মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের নামে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সসহ ৪ জনের নামে আদালতে মামলাটি করেন।

আদালত মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। গতকাল শনিবার পিবিআই মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আবু ইউছুফ ঘটনা তদন্ত করেন।

স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলার সময় হাজিপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা পাইকপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মাজহারুল আলমের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাহিদা মতো চাঁদা না দেওয়ায় ৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের ভাই ছালিক বক্স ও জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যবসায়ী মাজহারুল আলমের জায়গার ওপর নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায় ছালিক বক্স, সামছুল হক সামাদ ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ৬ জনের নামে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন মাজহারুল। মামলা করার পর অভিযুক্তরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

১২ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম বাড়ি থেকে কুলাউড়া যাওয়ার পথে কানিহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালান। এ সময় আসামিরা তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় গত ১৫ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স (৪৭), তাঁর ভাই ছালিক বক্স (৪৫), সামছুল হক সামাদ (৪০) ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৫০) অভিযুক্ত করে মামলা করেন মাজহারুল আলম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স বলেন, ‘পিবিআই কেন তদন্তে এসেছে আমি কিছু জানি না। আমি মৌলভীবাজার ছিলাম।’

পিবিআই মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আবু ইউছুফ বলেন, ‘১২ তারিখের ঘটনায় আদালতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে সাক্ষ্য গ্রহণ ও আলামত গ্রহণ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।’