আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ঈদ ও পয়লা বৈশাখে টানা ছয় দিন ছিল সরকারি ছুটি। এই সময়েও চালু রাখা হয়েছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম। কিন্তু খুব সুফল মেলেনি কনটেইনার ওঠানামার কার্যক্রমে। কারণ, বন্দর চালু থাকলেও ব্যাংক, কাস্টমসের সেবা পুরোপুরি চালু ছিল না। বন্ধ ছিল শিল্পকারখানা ও গুদাম। সড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।
এ কারণে ঈদের দিন কনটেইনার ডেলিভারি নেমে আসে শূন্যের কোটায়। ছুটির অন্য দিনগুলোতে ডেলিভারি নেমে আসে এক হাজার কনটেইনারে। যদিও স্বাভাবিক সময়ে দিনে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হয়।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে ছুটির দিনে সব ধরনের সেবা চালু থাকে। কিন্তু আমদানিকারকেরা ডেলিভারি না নেওয়ায় বন্দর চালু রাখার সুফল পাওয়া যায় না। ঈদের দিন কয়েক ঘণ্টা ছাড়া বাকি সব সময় বন্দর খোলা ছিল।
আমদানিকারক এবং বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, কাস্টমস বন্ধ থাকায় পণ্যের শুল্কায়ন সম্ভব হয় না। ব্যাংক বন্ধ থাকায় শুল্ক ও বন্দরের চার্জ পরিশোধ করা যায় না। কারখানায় ছুটি থাকায় কারখানার গুদামের শ্রমিক পাওয়া যায় না পণ্য খালাসে। এ ছাড়া মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলে থাকে নিষেধাজ্ঞা। মূলত এসব কারণেই বন্দর চালু থাকলেও এর সুফল মেলে না কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রমে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারির হিসাব ধরা হয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা, অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারি হয় ৪১০৪ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুয়েভিলেন্ট ইউনিট)। ১০ এপ্রিল ৩১৯৫ টিইইউ, ১১ এপ্রিল ৮১৯ টিইইউ, ১২ এপ্রিল শূন্য টিইইউ, ১৩ এপ্রিল ৬৭১ টিইইউ, ১৪ এপ্রিল ১১৮৯ টিইইউ, ১৫ এপ্রিল ১৪২২ টিইইউ, ১৬ এপ্রিল ২৭৪৫ টিইইউ কনটেইনার ডেলিভারি হয়।
এখনো স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছায়নি ডেলিভারি পরিস্থিতি। ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ৩৩৪১৭ টিইইউ। ১৬ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯৪৮৩ টিইইউ। অর্থাৎ আট দিনে বন্দরের ইয়ার্ডে জমেছে অতিরিক্ত ৬০৬৬ টিইইউ কনটেইনার।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৩৫১৮ টিইইউ। বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষমতার ১৫ শতাংশ খালি রাখতে হয়। সেই হিসাবে বন্দর ইয়ার্ডে প্রায় ৪৫৫০০ টিইইউ কনটেইনার থাকলে সেটি স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বন্দর খোলা থাকলে হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে সরকারের উচ্চমহলের সমন্বিত সিদ্ধান্ত দরকার।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চোয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ঈদের আগে এবং চার-পাঁচ দিন পরে কনটেইনার ডেলিভারি অনেকটাই কমে যায়। এ কারণে বন্দর এবং ডিপোগুলোতে কিছুটা জট সৃষ্টি হয়। এটি প্রতিবছরের ঘটনা।
ঈদ ও পয়লা বৈশাখে টানা ছয় দিন ছিল সরকারি ছুটি। এই সময়েও চালু রাখা হয়েছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম। কিন্তু খুব সুফল মেলেনি কনটেইনার ওঠানামার কার্যক্রমে। কারণ, বন্দর চালু থাকলেও ব্যাংক, কাস্টমসের সেবা পুরোপুরি চালু ছিল না। বন্ধ ছিল শিল্পকারখানা ও গুদাম। সড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।
এ কারণে ঈদের দিন কনটেইনার ডেলিভারি নেমে আসে শূন্যের কোটায়। ছুটির অন্য দিনগুলোতে ডেলিভারি নেমে আসে এক হাজার কনটেইনারে। যদিও স্বাভাবিক সময়ে দিনে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হয়।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে ছুটির দিনে সব ধরনের সেবা চালু থাকে। কিন্তু আমদানিকারকেরা ডেলিভারি না নেওয়ায় বন্দর চালু রাখার সুফল পাওয়া যায় না। ঈদের দিন কয়েক ঘণ্টা ছাড়া বাকি সব সময় বন্দর খোলা ছিল।
আমদানিকারক এবং বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, কাস্টমস বন্ধ থাকায় পণ্যের শুল্কায়ন সম্ভব হয় না। ব্যাংক বন্ধ থাকায় শুল্ক ও বন্দরের চার্জ পরিশোধ করা যায় না। কারখানায় ছুটি থাকায় কারখানার গুদামের শ্রমিক পাওয়া যায় না পণ্য খালাসে। এ ছাড়া মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলে থাকে নিষেধাজ্ঞা। মূলত এসব কারণেই বন্দর চালু থাকলেও এর সুফল মেলে না কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রমে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারির হিসাব ধরা হয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা, অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল বন্দরে কনটেইনার ডেলিভারি হয় ৪১০৪ টিইইউ (টুয়েন্টি ফুট ইকুয়েভিলেন্ট ইউনিট)। ১০ এপ্রিল ৩১৯৫ টিইইউ, ১১ এপ্রিল ৮১৯ টিইইউ, ১২ এপ্রিল শূন্য টিইইউ, ১৩ এপ্রিল ৬৭১ টিইইউ, ১৪ এপ্রিল ১১৮৯ টিইইউ, ১৫ এপ্রিল ১৪২২ টিইইউ, ১৬ এপ্রিল ২৭৪৫ টিইইউ কনটেইনার ডেলিভারি হয়।
এখনো স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছায়নি ডেলিভারি পরিস্থিতি। ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ৩৩৪১৭ টিইইউ। ১৬ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯৪৮৩ টিইইউ। অর্থাৎ আট দিনে বন্দরের ইয়ার্ডে জমেছে অতিরিক্ত ৬০৬৬ টিইইউ কনটেইনার।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৩৫১৮ টিইইউ। বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষমতার ১৫ শতাংশ খালি রাখতে হয়। সেই হিসাবে বন্দর ইয়ার্ডে প্রায় ৪৫৫০০ টিইইউ কনটেইনার থাকলে সেটি স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বন্দর খোলা থাকলে হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে সরকারের উচ্চমহলের সমন্বিত সিদ্ধান্ত দরকার।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চোয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ঈদের আগে এবং চার-পাঁচ দিন পরে কনটেইনার ডেলিভারি অনেকটাই কমে যায়। এ কারণে বন্দর এবং ডিপোগুলোতে কিছুটা জট সৃষ্টি হয়। এটি প্রতিবছরের ঘটনা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে