মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে মাত্র ১ কিলোমিটার নদীশাসন না হওয়ায় ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর ১০ গজ নদী ভাঙলেই হারিয়ে যাবে এই প্রতিষ্ঠান দুটি। দ্রুত নদীশাসন করে বিদ্যালয় দুটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর পাশেই ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩ শতাধিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আড়াই শ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জয়ন্তী নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। বিশেষ করে বর্ষার শেষে পানি কমতে শুরু করলে ভাঙন বৃদ্ধি পায়। নদীভাঙনে ইতিমধ্যে ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবন বিলীন হয়ে গেছে। সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। নদীভাঙন বেড়ে যাওয়ায় যেকোনো সময় বিদ্যালয় দুটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যালয়সংলগ্ন মারকাজ মসজিদটিও নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। মসজিদ এবং বিদ্যালয় দুটি রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন
বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় দুটি থাকায় এলাকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী হচ্ছে। নদীতে ভেঙে গেলে আশপাশে জায়গা না থাকায় বিদ্যালয় দুটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। বেশির ভাগ মেয়ে দূরের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখা করবে না। সে ক্ষেত্রে অনেকের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।
সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন সরদার বলেন, জয়ন্তী নদী থেকে স্কুল অনেকটা দূরে ছিল। ভাঙনে নদীটি বিদ্যালয়ের একেবারে কাছে চলে এসেছে। আর ১০ গজ ভাঙলেই বিদ্যালয় দুটি নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। মাত্র ১ কিলোমিটার নদীশাসন করা হলেই বিদ্যালয় দুটি রক্ষা করা সম্ভব।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হোসেন জানায়, এলাকার একমাত্র বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বে। অনেকের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা প্রয়োজন।
বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, ‘এর আগে ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। ভাঙনের মুখে থাকার বিষয়টি কেউ অবহিত করেননি। সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, দুটি বিদ্যালয় নদীভাঙনের হুমকিতে থাকার বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনরোধে কংক্রিট ব্লক দিয়ে শাসনের লক্ষ্যে বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের মুলাদীতে মাত্র ১ কিলোমিটার নদীশাসন না হওয়ায় ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর ১০ গজ নদী ভাঙলেই হারিয়ে যাবে এই প্রতিষ্ঠান দুটি। দ্রুত নদীশাসন করে বিদ্যালয় দুটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর পাশেই ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩ শতাধিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আড়াই শ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জয়ন্তী নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। বিশেষ করে বর্ষার শেষে পানি কমতে শুরু করলে ভাঙন বৃদ্ধি পায়। নদীভাঙনে ইতিমধ্যে ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবন বিলীন হয়ে গেছে। সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। নদীভাঙন বেড়ে যাওয়ায় যেকোনো সময় বিদ্যালয় দুটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যালয়সংলগ্ন মারকাজ মসজিদটিও নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। মসজিদ এবং বিদ্যালয় দুটি রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন
বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় দুটি থাকায় এলাকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় বেশি আগ্রহী হচ্ছে। নদীতে ভেঙে গেলে আশপাশে জায়গা না থাকায় বিদ্যালয় দুটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। বেশির ভাগ মেয়ে দূরের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখা করবে না। সে ক্ষেত্রে অনেকের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।
সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন সরদার বলেন, জয়ন্তী নদী থেকে স্কুল অনেকটা দূরে ছিল। ভাঙনে নদীটি বিদ্যালয়ের একেবারে কাছে চলে এসেছে। আর ১০ গজ ভাঙলেই বিদ্যালয় দুটি নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। মাত্র ১ কিলোমিটার নদীশাসন করা হলেই বিদ্যালয় দুটি রক্ষা করা সম্ভব।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হোসেন জানায়, এলাকার একমাত্র বিদ্যালয়টি নদীতে ভেঙে গেলে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বে। অনেকের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা প্রয়োজন।
বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, ‘এর আগে ব্রজমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। ভাঙনের মুখে থাকার বিষয়টি কেউ অবহিত করেননি। সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, দুটি বিদ্যালয় নদীভাঙনের হুমকিতে থাকার বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনরোধে কংক্রিট ব্লক দিয়ে শাসনের লক্ষ্যে বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে