শিমুল চৌধুরী, ভোলা
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ। এই ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চর চটকিমারা খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার কয়েক শ ঘরবাড়ি, আবাদি জমি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হুমকির মুখে একটি মডেল মসজিদ, দুটি বাজার, একটি গ্যাসকূপ, একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, লঞ্চঘাট ও হাজারো ঘড়বাড়ি। এদিকে ভবিষ্যতে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধও হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ভাঙনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করতে হচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষদের।
গতকাল বুধবার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জোরখাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মেঘনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীব্র ঢেউ এসে তীরে সজোরে আঘাত হানছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যে ওই এলাকার ১৫-২০টি বাড়িঘর মেঘনা নদীয় বিলীন হয়েছে। অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। যাঁদের যাওয়ার জায়গা নেই, তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজনসহ ভিটেমাটি আঁকড়ে আছেন। এসব এলাকার অনেকেই জানান, এর আগেও বেশ কয়েকবার নদীতে ভেঙেছে তাঁদের বাড়িঘর, ভিটেমাটি। এবার ভেঙে গেলে নতুন করে আর বাড়িঘর তৈরি করতে পারবেন না। এমনকি নদীর পাড় থেকে ঘর সরিয়ে নেওয়ার মতো টাকা-পয়সাও নেই তাঁদের।
ওই এলাকার বৃদ্ধ হানিফের স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব নুরজাহান বেগম বলেন, ‘গত দুই বছরে মেঘনা নদীর ভাঙনে আমাগো রেকর্ডীয় প্রায় এক কানি জমি গেছে। ভাঙতে ভাঙতে মেঘনা বাড়ির কাছে চইল্যা আইছে। অহন যেকোনো সময় ঘরটাও নদীতে চইল্যা যাইব। তহন পোলাপান নিয়া কই যামু। এই চিন্তায় রাইতে ঘুম অয় না। হেই টেনশনে আমার ছেলের বউ কয়েক দিন আগে স্ট্রোক কইরা মারা গেছে। ঘরডা যে সরাইয়া অন্য জায়গায় নিমু, হেই টাহাও নাই।’
স্থানীয় কৃষক আবু জাহের ঢালী (৫৫) ও জেলে মিলন (২৬) বলেন, ‘এমনিতেই সংসার চলে না। গিরস্তি কইরা আর নদীতে মাছ ধইরা যা পাই, তাই দিয়া কোনো রকমে বাইচা আছি। নদী একেবারে আমাগো বাড়ির কাছে চইল্যা আইছে। অহন ঘরবাড়ি যদি নদীতে চইল্যা যায়, তাইলে থাকমু কই?’
মেঘনার ভাঙনে ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়তে পারে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ। ভাঙনে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কয়েকবার মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে তেঁতুলিয়ার ভাঙনের মুখে পড়েছে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চর চটকিমারা খেয়াঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা।
তেঁতুলিয়া নদীভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি, বিস্তীর্ণ ফসলের খেতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে একটি মডেল মসজিদ, দুটি বাজার, একটি গ্যাসকূপ, একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, লঞ্চঘাটসহ হাজারো ঘরবাড়ি।
এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মনজু ইসলাম জানান, এক মাস ধরে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন চলছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভেদুরিয়াকে হয়তো রক্ষা করা যাবে না।
চলমান ভাঙনের কথা উল্লেখ করে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তবে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখেছি। এখন ভাঙনের তীব্রতা কম। মূলত ভাঙন বেশি হয় জুলাই আগস্ট মাসে। তবে ভাঙনরোধে আমরা অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে। রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জোরখাল এলাকার জন্য একটি প্রকল্প ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া আছে। আশা করছি, আগামী শুষ্ক মৌসুমে কাজ করতে পারব।’
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ। এই ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চর চটকিমারা খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার কয়েক শ ঘরবাড়ি, আবাদি জমি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হুমকির মুখে একটি মডেল মসজিদ, দুটি বাজার, একটি গ্যাসকূপ, একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, লঞ্চঘাট ও হাজারো ঘড়বাড়ি। এদিকে ভবিষ্যতে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধও হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ভাঙনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করতে হচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষদের।
গতকাল বুধবার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জোরখাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় মেঘনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীব্র ঢেউ এসে তীরে সজোরে আঘাত হানছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইতিমধ্যে ওই এলাকার ১৫-২০টি বাড়িঘর মেঘনা নদীয় বিলীন হয়েছে। অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। যাঁদের যাওয়ার জায়গা নেই, তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজনসহ ভিটেমাটি আঁকড়ে আছেন। এসব এলাকার অনেকেই জানান, এর আগেও বেশ কয়েকবার নদীতে ভেঙেছে তাঁদের বাড়িঘর, ভিটেমাটি। এবার ভেঙে গেলে নতুন করে আর বাড়িঘর তৈরি করতে পারবেন না। এমনকি নদীর পাড় থেকে ঘর সরিয়ে নেওয়ার মতো টাকা-পয়সাও নেই তাঁদের।
ওই এলাকার বৃদ্ধ হানিফের স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব নুরজাহান বেগম বলেন, ‘গত দুই বছরে মেঘনা নদীর ভাঙনে আমাগো রেকর্ডীয় প্রায় এক কানি জমি গেছে। ভাঙতে ভাঙতে মেঘনা বাড়ির কাছে চইল্যা আইছে। অহন যেকোনো সময় ঘরটাও নদীতে চইল্যা যাইব। তহন পোলাপান নিয়া কই যামু। এই চিন্তায় রাইতে ঘুম অয় না। হেই টেনশনে আমার ছেলের বউ কয়েক দিন আগে স্ট্রোক কইরা মারা গেছে। ঘরডা যে সরাইয়া অন্য জায়গায় নিমু, হেই টাহাও নাই।’
স্থানীয় কৃষক আবু জাহের ঢালী (৫৫) ও জেলে মিলন (২৬) বলেন, ‘এমনিতেই সংসার চলে না। গিরস্তি কইরা আর নদীতে মাছ ধইরা যা পাই, তাই দিয়া কোনো রকমে বাইচা আছি। নদী একেবারে আমাগো বাড়ির কাছে চইল্যা আইছে। অহন ঘরবাড়ি যদি নদীতে চইল্যা যায়, তাইলে থাকমু কই?’
মেঘনার ভাঙনে ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়তে পারে শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ। ভাঙনে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কয়েকবার মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে তেঁতুলিয়ার ভাঙনের মুখে পড়েছে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চর চটকিমারা খেয়াঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা।
তেঁতুলিয়া নদীভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি, বিস্তীর্ণ ফসলের খেতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে একটি মডেল মসজিদ, দুটি বাজার, একটি গ্যাসকূপ, একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, লঞ্চঘাটসহ হাজারো ঘরবাড়ি।
এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মনজু ইসলাম জানান, এক মাস ধরে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন চলছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভেদুরিয়াকে হয়তো রক্ষা করা যাবে না।
চলমান ভাঙনের কথা উল্লেখ করে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তবে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান গতকাল বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখেছি। এখন ভাঙনের তীব্রতা কম। মূলত ভাঙন বেশি হয় জুলাই আগস্ট মাসে। তবে ভাঙনরোধে আমরা অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে। রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জোরখাল এলাকার জন্য একটি প্রকল্প ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া আছে। আশা করছি, আগামী শুষ্ক মৌসুমে কাজ করতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে