আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী একটানা এক জায়গায় তিন বছরের বেশি থাকার সুযোগ না থাকলেও তিনি আছেন সাত বছর ধরে। অনিয়ম-দুর্নীতির নিরাপদ ক্ষেত্র তৈরি করায় তিনি এই উপজেলা ছাড়ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষকেরা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেন। তবে অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে আছেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষা কর্মকর্তার নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অন্যতম হলো অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি। সাতক্ষীরা দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) তথ্যে জানা যায়, সাতক্ষীরা সিটি কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের কারণে দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাভোগ করেছেন সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদসহ পাঁচ শিক্ষক।
ওই শিক্ষক ও কর্মচারীদের একাধিকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৬৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই নিয়োগ ফাইল ছেড়েছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। একই সময়ে প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পাওয়া ১৫ জন সহকারী অধ্যাপকের কাছ থেকে তিনি ঘুষ নেন সাড়ে সাত লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর ওই নিয়োগ নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ২১ শিক্ষকের এমপিও বিধিসম্মত নয় বলে উল্লেখ করে তাঁদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের ১৫ জুন দুদকের নির্দেশে মাউশির খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক হারুণ-অর-রশিদ সিটি কলেজের যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাতে শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন না বলে উল্লেখ করেছেন।
এমনকি নিজের স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে চাকরি পাইয়ের দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন কার্যকর হওয়ার আগের দিন তাঁর স্ত্রী জেসমিন নাহারের জন্য নিয়োগ বোর্ড গঠন ও যোগদান দেখানো হয়। এটিও বিধিসম্মত নয় বলে শিক্ষা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
আগে কলেজের শিক্ষকদেরও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রাথমিক আবেদন দিতে হতো জানিয়ে সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাকে বঞ্চিত করে বিধিবহির্ভূতভাবে রুনা লায়লা নামের একজন শিক্ষকের নিয়োগ এবং তাঁর এমপিও বন্ধের জন্য ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করি। কিন্তু তিনি আবেদনটি গ্রহণ করেননি; বরং অপমান করেন।’
সিটি কলেজের এক প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তকরণে প্রতিজনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন জাহিদুর রহমান। এটা কলেজের সবাই জানে। এমনকি সহকারী অধ্যাপকের স্কেল ছাড় করাতেও তাঁকে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়েছে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা জানান, সরকারের দেওয়া বিনা মূল্যের বই পেতেও ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে। সদর উপজেলার ১০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো পাঠ্যপুস্তকের পরিবহন ব্যয় বাবদ সরকারি ৯৮ হাজার টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সময় মাউশির প্রতিনিধি হিসেবে পদভেদে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দিতে হয় তাঁকে। এ ছাড়া নতুন এমপিওভুক্তির জন্য জনপ্রতি ঘুষ দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। এমনকি ম্যানেজিং কমিটি গঠনেও নেন মোটা অঙ্কের টাকা।
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সময় মাউশির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। প্রতি বোর্ড বাবদ জাহিদুর রহমানকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। উপজেলার সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য ব্যানবেইসে পাঠানোর জন্যও তাঁকে ঘুষ দিতে হয় বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ৪৮টি মাদ্রাসা ও ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর কলেজ রয়েছে ১২টি। শিক্ষক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৪টি নিয়োগ বোর্ড বসে। বছরের হিসাবে সেটা দাঁড়ায় শতাধিক। ৭ বছরে ৭ শতাধিক। এখান থেকে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্য করেছেন জাহিদুর রহমান।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা কর্মকর্তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান, পৌনে দুই কোটি টাকা দিয়ে জাহিদুর রহমান সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলে পাসপোর্ট অফিসের পাশে ৫ শতক এবং সিটি কলেজের পাশে ১০ শতক জমি কিনেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক রবি নির্বাচনে ফেল করায় একটা গ্রুপ আমাকে নিয়ে এসব কুৎসা রটাচ্ছে।’
জমি কেনা এবং একই উপজেলায় ৭ বছর থাকা প্রসঙ্গে জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে চাকরি করি। বেতনের টাকা থেকে জমিয়ে জমি কেনা হয়েছে।’ তবে জমির দাম উল্লেখ করা হিসাবের অর্ধেক বলে তিনি দাবি করেন। আর মাউশি অফিসে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় তিনি ৭ বছর একই স্টেশনে আছেন বলে জানান।
সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এলে আমি তাঁকে দ্রুত বদলি হয়ে অন্য জায়গায় যেতে বলেছিলাম।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, একই স্টেশনে ৭ বছর থাকার কোনো নিয়ম নেই। তিনি বিষয়গুলো খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। ওই কর্মকর্তা কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী একটানা এক জায়গায় তিন বছরের বেশি থাকার সুযোগ না থাকলেও তিনি আছেন সাত বছর ধরে। অনিয়ম-দুর্নীতির নিরাপদ ক্ষেত্র তৈরি করায় তিনি এই উপজেলা ছাড়ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষকেরা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেন। তবে অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে আছেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষা কর্মকর্তার নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অন্যতম হলো অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি। সাতক্ষীরা দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) তথ্যে জানা যায়, সাতক্ষীরা সিটি কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের কারণে দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাভোগ করেছেন সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদসহ পাঁচ শিক্ষক।
ওই শিক্ষক ও কর্মচারীদের একাধিকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৬৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই নিয়োগ ফাইল ছেড়েছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। একই সময়ে প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পাওয়া ১৫ জন সহকারী অধ্যাপকের কাছ থেকে তিনি ঘুষ নেন সাড়ে সাত লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর ওই নিয়োগ নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ২১ শিক্ষকের এমপিও বিধিসম্মত নয় বলে উল্লেখ করে তাঁদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালের ১৫ জুন দুদকের নির্দেশে মাউশির খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক হারুণ-অর-রশিদ সিটি কলেজের যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাতে শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন না বলে উল্লেখ করেছেন।
এমনকি নিজের স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে চাকরি পাইয়ের দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন কার্যকর হওয়ার আগের দিন তাঁর স্ত্রী জেসমিন নাহারের জন্য নিয়োগ বোর্ড গঠন ও যোগদান দেখানো হয়। এটিও বিধিসম্মত নয় বলে শিক্ষা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
আগে কলেজের শিক্ষকদেরও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রাথমিক আবেদন দিতে হতো জানিয়ে সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাকে বঞ্চিত করে বিধিবহির্ভূতভাবে রুনা লায়লা নামের একজন শিক্ষকের নিয়োগ এবং তাঁর এমপিও বন্ধের জন্য ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করি। কিন্তু তিনি আবেদনটি গ্রহণ করেননি; বরং অপমান করেন।’
সিটি কলেজের এক প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তকরণে প্রতিজনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন জাহিদুর রহমান। এটা কলেজের সবাই জানে। এমনকি সহকারী অধ্যাপকের স্কেল ছাড় করাতেও তাঁকে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়েছে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা জানান, সরকারের দেওয়া বিনা মূল্যের বই পেতেও ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে। সদর উপজেলার ১০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো পাঠ্যপুস্তকের পরিবহন ব্যয় বাবদ সরকারি ৯৮ হাজার টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সময় মাউশির প্রতিনিধি হিসেবে পদভেদে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দিতে হয় তাঁকে। এ ছাড়া নতুন এমপিওভুক্তির জন্য জনপ্রতি ঘুষ দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। এমনকি ম্যানেজিং কমিটি গঠনেও নেন মোটা অঙ্কের টাকা।
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সময় মাউশির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। প্রতি বোর্ড বাবদ জাহিদুর রহমানকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। উপজেলার সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য ব্যানবেইসে পাঠানোর জন্যও তাঁকে ঘুষ দিতে হয় বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ৪৮টি মাদ্রাসা ও ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর কলেজ রয়েছে ১২টি। শিক্ষক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৪টি নিয়োগ বোর্ড বসে। বছরের হিসাবে সেটা দাঁড়ায় শতাধিক। ৭ বছরে ৭ শতাধিক। এখান থেকে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্য করেছেন জাহিদুর রহমান।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা কর্মকর্তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান, পৌনে দুই কোটি টাকা দিয়ে জাহিদুর রহমান সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলে পাসপোর্ট অফিসের পাশে ৫ শতক এবং সিটি কলেজের পাশে ১০ শতক জমি কিনেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক রবি নির্বাচনে ফেল করায় একটা গ্রুপ আমাকে নিয়ে এসব কুৎসা রটাচ্ছে।’
জমি কেনা এবং একই উপজেলায় ৭ বছর থাকা প্রসঙ্গে জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে চাকরি করি। বেতনের টাকা থেকে জমিয়ে জমি কেনা হয়েছে।’ তবে জমির দাম উল্লেখ করা হিসাবের অর্ধেক বলে তিনি দাবি করেন। আর মাউশি অফিসে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় তিনি ৭ বছর একই স্টেশনে আছেন বলে জানান।
সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এলে আমি তাঁকে দ্রুত বদলি হয়ে অন্য জায়গায় যেতে বলেছিলাম।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, একই স্টেশনে ৭ বছর থাকার কোনো নিয়ম নেই। তিনি বিষয়গুলো খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। ওই কর্মকর্তা কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে