জাহিদ হাসান, যশোর
যশোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা (সাপ্লাইয়ের) পানির গ্রাহক রয়েছেন ১৫ হাজার। কিন্তু চাহিদামতো পানি না পেয়ে তাঁদের মধ্যে ১১ হাজার গ্রাহকই বাসাবাড়িতে গভীর নলকূপ (সাবমারসিবল) বসিয়েছেন। এখন সেই বাসাবাড়ির ব্যক্তিগত নলকূপের জন্যও প্রতি মাসে কর নিতে চায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তাও আবার মাসে ৩০০ টাকা। আর সাপ্লাইয়ের পানির জন্য পূর্বনির্ধারিত বিল রয়েছে আরও ৩০০। ফলে একজন গ্রাহককে প্রতি মাসে পানির পেছনেই ৬০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এক বছর আগের এই সিদ্ধান্ত পরশু ১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করা হবে বলে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) বি এম কামাল আহমেদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, পাশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পানির বিল কমই নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নলকূপের পানি ব্যবহারের জন্য নতুন এই কর নির্ধারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা। গতকাল মঙ্গলবার সাব-মার্সিবল পাম্পের বিল প্রত্যাহারের দাবিতে প্রেসক্লাব যশোরে মতবিনিময় সভা করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সংগঠনের আহ্বায়ক শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ ও সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক ইকবাল কবির জাহিদ, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম উর রহমান প্রমুখ।
ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পৌরসভা একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও নাগরিকদের ওপর প্রতিনিয়ত ইচ্ছা মাফিক খড়্গ চাপিয়ে কর আদায়ের নতুন কৌশল নিয়েছে। যশোর রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকার দোতলা ভবনের মালিক সোলাইমান হক বাচ্চু বলেন, ‘পৌরসভা নিয়মিত কর নেয়। এর মধ্যে ১০ শতাংশ পানি কর। এ ছাড়া সাপ্লাইয়ের পানি বাবদ মাসে প্রায় ৩০০ টাকা বিল নেয়। কিন্তু আমরা ঠিকমতো পানি পাই না। বাধ্য হয়ে নিজস্ব খরচে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। এখন সেটার জন্যও মাসে ৩০০ টাকা ফি ধার্য করেছে। এটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।’
জানা গেছে, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন সাপ্লাইয়ের পানির চাহিদা ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার। চাহিদার বিপরীতে ২৯টি পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে ২ কোটি ১১ লাখ লিটার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকছে। এর মধ্যে অধিকাংশ পাম্প অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালে তীব্র পানির সংকট দেখা দেয় পৌরসভায়। এমন অবস্থা থেকে
উত্তরণের জন্য পৌরবাসী সাপ্লাই পানির সঙ্গে নিজ উদ্যোগে সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার করছেন।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ জরিপ চালিয়ে সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহারকারী ১১ হাজার বাড়ির মালিক শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার বাড়ির মালিককে সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার বাবদ প্রতি মাসে ৩০০ টাকা হারে পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। গত বছরের ২২ মার্চ পৌরসভার মাসিক সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এই নোটিশ দেওয়া হয়। প্রায় এক বছর পর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরসভা পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা ২০২৩ মোতাবেক যেখানে পৌরসভা কর্তৃক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে পৌর পরিষদের অনুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো উৎস হতে পানি সংযোগ গ্রহণ করা যাবে না। সেই কারণে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ পৌর পরিষদের মাসিক সভায় যশোর পৌর এলাকায় বাসাবাড়ি বা অন্য ভবনে
স্থাপিত সাবমারসিবল পাম্পের জন্য ভবনমালিককে মাসে ৩০০ টাকা বিল পরিশোধ করতে হবে। যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) বি এম কামাল আহমেদ বলেন, ‘পৌরসভার পানিতে আয়রন আছে সেটা ঠিক। তবে পানি অনুপযুক্ত না। তবে এক বছর আগের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর এলাকার ১১ হাজার বাড়ির মালিক শনাক্ত করেছি।
যাঁরা সাবমারসিবল ব্যবহার করছেন। তাঁদের সবাইকে এই নলকূপ বাবদ প্রতি মাসে ৩০০ টাকা বিল পরিশোধের নোটিশ দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। আমরা কম ফি ধার্য করেছি।’
যশোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা (সাপ্লাইয়ের) পানির গ্রাহক রয়েছেন ১৫ হাজার। কিন্তু চাহিদামতো পানি না পেয়ে তাঁদের মধ্যে ১১ হাজার গ্রাহকই বাসাবাড়িতে গভীর নলকূপ (সাবমারসিবল) বসিয়েছেন। এখন সেই বাসাবাড়ির ব্যক্তিগত নলকূপের জন্যও প্রতি মাসে কর নিতে চায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তাও আবার মাসে ৩০০ টাকা। আর সাপ্লাইয়ের পানির জন্য পূর্বনির্ধারিত বিল রয়েছে আরও ৩০০। ফলে একজন গ্রাহককে প্রতি মাসে পানির পেছনেই ৬০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এক বছর আগের এই সিদ্ধান্ত পরশু ১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করা হবে বলে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) বি এম কামাল আহমেদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, পাশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পানির বিল কমই নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নলকূপের পানি ব্যবহারের জন্য নতুন এই কর নির্ধারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা। গতকাল মঙ্গলবার সাব-মার্সিবল পাম্পের বিল প্রত্যাহারের দাবিতে প্রেসক্লাব যশোরে মতবিনিময় সভা করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সংগঠনের আহ্বায়ক শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ ও সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক ইকবাল কবির জাহিদ, জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম উর রহমান প্রমুখ।
ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পৌরসভা একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও নাগরিকদের ওপর প্রতিনিয়ত ইচ্ছা মাফিক খড়্গ চাপিয়ে কর আদায়ের নতুন কৌশল নিয়েছে। যশোর রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকার দোতলা ভবনের মালিক সোলাইমান হক বাচ্চু বলেন, ‘পৌরসভা নিয়মিত কর নেয়। এর মধ্যে ১০ শতাংশ পানি কর। এ ছাড়া সাপ্লাইয়ের পানি বাবদ মাসে প্রায় ৩০০ টাকা বিল নেয়। কিন্তু আমরা ঠিকমতো পানি পাই না। বাধ্য হয়ে নিজস্ব খরচে সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছি। এখন সেটার জন্যও মাসে ৩০০ টাকা ফি ধার্য করেছে। এটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।’
জানা গেছে, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন সাপ্লাইয়ের পানির চাহিদা ২ কোটি ৪৪ লাখ ২০ হাজার লিটার। চাহিদার বিপরীতে ২৯টি পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে ২ কোটি ১১ লাখ লিটার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থাকছে। এর মধ্যে অধিকাংশ পাম্প অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালে তীব্র পানির সংকট দেখা দেয় পৌরসভায়। এমন অবস্থা থেকে
উত্তরণের জন্য পৌরবাসী সাপ্লাই পানির সঙ্গে নিজ উদ্যোগে সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার করছেন।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ জরিপ চালিয়ে সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহারকারী ১১ হাজার বাড়ির মালিক শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার বাড়ির মালিককে সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার বাবদ প্রতি মাসে ৩০০ টাকা হারে পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। গত বছরের ২২ মার্চ পৌরসভার মাসিক সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এই নোটিশ দেওয়া হয়। প্রায় এক বছর পর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরসভা পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা ২০২৩ মোতাবেক যেখানে পৌরসভা কর্তৃক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে পৌর পরিষদের অনুমোদন ব্যতীত অন্য কোনো উৎস হতে পানি সংযোগ গ্রহণ করা যাবে না। সেই কারণে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ পৌর পরিষদের মাসিক সভায় যশোর পৌর এলাকায় বাসাবাড়ি বা অন্য ভবনে
স্থাপিত সাবমারসিবল পাম্পের জন্য ভবনমালিককে মাসে ৩০০ টাকা বিল পরিশোধ করতে হবে। যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) বি এম কামাল আহমেদ বলেন, ‘পৌরসভার পানিতে আয়রন আছে সেটা ঠিক। তবে পানি অনুপযুক্ত না। তবে এক বছর আগের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর এলাকার ১১ হাজার বাড়ির মালিক শনাক্ত করেছি।
যাঁরা সাবমারসিবল ব্যবহার করছেন। তাঁদের সবাইকে এই নলকূপ বাবদ প্রতি মাসে ৩০০ টাকা বিল পরিশোধের নোটিশ দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। আমরা কম ফি ধার্য করেছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে