বিভুরঞ্জন সরকার
ডিসেম্বর মাস এলেই আমরা অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। কারণ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের অনেক অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের মুক্তিবাহিনী বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিল মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে। মানুষ মুক্তি ও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল।
ডিসেম্বর এলে আমিও স্বাভাবিকভাবেই তারুণ্যদীপ্ত হয়ে উঠি। মনে হয় আমি বুঝি সেই কলেজপড়ুয়া তরুণই আছি। হ্যাঁ, একাত্তরে আমি যখন দিনাজপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখনই শুরু হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তারপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা শুরু করে নৃশংস গণহত্যা। নিরস্ত্র বাঙালি রুখে দাঁড়ায়, ‘যার যা আছে’ তা-ই নিয়ে শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ।
আমার নিজের জেলা পঞ্চগড় মুক্ত হয়েছিল ৩০ নভেম্বর এবং আমার আবাসস্থল বোদা থানা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। আমি ভারত থেকে বোদা ফিরি ৩ ডিসেম্বর। আমি অবশ্য শরণার্থীশিবিরে ছিলাম না। পশ্চিম দিনাজপুরের বালুরঘাটের পতিরামপুরের কাছাকাছি এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলাম। সেখানে ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কেমন করে যেন বেশ ভাব হয়েছিল। নানা বিষয়ে আমার জানার আগ্রহ, রাজনীতি নিয়ে কৌতূহল দেখে তিনি হয়তো আমার প্রতি মনোযোগী হয়েছিলেন। তিনি আমাকে নানা ধরনের খবর দিতেন। নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি আমাকে বলেন, দিন কয়েকের মধ্যে আমি দেশে ফিরতে পারব। ৩০ নভেম্বর হিলি সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হলো। ওই সামরিক কর্মকর্তা আমাকে জানালেন, তোমার পঞ্চগড় মুক্ত। আমিতো আনন্দে দিশা হারা।
পরিবারের কাউকে কিছু না বলে আমি ২ ডিসেম্বর বোদার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সারা দিন সড়ক পথে নানা মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌঁছতে বিকেল হয়ে গেল। যখন মানিকগঞ্জ সীমান্ত অতিক্রম করলাম তখন সন্ধ্যা হয় হয়। পথঘাট চিনি না। তবে ৯ মাসের উদ্বাস্তু জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাড়ি ফেরার তীব্র টানে হাঁটতে শুরু করলাম। শীতের সময়। সঙ্গে শীতবস্ত্র ছিল না। তবে হাঁটার কারণে তেমন ঠান্ডা লাগছিল না। কয় ঘণ্টা হেঁটেছি, বলতে পারব না। এক সময় ক্লান্তিতে শরীর অবশ হয়ে আসছিল। আর চলতে পারছিলাম না। অবসন্ন শরীর যখন নেতিয়ে পড়ছিল, তখনই দেখতে পেলাম কয়েকজন হাট ফেরত মানুষ। তাদের মধ্যে একজন আমাকে চিনতে পেরে তাঁর বাড়ি যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। অনতিদূরে তাঁর বাড়ি জেনে আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হলাম।
কোনো রকমে পা টেনে টেনে তার বাড়ি পৌঁছে যে আতিথেয়তা পেলাম তা সারা জীবন মনে থাকবে। তাঁর সেদিনের কথাগুলো এখনো কানে বাজে। তিনি বলেছিলেন, বাবু, আপনারা তো ‘হিন্দুস্থানে’ গিয়ে আরামে ছিলেন। এখানে আমাদের কত বিপদ। একদিকে পাকিস্তানি মিলিটারির ভয়, অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর ভয়।
কথাগুলো তখনই আমার কানে বেজেছিল। আমরা যারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম তারা ’আরামে’ ছিলাম বলে অবরুদ্ধ দেশের ভেতরে যাঁরা ছিলেন তাদের ধারণা হয়েছিল। এটা যে ঠিক নয়, সেটা কি আর কোনো দিন তারা বুঝতে পেরেছেন? তাদের কি আর সেটা বোঝানো হয়েছিল?
আমি বোদা বাজারে আসি ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে। আমিই ভারত থেকে বোদায় ফেরা প্রথম ‘শরণার্থী’। বাড়ি ফিরে আমার দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। বাড়ি কোথায়? এ তো মনে হচ্ছে চাষের জমি! ঘরদুয়ারের চিহ্ন নেই। টিনের ঘর ছিল আমাদের। অনেকগুলো ঘর ছিল। সবকিছু লুট করে খালি ভিটা ফেলে রেখেছিল। ঘরের চিহ্ন ছিল না।
হানাদারমুক্ত বোদায় এসে আমি কী দেখেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস কার কী ভূমিকা ছিল, আমাদের বাড়ির জিনিসপত্র কে বা কারা লুট করেছিল, আমার পড়ার টেবিল কার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিলাম, সেসব এখন আর না বলাই ভালো। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে, আবার দেশে ফিরতে পেরেছি সেই আনন্দের চেয়ে অন্য কষ্টের বিষয়গুলো আমার কাছে তখন তুচ্ছ ছিল, এখনো আছে।
মানুষের পক্ষ বদল, রূপ বদল আমি কাছ থেকে দেখেছি। কিছু মানুষের বিদ্বিষ্ট মনোভাবের পাশাপাশি অনেকের উদারতাও দেখেছি।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য উচ্ছ্বাস-উল্লাসের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ভাঙার নীরব মনোবেদনাও কারও কারও মধ্যে তখন লক্ষ্য করেছি। যা ধীরে ধীরে না কমে বরং বেড়েছে। এই যে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আজ পশ্চাৎযাত্রা, তার কিছু আলামত কিন্তু যুদ্ধ জয়েরও মুহূর্তেও লক্ষ্য করেছি।
নানা ছোটখাট ঘটনায় তখনই আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, আমরা বাইরের শত্রু পরাজিত করেছি, কিন্তু আমাদের দেশীয়
শত্রুরা কি পরাজিত হয়েছে? তারা তখন মন বদল না করে ভোল বদল করেছিল। আর অপেক্ষায় ছিল সুদিনের বা দিন বদলের।
তারা তাদের অনুকূলে দিন বদলাতে পেরেছে। আমরা বিজয় ধরে রাখতে পারিনি।
একাত্তরের ডিসেম্বরে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে ভেবে আমরা উল্লসিত হয়েছিলাম। দেশ যে সত্যিকার অর্থে শত্রুমুক্ত হয়নি, তা আমরা এত বছর পরে এসে কি বুঝতে পারছি? শত্রুর সঙ্গে কৌশলে বসবাসের বিপদ যদি আমরা এখনো বুঝতে না পারি তাহলে বিজয় উদ্যাপন অর্থহীন হয়ে পড়বে। শত্রু যখন আমাদের হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলতে উদ্যত, তখনো যদি আমাদের হুঁশ না হয়, তাহলে আর দোষ দেব কাকে?
বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ডিসেম্বর মাস এলেই আমরা অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। কারণ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের অনেক অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের মুক্তিবাহিনী বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছিল মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে। মানুষ মুক্তি ও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল।
ডিসেম্বর এলে আমিও স্বাভাবিকভাবেই তারুণ্যদীপ্ত হয়ে উঠি। মনে হয় আমি বুঝি সেই কলেজপড়ুয়া তরুণই আছি। হ্যাঁ, একাত্তরে আমি যখন দিনাজপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখনই শুরু হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তারপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা শুরু করে নৃশংস গণহত্যা। নিরস্ত্র বাঙালি রুখে দাঁড়ায়, ‘যার যা আছে’ তা-ই নিয়ে শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ।
আমার নিজের জেলা পঞ্চগড় মুক্ত হয়েছিল ৩০ নভেম্বর এবং আমার আবাসস্থল বোদা থানা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। আমি ভারত থেকে বোদা ফিরি ৩ ডিসেম্বর। আমি অবশ্য শরণার্থীশিবিরে ছিলাম না। পশ্চিম দিনাজপুরের বালুরঘাটের পতিরামপুরের কাছাকাছি এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিলাম। সেখানে ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কেমন করে যেন বেশ ভাব হয়েছিল। নানা বিষয়ে আমার জানার আগ্রহ, রাজনীতি নিয়ে কৌতূহল দেখে তিনি হয়তো আমার প্রতি মনোযোগী হয়েছিলেন। তিনি আমাকে নানা ধরনের খবর দিতেন। নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি আমাকে বলেন, দিন কয়েকের মধ্যে আমি দেশে ফিরতে পারব। ৩০ নভেম্বর হিলি সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হলো। ওই সামরিক কর্মকর্তা আমাকে জানালেন, তোমার পঞ্চগড় মুক্ত। আমিতো আনন্দে দিশা হারা।
পরিবারের কাউকে কিছু না বলে আমি ২ ডিসেম্বর বোদার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সারা দিন সড়ক পথে নানা মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌঁছতে বিকেল হয়ে গেল। যখন মানিকগঞ্জ সীমান্ত অতিক্রম করলাম তখন সন্ধ্যা হয় হয়। পথঘাট চিনি না। তবে ৯ মাসের উদ্বাস্তু জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাড়ি ফেরার তীব্র টানে হাঁটতে শুরু করলাম। শীতের সময়। সঙ্গে শীতবস্ত্র ছিল না। তবে হাঁটার কারণে তেমন ঠান্ডা লাগছিল না। কয় ঘণ্টা হেঁটেছি, বলতে পারব না। এক সময় ক্লান্তিতে শরীর অবশ হয়ে আসছিল। আর চলতে পারছিলাম না। অবসন্ন শরীর যখন নেতিয়ে পড়ছিল, তখনই দেখতে পেলাম কয়েকজন হাট ফেরত মানুষ। তাদের মধ্যে একজন আমাকে চিনতে পেরে তাঁর বাড়ি যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। অনতিদূরে তাঁর বাড়ি জেনে আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হলাম।
কোনো রকমে পা টেনে টেনে তার বাড়ি পৌঁছে যে আতিথেয়তা পেলাম তা সারা জীবন মনে থাকবে। তাঁর সেদিনের কথাগুলো এখনো কানে বাজে। তিনি বলেছিলেন, বাবু, আপনারা তো ‘হিন্দুস্থানে’ গিয়ে আরামে ছিলেন। এখানে আমাদের কত বিপদ। একদিকে পাকিস্তানি মিলিটারির ভয়, অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর ভয়।
কথাগুলো তখনই আমার কানে বেজেছিল। আমরা যারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম তারা ’আরামে’ ছিলাম বলে অবরুদ্ধ দেশের ভেতরে যাঁরা ছিলেন তাদের ধারণা হয়েছিল। এটা যে ঠিক নয়, সেটা কি আর কোনো দিন তারা বুঝতে পেরেছেন? তাদের কি আর সেটা বোঝানো হয়েছিল?
আমি বোদা বাজারে আসি ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে। আমিই ভারত থেকে বোদায় ফেরা প্রথম ‘শরণার্থী’। বাড়ি ফিরে আমার দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। বাড়ি কোথায়? এ তো মনে হচ্ছে চাষের জমি! ঘরদুয়ারের চিহ্ন নেই। টিনের ঘর ছিল আমাদের। অনেকগুলো ঘর ছিল। সবকিছু লুট করে খালি ভিটা ফেলে রেখেছিল। ঘরের চিহ্ন ছিল না।
হানাদারমুক্ত বোদায় এসে আমি কী দেখেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস কার কী ভূমিকা ছিল, আমাদের বাড়ির জিনিসপত্র কে বা কারা লুট করেছিল, আমার পড়ার টেবিল কার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিলাম, সেসব এখন আর না বলাই ভালো। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে, আবার দেশে ফিরতে পেরেছি সেই আনন্দের চেয়ে অন্য কষ্টের বিষয়গুলো আমার কাছে তখন তুচ্ছ ছিল, এখনো আছে।
মানুষের পক্ষ বদল, রূপ বদল আমি কাছ থেকে দেখেছি। কিছু মানুষের বিদ্বিষ্ট মনোভাবের পাশাপাশি অনেকের উদারতাও দেখেছি।
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য উচ্ছ্বাস-উল্লাসের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ভাঙার নীরব মনোবেদনাও কারও কারও মধ্যে তখন লক্ষ্য করেছি। যা ধীরে ধীরে না কমে বরং বেড়েছে। এই যে নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আজ পশ্চাৎযাত্রা, তার কিছু আলামত কিন্তু যুদ্ধ জয়েরও মুহূর্তেও লক্ষ্য করেছি।
নানা ছোটখাট ঘটনায় তখনই আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, আমরা বাইরের শত্রু পরাজিত করেছি, কিন্তু আমাদের দেশীয়
শত্রুরা কি পরাজিত হয়েছে? তারা তখন মন বদল না করে ভোল বদল করেছিল। আর অপেক্ষায় ছিল সুদিনের বা দিন বদলের।
তারা তাদের অনুকূলে দিন বদলাতে পেরেছে। আমরা বিজয় ধরে রাখতে পারিনি।
একাত্তরের ডিসেম্বরে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে ভেবে আমরা উল্লসিত হয়েছিলাম। দেশ যে সত্যিকার অর্থে শত্রুমুক্ত হয়নি, তা আমরা এত বছর পরে এসে কি বুঝতে পারছি? শত্রুর সঙ্গে কৌশলে বসবাসের বিপদ যদি আমরা এখনো বুঝতে না পারি তাহলে বিজয় উদ্যাপন অর্থহীন হয়ে পড়বে। শত্রু যখন আমাদের হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলতে উদ্যত, তখনো যদি আমাদের হুঁশ না হয়, তাহলে আর দোষ দেব কাকে?
বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ ঘণ্টা আগে