সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বৃদ্ধি পেলেও নারায়ণগঞ্জের খুচরা বাজারে এ তেল পাওয়া যাচ্ছে না। দুই-এক দোকানে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার তেল নতুন নির্ধারিত ১৯৮ টাকারও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে বোতলজাত পাওয়া না গেলেও খোলা তেল পাওয়া যাচ্ছে। এ তেলও কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
বাড়তি দামের পেছনে বোতলের গায়ের মূল্যে তেল কেনা এবং পরিবহন খরচকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া বাজারজুড়ে তেলের সংকটের পেছনে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তেল না দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় খুচরা বাজার দ্বিগু বাবুর বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। ঈদের আগ থেকে শুরু হওয়া তেলের সংকট চলছে এখনো। দাম বৃদ্ধির পর প্রতিটি দোকানে তেল পাওয়া যেতে পারে—এমন সংবাদে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে খোলা তেল কিনছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগ থেকেই পরিবেশকেরা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে অল্প কিছু এলেও তা কিনতে হয়েছে বোতলের গায়ে লেখা দামে। এ ছাড়া পরিবেশকেরা তেল দোকানে পৌঁছে না দেওয়ায় বাড়তি পরিবহন খরচের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে তেল নিয়ে আসতে হয়েছে দোকানিদের।
দ্বিগু বাবু বাজারের নেপাল স্টোরের মালিক শংকর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের ৫ লিটার তেলের বোতলের দাম ১ হাজার টাকা। গায়ের মূল্যে বেচার সুযোগ নাই। ১ লিটার ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তেল নাই। বাড়তি দাম দিয়া আমরা কিন্না আনছি। এইভাবেই বেচতে হইব।’
বাজারের হেলাল স্টোরের মালিক হেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘দোকানে কোনো বোতল সয়াবিন নাই। খোলা সয়াবিন বেচতাছি। প্রতি লিটার ২০৫ টাকা। পুরোনো বোতলে খোলা তেল ভইরা রাখছি। যার দরকার নিতাছে।’
খোলা তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘১৮০ টাকায় আমি কেমনে বেচুম? আমার কেনা আর যাতায়াত খরচ মিলায়া পড়ছে ২০০ টাকার ওপরে।’
শুধু সয়াবিনই নয়, সংকট রয়েছে পাম অয়েলেরও। নারায়ণগঞ্জের সর্ববৃহৎ এই খুচরা বাজার ঘুরে মাত্র দু-তিনটি দোকানে পাম অয়েলের দেখা মিলেছে। তাও বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে। তবে সরবরাহ ও বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে সরিষা, রাইস ব্র্যান ও সূর্যমুখী তেলের। তবে সেসবের ক্রেতা কম।
বাজারের মোস্তফা স্টোরের মালিক মোস্তফা বলেন, ‘গত ২৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত একজন ডিলারেরও দেখা নাই। তীর, রূপচাঁদা আর বসুন্ধরা কোম্পানির লোকজন বাজারে তেল দিত। এখন একটা কোম্পানিও আসে না। এই তেল দোকানে ওঠাতে পারলে অন্তত ২ লাখ টাকার বেচাকেনা বেশি হতো। আমার ২৫ শতাংশ ক্রেতা এসে ফিরে যাচ্ছে।’
স্কুলশিক্ষক কবীর হোসেন বলেন, ‘দাম বাড়ানোর পর ভেবেছি সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল পাব। সবাই বলাবলি করছিল, দোকানিরা যা স্টক করেছেন তা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৫ লিটার তেল ১ হাজার টাকা দিয়ে কেনার অবস্থা নেই আমাদের। বাধ্য হয়ে ১ লিটারের দুটি বোতল নিয়েই ফিরছি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘মাত্রই তো তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে সমস্যার বিষয়ে আমার বক্তব্য নেই। আমাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। তবে যদি কোনো দোকান আইন অমান্য করে তেল বিক্রি করে, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বৃদ্ধি পেলেও নারায়ণগঞ্জের খুচরা বাজারে এ তেল পাওয়া যাচ্ছে না। দুই-এক দোকানে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার তেল নতুন নির্ধারিত ১৯৮ টাকারও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে বোতলজাত পাওয়া না গেলেও খোলা তেল পাওয়া যাচ্ছে। এ তেলও কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
বাড়তি দামের পেছনে বোতলের গায়ের মূল্যে তেল কেনা এবং পরিবহন খরচকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া বাজারজুড়ে তেলের সংকটের পেছনে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তেল না দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় খুচরা বাজার দ্বিগু বাবুর বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। ঈদের আগ থেকে শুরু হওয়া তেলের সংকট চলছে এখনো। দাম বৃদ্ধির পর প্রতিটি দোকানে তেল পাওয়া যেতে পারে—এমন সংবাদে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে খোলা তেল কিনছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগ থেকেই পরিবেশকেরা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে অল্প কিছু এলেও তা কিনতে হয়েছে বোতলের গায়ে লেখা দামে। এ ছাড়া পরিবেশকেরা তেল দোকানে পৌঁছে না দেওয়ায় বাড়তি পরিবহন খরচের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে তেল নিয়ে আসতে হয়েছে দোকানিদের।
দ্বিগু বাবু বাজারের নেপাল স্টোরের মালিক শংকর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের ৫ লিটার তেলের বোতলের দাম ১ হাজার টাকা। গায়ের মূল্যে বেচার সুযোগ নাই। ১ লিটার ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তেল নাই। বাড়তি দাম দিয়া আমরা কিন্না আনছি। এইভাবেই বেচতে হইব।’
বাজারের হেলাল স্টোরের মালিক হেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘দোকানে কোনো বোতল সয়াবিন নাই। খোলা সয়াবিন বেচতাছি। প্রতি লিটার ২০৫ টাকা। পুরোনো বোতলে খোলা তেল ভইরা রাখছি। যার দরকার নিতাছে।’
খোলা তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘১৮০ টাকায় আমি কেমনে বেচুম? আমার কেনা আর যাতায়াত খরচ মিলায়া পড়ছে ২০০ টাকার ওপরে।’
শুধু সয়াবিনই নয়, সংকট রয়েছে পাম অয়েলেরও। নারায়ণগঞ্জের সর্ববৃহৎ এই খুচরা বাজার ঘুরে মাত্র দু-তিনটি দোকানে পাম অয়েলের দেখা মিলেছে। তাও বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে। তবে সরবরাহ ও বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে সরিষা, রাইস ব্র্যান ও সূর্যমুখী তেলের। তবে সেসবের ক্রেতা কম।
বাজারের মোস্তফা স্টোরের মালিক মোস্তফা বলেন, ‘গত ২৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত একজন ডিলারেরও দেখা নাই। তীর, রূপচাঁদা আর বসুন্ধরা কোম্পানির লোকজন বাজারে তেল দিত। এখন একটা কোম্পানিও আসে না। এই তেল দোকানে ওঠাতে পারলে অন্তত ২ লাখ টাকার বেচাকেনা বেশি হতো। আমার ২৫ শতাংশ ক্রেতা এসে ফিরে যাচ্ছে।’
স্কুলশিক্ষক কবীর হোসেন বলেন, ‘দাম বাড়ানোর পর ভেবেছি সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল পাব। সবাই বলাবলি করছিল, দোকানিরা যা স্টক করেছেন তা ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৫ লিটার তেল ১ হাজার টাকা দিয়ে কেনার অবস্থা নেই আমাদের। বাধ্য হয়ে ১ লিটারের দুটি বোতল নিয়েই ফিরছি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘মাত্রই তো তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে সমস্যার বিষয়ে আমার বক্তব্য নেই। আমাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। তবে যদি কোনো দোকান আইন অমান্য করে তেল বিক্রি করে, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে