রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
‘এই লেভেল ক্রসিং গেটে গেটম্যান নেই। নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে পারাপার হউন, দুর্ঘটনা ঘটিলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়’—এমন সাইনবোর্ড টাঙিয়েই দায় সেরেছে রেল কর্তৃপক্ষ। অরক্ষিত এমন অর্ধশতাধিক রেলক্রসিং রয়েছে গাজীপুরে। এগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সচেতন মহল।
গত বৃহস্পতিবার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ বাজারে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, একটু দূরেই ধেয়ে আসছে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন। সময় বাঁচাতে মো. আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবক রেল লাইন পার হচ্ছিলেন। একটু অসাবধানতার জন্য ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কথা হলে আসাদুল বলেন, গেটে গেটম্যান থাকলে প্রতিবন্ধক দেওয়া থাকত। পার হওয়ার উপায় থাকত না। গেটে প্রতিবন্ধক না থাকায় অনেকেই ট্রেন আসতে দেখেও পারাপার হন।
অরক্ষিত এসব রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝড়ে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হোক। এদিকে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল না থাকায় রেলক্রসিংগুলো অরক্ষিত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোতে গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হবে।
অপরদিকে, অনেক স্থানে গেটম্যান থাকলেও গেট প্রতিবন্ধক নেই। থাকলেও সেগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। আবার কোনোটিতে গেট আছে, গেট প্রতিবন্ধক আছে কিন্তু গেটম্যান নেই। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষজন।
গাজীপুর-রাজশাহী রেললাইনের গাজীপুর মহানগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘিয়া রেলক্রসিংয়ের পাশের একটি লোহার স্তম্ভে সাইনবোর্ডে লেখা, ‘সাবধানে এই লেভেল ক্রসিং পারাপার হন, গেটে গেটম্যান নাই, নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে ক্রসিং পারাপার হইবেন।’ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের টাঙানো এই সতর্ক বার্তাটির রং উঠে যাওয়ায় পড়তেও বেগ পেতে হয়।
গাজীপুর মহানগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় এমন অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের। অনতিবিলম্বে রেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান ও গেট প্রতিবন্ধকের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের কাওরাইদ বাজারের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ২০১০ সালে মুন্নী নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা যায়।’
বারেক মিয়া নামে একজন বলেন, আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। কখন ট্রেন এসে যায়। এই রেল ক্রসিং দিয়ে শত শত পরিবহন আর হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় এখানে একজন গেটম্যান খুবই জরুরি।
গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দা আবু নাছের জানান, ২০১৫ সালে এই ক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আট আরোহী মারা যান।
হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন বলেন, অরক্ষিত ক্রসিংগুলোতে শীতকালে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। তখন ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন আসছে কি না বোঝা যায় না। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান থাকা খুবই জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরীর আক্কাছ মার্কেট থেকে শুরু করে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অরক্ষিত রেলক্রসিং রয়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকেরা। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. রেজাউল করিম বলেন, গাজীপুরে এখনো বেশ কয়েকটি রেল ক্রসিং অরক্ষিত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রেলক্রসিংগুলোতে ইতিমধ্যে গেটম্যান দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাকিগুলোতেও পর্যায়ক্রমে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে, গাজীপুরের দায়িত্বে থাকা মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো সাবধানে পারাপার হতে হবে। রেললাইনের ওপর দিয়ে যত্রতত্র পারাপারের বিধান নেই। অনুমতি না নিয়ে কোনো ব্যক্তি রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটতেও পারবেন না, যদি হাঁটেন তাহলে গ্রেপ্তার ও দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘এই লেভেল ক্রসিং গেটে গেটম্যান নেই। নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে পারাপার হউন, দুর্ঘটনা ঘটিলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়’—এমন সাইনবোর্ড টাঙিয়েই দায় সেরেছে রেল কর্তৃপক্ষ। অরক্ষিত এমন অর্ধশতাধিক রেলক্রসিং রয়েছে গাজীপুরে। এগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সচেতন মহল।
গত বৃহস্পতিবার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ বাজারে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, একটু দূরেই ধেয়ে আসছে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন। সময় বাঁচাতে মো. আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবক রেল লাইন পার হচ্ছিলেন। একটু অসাবধানতার জন্য ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কথা হলে আসাদুল বলেন, গেটে গেটম্যান থাকলে প্রতিবন্ধক দেওয়া থাকত। পার হওয়ার উপায় থাকত না। গেটে প্রতিবন্ধক না থাকায় অনেকেই ট্রেন আসতে দেখেও পারাপার হন।
অরক্ষিত এসব রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝড়ে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হোক। এদিকে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল না থাকায় রেলক্রসিংগুলো অরক্ষিত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোতে গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হবে।
অপরদিকে, অনেক স্থানে গেটম্যান থাকলেও গেট প্রতিবন্ধক নেই। থাকলেও সেগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। আবার কোনোটিতে গেট আছে, গেট প্রতিবন্ধক আছে কিন্তু গেটম্যান নেই। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষজন।
গাজীপুর-রাজশাহী রেললাইনের গাজীপুর মহানগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘিয়া রেলক্রসিংয়ের পাশের একটি লোহার স্তম্ভে সাইনবোর্ডে লেখা, ‘সাবধানে এই লেভেল ক্রসিং পারাপার হন, গেটে গেটম্যান নাই, নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে ক্রসিং পারাপার হইবেন।’ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের টাঙানো এই সতর্ক বার্তাটির রং উঠে যাওয়ায় পড়তেও বেগ পেতে হয়।
গাজীপুর মহানগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় এমন অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের। অনতিবিলম্বে রেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান ও গেট প্রতিবন্ধকের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের কাওরাইদ বাজারের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ২০১০ সালে মুন্নী নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা যায়।’
বারেক মিয়া নামে একজন বলেন, আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। কখন ট্রেন এসে যায়। এই রেল ক্রসিং দিয়ে শত শত পরিবহন আর হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় এখানে একজন গেটম্যান খুবই জরুরি।
গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দা আবু নাছের জানান, ২০১৫ সালে এই ক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আট আরোহী মারা যান।
হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন বলেন, অরক্ষিত ক্রসিংগুলোতে শীতকালে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। তখন ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন আসছে কি না বোঝা যায় না। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান থাকা খুবই জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরীর আক্কাছ মার্কেট থেকে শুরু করে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অরক্ষিত রেলক্রসিং রয়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকেরা। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. রেজাউল করিম বলেন, গাজীপুরে এখনো বেশ কয়েকটি রেল ক্রসিং অরক্ষিত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রেলক্রসিংগুলোতে ইতিমধ্যে গেটম্যান দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাকিগুলোতেও পর্যায়ক্রমে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে, গাজীপুরের দায়িত্বে থাকা মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো সাবধানে পারাপার হতে হবে। রেললাইনের ওপর দিয়ে যত্রতত্র পারাপারের বিধান নেই। অনুমতি না নিয়ে কোনো ব্যক্তি রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটতেও পারবেন না, যদি হাঁটেন তাহলে গ্রেপ্তার ও দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে