নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলসহ ছোট-বড় সব দলই কমবেশি তৎপর। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ তৎপর রয়েছে সব প্রধান দল। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই ভোটে যেতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। অন্যদিকে, কোনো অবস্থায়ই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যেতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে দলটি। ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকেরাও নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা আসছে সরকারের পক্ষ থেকেও। গতকাল রোববারও এ বিষয়ে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একটা ছোট সরকার করতে চান এবং নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান।’ আনিসুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই। কারণ নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বলেন, ‘আমরা ওয়েস্টমিনস্টার ডেমোক্রেসি ফলো করি। ব্রিটেনে কীভাবে ইলেকশন হয়, তারা কীভাবে করে, আমরা সেভাবেই করব। এর মধ্যে একটু দেখাতে পারি—পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে চান, আমরা নিতে রাজি আছি।’
বিএনপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমরা (নির্বাচনকালীন সরকারে) নিয়েছি। এমনকি ২০১৪ সালে তো খালেদা জিয়াকেও আমি আহ্বান করেছিলাম, তারা আসেনি। এখন তো তারা পার্লামেন্টেও নাই। কাজেই তাদের নিয়ে চিন্তারও কিছু নাই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে আওয়ামী লীগ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য কানে তুলতেই নারাজ। আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উই ডোন্ট কেয়ার…সরকার কোন সময় কী বলে…! এরা প্রথম থেকে চাপাবাজি এবং মিথ্যাচারের ওপর রাজনীতি করছে, দেশ চালাচ্ছে। এদের কোনো কথার আমাদের কাছে দুই পয়সার দাম নাই।’
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনে করে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু এলে তখন ভেবে দেখার কথা বলছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর কথার কোনো মূল্য নাই, প্রধানমন্ত্রীর কথা ছাড়া। প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকে যদি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য আসে, তখন আমরা এ বিষয়ে চিন্তা করব এবং দলীয় ফোরামে আলোচনা করব।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যদি সরকার কিছু করতে চায়, তবে প্রথমে কবে পদত্যাগ করবে সেই রূপরেখা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদ কবে ভাঙবে; তৃতীয়ত, নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে; আন্দোলনকারী সব দলের সঙ্গে কথা বলে তা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এ ছাড়া অন্য যেকোনো পদক্ষেপ জনগণের চোখে ধুলা দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু না।’
সিপিবির নেতা আরও বলেন, যেভাবেই নির্বাচন হোক, সবার সমঝোতার ভিত্তিতে হতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এখনো অনেক নাটকীয়তা বাকি আছে বলে মনে করছেন রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা। সময়ের সঙ্গে আরও রং বদলের আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, এ বিষয়ে বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর পাশাপাশি সরকারের অবস্থানও বদলাতে পারে। তিনি বলেন, ‘অনেক নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে। এখনো সেটা ঘটার সময় আছে। বিএনপি আসলেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চাইছে না, নাকি এটা তাদের ক্ষমতাসীনদের চাপে রাখার একটা কৌশল; সেটাও পরিষ্কার হওয়ার সময় এখনো আছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলসহ ছোট-বড় সব দলই কমবেশি তৎপর। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ তৎপর রয়েছে সব প্রধান দল। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই ভোটে যেতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। অন্যদিকে, কোনো অবস্থায়ই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যেতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে দলটি। ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকেরাও নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা আসছে সরকারের পক্ষ থেকেও। গতকাল রোববারও এ বিষয়ে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একটা ছোট সরকার করতে চান এবং নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান।’ আনিসুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই। কারণ নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বলেন, ‘আমরা ওয়েস্টমিনস্টার ডেমোক্রেসি ফলো করি। ব্রিটেনে কীভাবে ইলেকশন হয়, তারা কীভাবে করে, আমরা সেভাবেই করব। এর মধ্যে একটু দেখাতে পারি—পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে চান, আমরা নিতে রাজি আছি।’
বিএনপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমরা (নির্বাচনকালীন সরকারে) নিয়েছি। এমনকি ২০১৪ সালে তো খালেদা জিয়াকেও আমি আহ্বান করেছিলাম, তারা আসেনি। এখন তো তারা পার্লামেন্টেও নাই। কাজেই তাদের নিয়ে চিন্তারও কিছু নাই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে আওয়ামী লীগ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য কানে তুলতেই নারাজ। আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উই ডোন্ট কেয়ার…সরকার কোন সময় কী বলে…! এরা প্রথম থেকে চাপাবাজি এবং মিথ্যাচারের ওপর রাজনীতি করছে, দেশ চালাচ্ছে। এদের কোনো কথার আমাদের কাছে দুই পয়সার দাম নাই।’
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনে করে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু এলে তখন ভেবে দেখার কথা বলছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর কথার কোনো মূল্য নাই, প্রধানমন্ত্রীর কথা ছাড়া। প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকে যদি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য আসে, তখন আমরা এ বিষয়ে চিন্তা করব এবং দলীয় ফোরামে আলোচনা করব।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যদি সরকার কিছু করতে চায়, তবে প্রথমে কবে পদত্যাগ করবে সেই রূপরেখা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদ কবে ভাঙবে; তৃতীয়ত, নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে; আন্দোলনকারী সব দলের সঙ্গে কথা বলে তা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এ ছাড়া অন্য যেকোনো পদক্ষেপ জনগণের চোখে ধুলা দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু না।’
সিপিবির নেতা আরও বলেন, যেভাবেই নির্বাচন হোক, সবার সমঝোতার ভিত্তিতে হতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এখনো অনেক নাটকীয়তা বাকি আছে বলে মনে করছেন রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা। সময়ের সঙ্গে আরও রং বদলের আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। তাঁর মতে, এ বিষয়ে বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর পাশাপাশি সরকারের অবস্থানও বদলাতে পারে। তিনি বলেন, ‘অনেক নাটকীয় কিছু ঘটতে পারে। এখনো সেটা ঘটার সময় আছে। বিএনপি আসলেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চাইছে না, নাকি এটা তাদের ক্ষমতাসীনদের চাপে রাখার একটা কৌশল; সেটাও পরিষ্কার হওয়ার সময় এখনো আছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে