রয়টার্স, লিমা
শেয়ালের চরিত্র কারও অজানা নয়। এ কারণেই ধূর্ত মানুষকে শেয়ালের সঙ্গে তুলনা করা হয়। চুপিসারে হানা দিয়ে হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাওয়া কিংবা খেয়ে পালক-হাড় ফেলে যাওয়া শেয়ালের জন্য তেমন কঠিন কাজ নয়। আর এ কারণেই অনেকে বাড়িতে কুকুর পোষেন। প্রভুভক্ত এই প্রাণীটিকে যে শেয়াল জমের মতো ভয় পায়, তা সবারই জানা। কিন্তু পেরুর একটি পরিবার ‘কুকুর’ ভেবে যে ছানাটি কিনে এনেছিল, তা কিছুতেই কুকুর ছিল না। প্রতিবেশীদের হাঁস-মুরগি সামনে পেয়েই প্রাণীটি প্রমাণ করে দেয়, সে শেয়াল ছাড়া আর কিছু নয়।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার বাসিন্দা মারিবেল সোতেলো ও তাঁর পরিবার কিছুদিন আগে দোকান থেকে একটি ‘কুকুরছানা’ কিনে আনেন। তখন তাঁরা ভুলেও ভাবতে পারেননি তাঁরা আসলে একটি শেয়ালছানা কিনেছেন। ছানাটিও প্রথমদিকে কুকুরের মতোই আচরণ করেছে, প্রতিবেশীদের কুকুরের সঙ্গে খেলা করেছে। কিন্তু ছানাটি একটু বড় হতেই গোলমাল ধরা পড়ে। প্রাণীটি প্রতিবেশীদের হাঁস-মুরগি ধাওয়া করতে শুরু করে। ভাবটা এমন যে সেগুলোকে তেড়ে ধরে খেয়ে ফেলবে সে।
এভাবে কয়েক দিন চলার পর প্রতিবেশীরা অভিযোগ করতে শুরু করলেন। আরেকটু বড় হতেই শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য আরও স্পষ্ট হলো। চিকন পায়ের প্রাণীটির লেজ লোমশ, মুখমণ্ডল চোখা আর কান খাড়া হয়ে উঠল। পরে জানা যায়, এটি আসলে আন্দিয়ান প্রজাতির শেয়াল।
আন্দিয়ান প্রজাতির শেয়াল আসলে ঠিক পুরোপুরি শেয়াল নয়। মূলত নেকড়ে আর খেঁকশেয়ালের মাঝামাঝি একটি প্রজাতি এটি। বিজ্ঞানীদের মতে, দক্ষিণ আমেরিকান প্রজাতির শেয়ালের একটি অংশ প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত হয়ে আজকের আন্দিয়ান শেয়ালে পরিণত হয়েছে। এই প্রজাতি জোরো কালপিও, আন্দিয়ান জোরো, পারামো নেকড়ে, আন্দিয়ান নেকড়ে এবং কলপিও শেয়াল নামেও পরিচিত।
শেয়ালটির মালিক মারিবেল সোতেলো বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, প্রাণীটি খাঁটি কুকুরছানা। ছয় মাস আগে আমার কিশোর ছেলে একটি দোকান থেকে ১৩ মার্কিন ডলার দিয়ে ছানাটি কিনে আনে।’ কিছুটা অনুশোচনা নিয়েই তিনি বলেন, ‘একদিন প্রতিবেশী এক নারী অভিযোগ করলেন, আমাদের পোষা প্রাণী তাঁর তিনটি গিনিপিগ খেয়ে ফেলেছে। ওই তিন গিনিপিগের মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে আমাদের।’ তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে শেয়ালটি বাড়ি ছেড়ে পালায়। পেরুর পুলিশ এবং জাতীয় বন ও বন্য প্রাণী সংস্থার কর্মকর্তারা তাকে খুঁজছে। প্রাণীটিকে পাওয়া গেলে বিশেষ কোনো প্রাণী কেন্দ্র বা চিড়িয়াখানায় রাখা হবে।
পশুচিকিৎসক ও পেরুর জাতীয় বন ও বন্য প্রাণী সংস্থার বিশেষজ্ঞ ওয়াল্টার সিলভা বলেন, আমাজন অঞ্চল থেকে পাচারকারীরা অনেক প্রাণী লিমায় আনে। ওই শেয়ালটিও পাচারের শিকার। এরপর সেটিকে কুকুর বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছর তাঁর সংস্থা শুধু রাজধানী লিমাতেই ১২৮টি অভিযান চালিয়ে বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছে। পেরুতে বন্য প্রাণী পাচার ও অবৈধভাবে কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তারপরও পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
শেয়ালের চরিত্র কারও অজানা নয়। এ কারণেই ধূর্ত মানুষকে শেয়ালের সঙ্গে তুলনা করা হয়। চুপিসারে হানা দিয়ে হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাওয়া কিংবা খেয়ে পালক-হাড় ফেলে যাওয়া শেয়ালের জন্য তেমন কঠিন কাজ নয়। আর এ কারণেই অনেকে বাড়িতে কুকুর পোষেন। প্রভুভক্ত এই প্রাণীটিকে যে শেয়াল জমের মতো ভয় পায়, তা সবারই জানা। কিন্তু পেরুর একটি পরিবার ‘কুকুর’ ভেবে যে ছানাটি কিনে এনেছিল, তা কিছুতেই কুকুর ছিল না। প্রতিবেশীদের হাঁস-মুরগি সামনে পেয়েই প্রাণীটি প্রমাণ করে দেয়, সে শেয়াল ছাড়া আর কিছু নয়।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার বাসিন্দা মারিবেল সোতেলো ও তাঁর পরিবার কিছুদিন আগে দোকান থেকে একটি ‘কুকুরছানা’ কিনে আনেন। তখন তাঁরা ভুলেও ভাবতে পারেননি তাঁরা আসলে একটি শেয়ালছানা কিনেছেন। ছানাটিও প্রথমদিকে কুকুরের মতোই আচরণ করেছে, প্রতিবেশীদের কুকুরের সঙ্গে খেলা করেছে। কিন্তু ছানাটি একটু বড় হতেই গোলমাল ধরা পড়ে। প্রাণীটি প্রতিবেশীদের হাঁস-মুরগি ধাওয়া করতে শুরু করে। ভাবটা এমন যে সেগুলোকে তেড়ে ধরে খেয়ে ফেলবে সে।
এভাবে কয়েক দিন চলার পর প্রতিবেশীরা অভিযোগ করতে শুরু করলেন। আরেকটু বড় হতেই শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য আরও স্পষ্ট হলো। চিকন পায়ের প্রাণীটির লেজ লোমশ, মুখমণ্ডল চোখা আর কান খাড়া হয়ে উঠল। পরে জানা যায়, এটি আসলে আন্দিয়ান প্রজাতির শেয়াল।
আন্দিয়ান প্রজাতির শেয়াল আসলে ঠিক পুরোপুরি শেয়াল নয়। মূলত নেকড়ে আর খেঁকশেয়ালের মাঝামাঝি একটি প্রজাতি এটি। বিজ্ঞানীদের মতে, দক্ষিণ আমেরিকান প্রজাতির শেয়ালের একটি অংশ প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত হয়ে আজকের আন্দিয়ান শেয়ালে পরিণত হয়েছে। এই প্রজাতি জোরো কালপিও, আন্দিয়ান জোরো, পারামো নেকড়ে, আন্দিয়ান নেকড়ে এবং কলপিও শেয়াল নামেও পরিচিত।
শেয়ালটির মালিক মারিবেল সোতেলো বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, প্রাণীটি খাঁটি কুকুরছানা। ছয় মাস আগে আমার কিশোর ছেলে একটি দোকান থেকে ১৩ মার্কিন ডলার দিয়ে ছানাটি কিনে আনে।’ কিছুটা অনুশোচনা নিয়েই তিনি বলেন, ‘একদিন প্রতিবেশী এক নারী অভিযোগ করলেন, আমাদের পোষা প্রাণী তাঁর তিনটি গিনিপিগ খেয়ে ফেলেছে। ওই তিন গিনিপিগের মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে আমাদের।’ তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে শেয়ালটি বাড়ি ছেড়ে পালায়। পেরুর পুলিশ এবং জাতীয় বন ও বন্য প্রাণী সংস্থার কর্মকর্তারা তাকে খুঁজছে। প্রাণীটিকে পাওয়া গেলে বিশেষ কোনো প্রাণী কেন্দ্র বা চিড়িয়াখানায় রাখা হবে।
পশুচিকিৎসক ও পেরুর জাতীয় বন ও বন্য প্রাণী সংস্থার বিশেষজ্ঞ ওয়াল্টার সিলভা বলেন, আমাজন অঞ্চল থেকে পাচারকারীরা অনেক প্রাণী লিমায় আনে। ওই শেয়ালটিও পাচারের শিকার। এরপর সেটিকে কুকুর বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছর তাঁর সংস্থা শুধু রাজধানী লিমাতেই ১২৮টি অভিযান চালিয়ে বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছে। পেরুতে বন্য প্রাণী পাচার ও অবৈধভাবে কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তারপরও পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে