ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের মুন্সিকান্দিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০টি পরিবারের বসবাস। এ প্রকল্পের ১১ নম্বর ঘরে বসবাস করেন বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের পাশে তিনি নির্মাণ করেছেন একটি ছোট্ট মুদি দোকান। এতে ঘুরেছে তাঁর ভাগ্যের চাকা। এখন তিনি স্বাবলম্বী।
মনোয়ারা বেগমের ভিটেমাটি ছিল কুমিল্লার পার্কের চরে। কিন্তু প্রায় দুই যুগ আগে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভূমিহীন হন। পরে ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন এই ডিএমখালি এলাকায়। এখানে একজনের জায়গায় ঘর তুলে থাকতেন। পরেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তিনি এই সরকারি ঘর পান। এতে তাঁর থাকা নিয়ে ভাবনা দূর হয়। আর একটু রোজগারের জন্য ঘরের সঙ্গেই তিনি দেন ওই মুদি দোকান। প্রতিদিন তাঁর দোকানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার নানা পণ্য বিক্রি হয়। এই দোকানের আয় দিয়ে সংসারের খরচ চালান। আর তাঁর একমাত্র মেয়ের দিকের নাতনি মাদ্রাসায় পড়ান।
মনোয়ারার এই উদ্যোগ দেখে একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা আল আমিন একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ করছেন সবজি চাষ। হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে পশু-পাখি পালন শুরু করেছেন অনেকে। এভাবেই বদলে যাচ্ছে প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবনচিত্র।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সারু মুন্সি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। তিনি আমাদের জীবনের স্বপ্নের বিল্ডিং ঘরে থাকতে দিছেন। আর মনোয়ারা আপা নিজেই তাঁর ঘরের সঙ্গে দোকান দিছেন। আমাদের কিছু কিনতে হলে বাজারে যেতে হয় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাহালম পাজুরী বলেন, ‘মনোয়ারা থেমে নেই। তিনি তাঁর সংগ্রামী জীবনে সফল হতে চান। আমরা তাঁর দোকানে মাঝেমধ্যে কেনাকাটা করি। প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়েছেন। আশা করি, এখন এঁদের কর্মসংস্থান ও স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
ডিএমখালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু ব্যাপারী বলেন, ‘মনোয়ারা আপার মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে। এখন তিনি পাকা ঘরে থাকেন। দেখলাম, তিনি সেখানে তাঁর ঘরের সঙ্গে একটি দোকান দিছেন। এটা ভালো উদ্যোগ। কর্ম করে খাওয়া আমাদের সকলের জন্য মঙ্গল।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ বলেন, ‘আমরা মোট ৬২৫ জন ভূমি ও গৃহহীনকে ঘর দেব। এ পর্যন্ত ৫০৭টি ঘর হস্তান্তর করতে পেরেছি। ডিএমখালি মুন্সিকান্দিতে ৩০টি ঘর করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডিসি স্যার ডিএমখালির এই প্রকল্প পরিদর্শন করেন, সেদিন দেখলাম মনোয়ারা নামের ওই বাসিন্দা তাঁর ঘরের সঙ্গে ছোট দোকান দিয়েছেন। দোকানের আয় দিয়ে তাঁর সংসার চলছে। তার এই উদ্যোগে আমরা মুগ্ধ। সর্বদা প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাদের উপজেলা প্রশাসন এই মানুষদের পাশে থাকবে।’
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের মুন্সিকান্দিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩০টি পরিবারের বসবাস। এ প্রকল্পের ১১ নম্বর ঘরে বসবাস করেন বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের পাশে তিনি নির্মাণ করেছেন একটি ছোট্ট মুদি দোকান। এতে ঘুরেছে তাঁর ভাগ্যের চাকা। এখন তিনি স্বাবলম্বী।
মনোয়ারা বেগমের ভিটেমাটি ছিল কুমিল্লার পার্কের চরে। কিন্তু প্রায় দুই যুগ আগে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভূমিহীন হন। পরে ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন এই ডিএমখালি এলাকায়। এখানে একজনের জায়গায় ঘর তুলে থাকতেন। পরেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তিনি এই সরকারি ঘর পান। এতে তাঁর থাকা নিয়ে ভাবনা দূর হয়। আর একটু রোজগারের জন্য ঘরের সঙ্গেই তিনি দেন ওই মুদি দোকান। প্রতিদিন তাঁর দোকানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার নানা পণ্য বিক্রি হয়। এই দোকানের আয় দিয়ে সংসারের খরচ চালান। আর তাঁর একমাত্র মেয়ের দিকের নাতনি মাদ্রাসায় পড়ান।
মনোয়ারার এই উদ্যোগ দেখে একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা আল আমিন একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ করছেন সবজি চাষ। হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে পশু-পাখি পালন শুরু করেছেন অনেকে। এভাবেই বদলে যাচ্ছে প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবনচিত্র।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সারু মুন্সি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। তিনি আমাদের জীবনের স্বপ্নের বিল্ডিং ঘরে থাকতে দিছেন। আর মনোয়ারা আপা নিজেই তাঁর ঘরের সঙ্গে দোকান দিছেন। আমাদের কিছু কিনতে হলে বাজারে যেতে হয় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাহালম পাজুরী বলেন, ‘মনোয়ারা থেমে নেই। তিনি তাঁর সংগ্রামী জীবনে সফল হতে চান। আমরা তাঁর দোকানে মাঝেমধ্যে কেনাকাটা করি। প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়েছেন। আশা করি, এখন এঁদের কর্মসংস্থান ও স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
ডিএমখালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু ব্যাপারী বলেন, ‘মনোয়ারা আপার মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে। এখন তিনি পাকা ঘরে থাকেন। দেখলাম, তিনি সেখানে তাঁর ঘরের সঙ্গে একটি দোকান দিছেন। এটা ভালো উদ্যোগ। কর্ম করে খাওয়া আমাদের সকলের জন্য মঙ্গল।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ বলেন, ‘আমরা মোট ৬২৫ জন ভূমি ও গৃহহীনকে ঘর দেব। এ পর্যন্ত ৫০৭টি ঘর হস্তান্তর করতে পেরেছি। ডিএমখালি মুন্সিকান্দিতে ৩০টি ঘর করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ডিসি স্যার ডিএমখালির এই প্রকল্প পরিদর্শন করেন, সেদিন দেখলাম মনোয়ারা নামের ওই বাসিন্দা তাঁর ঘরের সঙ্গে ছোট দোকান দিয়েছেন। দোকানের আয় দিয়ে তাঁর সংসার চলছে। তার এই উদ্যোগে আমরা মুগ্ধ। সর্বদা প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাদের উপজেলা প্রশাসন এই মানুষদের পাশে থাকবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে