আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
নতুন বছরের প্রায় দেড় মাস চলে গেলেও এখনো গঙ্গাচড়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যের অনেক বই পায়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বইয়ের অভাবে তারা বাড়িতে ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না।
উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে নতুন বই পেয়েছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সব বিষয়ের বই পৌঁছায়নি। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি মাত্র বই পেয়েছে। আর সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধেক বই দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, মহামারি করোনা দুর্যোগের কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় দারুণ বিঘ্ন ঘটেছে। নতুন বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও আবার বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই বই পাওয়ার কথা থাকলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পায়নি। এতে তারা হতাশা প্রকাশ করেছে। আর সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে অভিভাবকেরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের স্কুলপাড়া গ্রামের মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ও এখন পর্যন্ত সব বই পায়নি। বই না পাওয়ায় সারা দিন শুধু মোবাইল ফোন নিয়ে পড়ে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে বাচ্চারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাবে। আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাচ্চারা যেন তাড়াতাড়ি বই পায়।’
বড়বিল ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক নামে আরেক অভিভাবক জানান, তাঁর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের বই না থাকায় সে পড়াশোনা করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘এমন হলে বাচ্চারা পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। কম্পিউটার ও মোবাইলের গেম নিয়ে ব্যস্ত থকবে।’
গঙ্গাচড়া মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি আল রোজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব বই পাইনি। বই না পাওয়ায় বাড়িতেও পড়াশোনা করতে পারছি না।’
একই কথা জানায় কোলকোন্দ এমএএম উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া। সে বলে, ‘আমাদের মাত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই দেওয়া হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ আরও অনেক বই হাতে পাইনি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। তাদের জন্য দাখিল পর্যায়ের ৯৭ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ, ইবতেদায়িতে ৬৪ শতাংশ ও ভকেশনালে শতভাগ বই এসেছে।
ধামুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সব শ্রেণির সব বিষয়ে বই পাইনি। এখন স্কুল বন্ধ। বই থাকলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে দেখে পড়াশোনা করতে পারত।’
গঙ্গাচড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, ষষ্ঠ শ্রেণি বাদে সব শ্রেণির বেশির ভাগ বই পাওয়া গেছে, কিছু বই বাকি আছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শুধুমাত্র আইসিটি বই মিলেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বই যেভাবে আসছে সেভাবেই বিতরণ করা হচ্ছে। আশা করছি চলতি মাসেই সব শ্রেণির সব বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।’
নতুন বছরের প্রায় দেড় মাস চলে গেলেও এখনো গঙ্গাচড়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যের অনেক বই পায়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বইয়ের অভাবে তারা বাড়িতে ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না।
উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে নতুন বই পেয়েছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সব বিষয়ের বই পৌঁছায়নি। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি মাত্র বই পেয়েছে। আর সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধেক বই দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, মহামারি করোনা দুর্যোগের কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় দারুণ বিঘ্ন ঘটেছে। নতুন বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও আবার বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই বই পাওয়ার কথা থাকলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই পায়নি। এতে তারা হতাশা প্রকাশ করেছে। আর সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে অভিভাবকেরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের স্কুলপাড়া গ্রামের মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ও এখন পর্যন্ত সব বই পায়নি। বই না পাওয়ায় সারা দিন শুধু মোবাইল ফোন নিয়ে পড়ে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে বাচ্চারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাবে। আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাচ্চারা যেন তাড়াতাড়ি বই পায়।’
বড়বিল ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক নামে আরেক অভিভাবক জানান, তাঁর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের বই না থাকায় সে পড়াশোনা করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘এমন হলে বাচ্চারা পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। কম্পিউটার ও মোবাইলের গেম নিয়ে ব্যস্ত থকবে।’
গঙ্গাচড়া মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি আল রোজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব বই পাইনি। বই না পাওয়ায় বাড়িতেও পড়াশোনা করতে পারছি না।’
একই কথা জানায় কোলকোন্দ এমএএম উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া। সে বলে, ‘আমাদের মাত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই দেওয়া হয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ আরও অনেক বই হাতে পাইনি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। তাদের জন্য দাখিল পর্যায়ের ৯৭ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ, ইবতেদায়িতে ৬৪ শতাংশ ও ভকেশনালে শতভাগ বই এসেছে।
ধামুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সব শ্রেণির সব বিষয়ে বই পাইনি। এখন স্কুল বন্ধ। বই থাকলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে দেখে পড়াশোনা করতে পারত।’
গঙ্গাচড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, ষষ্ঠ শ্রেণি বাদে সব শ্রেণির বেশির ভাগ বই পাওয়া গেছে, কিছু বই বাকি আছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শুধুমাত্র আইসিটি বই মিলেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বই যেভাবে আসছে সেভাবেই বিতরণ করা হচ্ছে। আশা করছি চলতি মাসেই সব শ্রেণির সব বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে