নির্মাণসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের স্মরণে নির্মিত গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি ১৪ বছর পরও প্রাণহীন রয়ে গেছে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাস এলে তাঁর স্মরণে কর্মতৎপরতা বাড়লেও বাকি ১১ মাস স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটি ঘিরে লোকজনের উপস্থিতি থাকে খুবই কম।
জানা যায়, ১৯২৫ সালে ২৭ নভেম্বর ফেনী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আব্দুস সালাম। স্থানীয় মাতুভূঞা করমুল্যা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণী পাস করে দাগনভূঞা কামাল আতাতুর্ক উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ সময় জ্যাঠাতো ভাই হাবীবের সহযোগিতায় ঢাকার মতিঝিলে একটি প্রতিষ্ঠানে পিয়নের চাকরিতে যোগদান করেন।
বাহান্নর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কয়েক দিনের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরেন সালাম। তখন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা উত্তাল। ছাত্র-জনতার আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে তৎকালীন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গেলে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, সফিকসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। অন্যদের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ সালামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।
ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের নামে তাঁর গ্রাম লক্ষ্মণপুর (পরে পরিবর্তন করে গ্রামের নামকরণ হয় সালাম নগর) সালামের বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১২ শতক জমির ওপর সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়।
গ্রন্থাগারটিতে প্রায় ৫ হাজার মূল্যবান বই রয়েছে। ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শহীদ আব্দুস সালামের ভাতিজি খাদিজা বেগমকে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু দায়িত্বে অবহেলার কারণে খাদিজা বেগমকে প্রত্যাহার করে ২০২০ সালে লুৎফুর রহমান বাবলুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। গ্রন্থাগারিক লুৎফুর রহমান বাবলু জানান, বর্তমানে এখানে ৩ হাজার ৫০০ বই রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৪-৫ জন পাঠক এখানে বই পড়তে আসেন। দর্শনার্থী আসেন গড়ে ৭-৮ জন।
নারী নির্যাতন মামলা থাকায় গ্রন্থাগারের নৈশ প্রহরী শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন। জেলা পরিষদের নির্দেশে তাঁর স্থলে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরই ছেলে শেখ রাসেল।
পাশেই স্থাপিত লক্ষ্মণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নাম বদলে পরে ভাষাশহীদ সালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজি ইফতেখারুল আলাম বলেন, সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি জমজমাট করে তুলতে পাশের খালটিকে কেন্দ্র করে বিনোদনের জন্য পার্ক বা দৃষ্টিনন্দন কিছু স্থাপনা তৈরি করা হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। সালাম জাদুঘরে তাঁকে নিয়ে নির্মিত কিছু জিনিস রাখার দাবিও জানান তিনি।
দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল করিব রতন জানান, ‘সালামের গ্রামে ঢোকার পথে জাদুঘর ও লাইব্রেরিতে একটি নির্দেশিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করায় তা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।’
ফেনী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আবু দাউদ গোলাম মোস্তফা জানান, গ্রন্থাগারটি সরগরম রাখতে হলে আশপাশে কিছু স্থাপনা নির্মাণসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে