বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড়ে আশা জাগাচ্ছে সীমান্তের ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১’। এই মৈত্রী সেতুকে ঘিরে এলাকার আর্থ-সামাজিকভাবে অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে উদ্বোধনের পর সেতুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত দর্শনার্থী। তবে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেতুর ওপর উঠতে বাধা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দৃষ্টিনন্দিত সৌন্দর্যের মৈত্রী সেতুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী মহামুনি এলাকায় অবস্থিত।
জানা গেছে, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীর ওপর ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১’ এর ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন। ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর উদ্বোধন করেন। সেতুটি একদিকে রামগড়ের বারৈইয়ার হাট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে, অপরদিকে ভারতের নবীনপাড়া ঠাকুরপল্লি হয়ে সাব্রুম আগরতলা জাতীয় সড়কসহ রেলপথ যুক্ত হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থ মৈত্রী সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৮২ কোটি টাকা। তবে ২৮৬ একর জমির ওপর নির্মাণ এলাকায় মূল সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর শুরু হওয়া সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি। সেতুটি নির্মাণ করে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) তানিশচন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেড।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বহুল প্রতীক্ষিত মৈত্রী সেতু দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে জিপ, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলে শত লোক ছুটে আসছেন, সেতুটি দেখতে আসছেন রামগড়ের সীমান্তের মহামুনি এলাকায়। তবে নিরাপত্তার কারণে প্রকল্প এলাকাসহ সেতুর ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি।
সেতু দেখতে খাগড়াছড়ি থেকে আসা মফিজুর রহমান বলেন, চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে খাগড়াছড়ি থাকেন তিনি। রামগড়ে তাঁর পৈতৃক নিবাস। সেতু নির্মাণের খবরে অনেক আগেই আনন্দিত হয়েছিলেন। স্বপ্নের এই সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ার পর তর সইছিল না তাঁর। তাই ছেলেমেয়ে নিয়ে সেতু দেখতে চলে এসেছেন।
সেতু দেখতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রামগড়ের বাসিন্দা তাওহীদা ফেরদৌস বৃষ্টি বলেন, রামগড় পর্যটনের শহর। এই শহরের বুকে এমন একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু শহরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেবে। এর সঙ্গে রামগড়ে স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন, কর্মসংস্থান বাড়বে। অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে এর মাধ্যমে।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের পর স্থল বন্দরের কার্যক্রম চালু হলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। এই স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলেও আশা করেন তিনি।
মেয়র আলম কামাল জানান, পরিবার নিয়ে পর্যটকেরা সেতু দেখতে আসেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পৌর কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মৈত্রী সেতুটি মোট ১২টির পিলারের মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৮টি ও ভারতের অংশে ৪টি রয়েছে। এতে স্প্যান রয়েছে ১১টি। নদীর ওপর ৮০ মিটারের একটি স্প্যান ছাড়াও বাংলাদেশ অংশে সাড়ে ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি, সাড়ে ২৭ মিটারের ৪টি ও ৫০ মিটারের একটি স্প্যান রয়েছেন। এ ছাড়া ভারতের অংশে ৫০ মিটারের একটি ও সাড়ে ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি স্প্যান রয়েছে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে আশা জাগাচ্ছে সীমান্তের ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১’। এই মৈত্রী সেতুকে ঘিরে এলাকার আর্থ-সামাজিকভাবে অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে উদ্বোধনের পর সেতুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত দর্শনার্থী। তবে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেতুর ওপর উঠতে বাধা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দৃষ্টিনন্দিত সৌন্দর্যের মৈত্রী সেতুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী মহামুনি এলাকায় অবস্থিত।
জানা গেছে, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীর ওপর ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১’ এর ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন। ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর উদ্বোধন করেন। সেতুটি একদিকে রামগড়ের বারৈইয়ার হাট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে, অপরদিকে ভারতের নবীনপাড়া ঠাকুরপল্লি হয়ে সাব্রুম আগরতলা জাতীয় সড়কসহ রেলপথ যুক্ত হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থ মৈত্রী সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৮২ কোটি টাকা। তবে ২৮৬ একর জমির ওপর নির্মাণ এলাকায় মূল সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর শুরু হওয়া সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি। সেতুটি নির্মাণ করে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেডের (এনএইচআইডিসিএল) তানিশচন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেড।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বহুল প্রতীক্ষিত মৈত্রী সেতু দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে জিপ, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলে শত লোক ছুটে আসছেন, সেতুটি দেখতে আসছেন রামগড়ের সীমান্তের মহামুনি এলাকায়। তবে নিরাপত্তার কারণে প্রকল্প এলাকাসহ সেতুর ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি।
সেতু দেখতে খাগড়াছড়ি থেকে আসা মফিজুর রহমান বলেন, চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে খাগড়াছড়ি থাকেন তিনি। রামগড়ে তাঁর পৈতৃক নিবাস। সেতু নির্মাণের খবরে অনেক আগেই আনন্দিত হয়েছিলেন। স্বপ্নের এই সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ার পর তর সইছিল না তাঁর। তাই ছেলেমেয়ে নিয়ে সেতু দেখতে চলে এসেছেন।
সেতু দেখতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রামগড়ের বাসিন্দা তাওহীদা ফেরদৌস বৃষ্টি বলেন, রামগড় পর্যটনের শহর। এই শহরের বুকে এমন একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু শহরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেবে। এর সঙ্গে রামগড়ে স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন, কর্মসংস্থান বাড়বে। অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে এর মাধ্যমে।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের পর স্থল বন্দরের কার্যক্রম চালু হলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। এই স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলেও আশা করেন তিনি।
মেয়র আলম কামাল জানান, পরিবার নিয়ে পর্যটকেরা সেতু দেখতে আসেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পৌর কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মৈত্রী সেতুটি মোট ১২টির পিলারের মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৮টি ও ভারতের অংশে ৪টি রয়েছে। এতে স্প্যান রয়েছে ১১টি। নদীর ওপর ৮০ মিটারের একটি স্প্যান ছাড়াও বাংলাদেশ অংশে সাড়ে ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি, সাড়ে ২৭ মিটারের ৪টি ও ৫০ মিটারের একটি স্প্যান রয়েছেন। এ ছাড়া ভারতের অংশে ৫০ মিটারের একটি ও সাড়ে ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি স্প্যান রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে