বাগেরহাট প্রতিনিধি
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি-বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খনন শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। খননের মাধ্যমে ভূমির স্তরবিন্যাস, স্থাপত্যশৈলী ও কালানুক্রমিক বের করার চেষ্টা করা হবে।
মাটির নিচে পাওয়া বিভিন্ন বস্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিবন্ধন করে বিভিন্ন জাদুঘরে রাখা হবে। এই গবেষণার ফলাফল খানজাহান আমলের বিভিন্ন স্থাপনার প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইউনেসকো ১৯৮৫ সালে খান জাহান আলী (রহ.)-এর নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদসহ ১৭টি স্থাপনাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা এলাকায় অবস্থিত খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা অন্যতম।
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে খানজাহানের বসতভিটা অবহেলিত ছিল। স্থানীয়দের গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছিল বসতভিটার ঢিবিগুলো। ২০০০ সালের পরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই বসতভিটাকে প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব নির্ণয়ের জন্য কয়েক দফায় খনন করে। টিনশেডের একটি সাইড অফিসও তৈরি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতার নেতৃত্বে আবারও খননকাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গ্রেডের সাতজন কর্মকর্তা ও অনিয়মিত ১৪ জন শ্রমিক এই খননকাজ ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া খননকাজে ইতিমধ্যে মাটির নিচে ইটের দেয়াল, সিমেন্ট ও বালুর তৈরি মেঝে, সুলতানি আমলে ব্যবহৃত মাটির তৈরি পানির পাত্র, মাটির ঢাকনাসহ নানা তৈজসপত্র ও বস্তু পাওয়া গেছে। এসব বস্তু দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। সাড়ে ৬০০ বছর আগের নিদর্শন দেখে খুশি তাঁরা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বাগমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তিথি বলে, ‘স্কুলে এসে শুনলাম খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খনন করা হচ্ছে।
পুরোনো আমলের অনেক কিছু পাওয়া গেছে। এখানে এসে দেখলাম। সাড়ে ৬০০ বছরের পুরোনো ইটের দেয়াল ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র দেখে খুব ভালো লাগল।’
ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী চাঁদনি বলে, ‘বন্ধুদের সঙ্গে এখানে খননকাজ দেখতে এসেছি। যাঁরা খনন করছেন, তাঁরা আমাদের বিভিন্ন বস্তু দেখিয়ে ইতিহাস বলেন।
কীভাবে এগুলো মাটির নিচে এসেছে তা জেনে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে।’
চাকরির সুবাদে রাজশাহী থেকে বাগেরহাটে আসা মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে মাটির নিচের দেয়াল ও মেঝে দেখে বুঝলাম সাড়ে ৬০০ বছর আগেও আমাদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ছিল। এটা নিজ চোখে দেখে খুবই ভালো লাগল।’
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার আল আমিন বলেন, আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতার নেতৃত্বে তাঁরা বিভিন্ন গ্রেডের সাতজন কর্মকর্তা এই গবেষণাকাজ করছেন। এ ছাড়া খননের জন্য ১৪ জন অনিয়মিত শ্রমিক সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কাজ করছেন। এই কাজ খুবই সূক্ষ্মভাবে করতে হয়। একটু এদিক-ওদিক বা উল্টোপাল্টা হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বস্তু নষ্ট হতে পারে।
আল আমিন আরও বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই খননকাজ ৩১ জানুয়ারি শেষ হবে। এরপরও এই বসতভিটা নিয়ে তাঁদের গবেষণা চলমান থাকবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, তাঁদের খননকাজের মূল উদ্দেশ্য ভূমির স্তরবিন্যাস, স্থাপত্যশৈলী ও কালানুক্রম বের করা। খনন
করে পাওয়া স্থাপনা, ইট ও তৈজসপত্রসহ নানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তাঁরা গবেষণা করবেন। এ ছাড়া খনন করে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিবন্ধন করা হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নির্দেশে এসব বস্তু জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি-বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খনন শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। খননের মাধ্যমে ভূমির স্তরবিন্যাস, স্থাপত্যশৈলী ও কালানুক্রমিক বের করার চেষ্টা করা হবে।
মাটির নিচে পাওয়া বিভিন্ন বস্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিবন্ধন করে বিভিন্ন জাদুঘরে রাখা হবে। এই গবেষণার ফলাফল খানজাহান আমলের বিভিন্ন স্থাপনার প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইউনেসকো ১৯৮৫ সালে খান জাহান আলী (রহ.)-এর নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদসহ ১৭টি স্থাপনাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা এলাকায় অবস্থিত খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা অন্যতম।
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে খানজাহানের বসতভিটা অবহেলিত ছিল। স্থানীয়দের গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছিল বসতভিটার ঢিবিগুলো। ২০০০ সালের পরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই বসতভিটাকে প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব নির্ণয়ের জন্য কয়েক দফায় খনন করে। টিনশেডের একটি সাইড অফিসও তৈরি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতার নেতৃত্বে আবারও খননকাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গ্রেডের সাতজন কর্মকর্তা ও অনিয়মিত ১৪ জন শ্রমিক এই খননকাজ ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া খননকাজে ইতিমধ্যে মাটির নিচে ইটের দেয়াল, সিমেন্ট ও বালুর তৈরি মেঝে, সুলতানি আমলে ব্যবহৃত মাটির তৈরি পানির পাত্র, মাটির ঢাকনাসহ নানা তৈজসপত্র ও বস্তু পাওয়া গেছে। এসব বস্তু দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। সাড়ে ৬০০ বছর আগের নিদর্শন দেখে খুশি তাঁরা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বাগমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তিথি বলে, ‘স্কুলে এসে শুনলাম খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খনন করা হচ্ছে।
পুরোনো আমলের অনেক কিছু পাওয়া গেছে। এখানে এসে দেখলাম। সাড়ে ৬০০ বছরের পুরোনো ইটের দেয়াল ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র দেখে খুব ভালো লাগল।’
ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী চাঁদনি বলে, ‘বন্ধুদের সঙ্গে এখানে খননকাজ দেখতে এসেছি। যাঁরা খনন করছেন, তাঁরা আমাদের বিভিন্ন বস্তু দেখিয়ে ইতিহাস বলেন।
কীভাবে এগুলো মাটির নিচে এসেছে তা জেনে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে।’
চাকরির সুবাদে রাজশাহী থেকে বাগেরহাটে আসা মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে মাটির নিচের দেয়াল ও মেঝে দেখে বুঝলাম সাড়ে ৬০০ বছর আগেও আমাদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ছিল। এটা নিজ চোখে দেখে খুবই ভালো লাগল।’
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার আল আমিন বলেন, আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতার নেতৃত্বে তাঁরা বিভিন্ন গ্রেডের সাতজন কর্মকর্তা এই গবেষণাকাজ করছেন। এ ছাড়া খননের জন্য ১৪ জন অনিয়মিত শ্রমিক সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কাজ করছেন। এই কাজ খুবই সূক্ষ্মভাবে করতে হয়। একটু এদিক-ওদিক বা উল্টোপাল্টা হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বস্তু নষ্ট হতে পারে।
আল আমিন আরও বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই খননকাজ ৩১ জানুয়ারি শেষ হবে। এরপরও এই বসতভিটা নিয়ে তাঁদের গবেষণা চলমান থাকবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, তাঁদের খননকাজের মূল উদ্দেশ্য ভূমির স্তরবিন্যাস, স্থাপত্যশৈলী ও কালানুক্রম বের করা। খনন
করে পাওয়া স্থাপনা, ইট ও তৈজসপত্রসহ নানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তাঁরা গবেষণা করবেন। এ ছাড়া খনন করে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিবন্ধন করা হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নির্দেশে এসব বস্তু জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে