ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ ইউপিতেই রয়েছেন একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। অন্যদিকে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির সমর্থকেরা। তবে দলের বিদ্রোহীদের নিয়েই চিন্তিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউপিতে এবার চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২১৮ প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৭ জন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩০ জন লড়ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে ঘুরে এবং সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদেকপুর ও শিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তবে বাকি ৫টি ইউপিতে দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আগানগর ইউপিতে দুজন, শিমুলকান্দিতে তিনজন, গজারিয়ায় দুজন, কালিকাপ্রসাদে একজন ও শ্রীনগর ইউপিতে একজনসহ মোট ৯ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরাও রয়েছেন। এ কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে এমন প্রার্থী জট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, ইউপি নির্বাচনে, ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। নেতাদের কথা শুনছেন না কেউ। ফলে বিদ্রোহীদের কাছে অনেকটাই অসহায় মনে হচ্ছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে।’
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, তৃণমূলের জনপ্রিয় অনেক প্রার্থী মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। আর এই ভুলের খেসারত ভোটের দিনে দিতে হতে পারে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বা সামাল দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দিন-রাত দলীয় প্রার্থীদের নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার-প্রচারণাসহ পথসভা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রচারণা-প্রচারণা বা পথসভাগুলোতে অনেক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী গজারিয়ার ইউনিয়নের কাইসার আহমেদ ভূঁইয়া, আগানগর ইউনিয়নের সেলিম আহমেদ ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের আবদুল আজিজের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন পথসভায় ভয়ভীতি এবং হুমকি দিচ্ছেন। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নেতাদের এমন আচরণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি সমর্থিত হেভিওয়েট পাঁচজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ফলে প্রায় ৭টি ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাও নৌকার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে কেউ দলীয় পদে থাকতে পারবে না। অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভৈরবে ভোটগ্রহণ হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার উপজেলার ৭টি ইউপিতে সর্বমোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫৬ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ৭০টি ভোটকেন্দ্র ভোট গ্রহণ হবে।’
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ ইউপিতেই রয়েছেন একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। অন্যদিকে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির সমর্থকেরা। তবে দলের বিদ্রোহীদের নিয়েই চিন্তিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউপিতে এবার চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২১৮ প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৭ জন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩০ জন লড়ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে ঘুরে এবং সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদেকপুর ও শিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তবে বাকি ৫টি ইউপিতে দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আগানগর ইউপিতে দুজন, শিমুলকান্দিতে তিনজন, গজারিয়ায় দুজন, কালিকাপ্রসাদে একজন ও শ্রীনগর ইউপিতে একজনসহ মোট ৯ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের তালিকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরাও রয়েছেন। এ কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে এমন প্রার্থী জট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, ইউপি নির্বাচনে, ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। নেতাদের কথা শুনছেন না কেউ। ফলে বিদ্রোহীদের কাছে অনেকটাই অসহায় মনে হচ্ছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে।’
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, তৃণমূলের জনপ্রিয় অনেক প্রার্থী মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। আর এই ভুলের খেসারত ভোটের দিনে দিতে হতে পারে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বা সামাল দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দিন-রাত দলীয় প্রার্থীদের নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার-প্রচারণাসহ পথসভা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রচারণা-প্রচারণা বা পথসভাগুলোতে অনেক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী গজারিয়ার ইউনিয়নের কাইসার আহমেদ ভূঁইয়া, আগানগর ইউনিয়নের সেলিম আহমেদ ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের আবদুল আজিজের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন পথসভায় ভয়ভীতি এবং হুমকি দিচ্ছেন। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নেতাদের এমন আচরণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি সমর্থিত হেভিওয়েট পাঁচজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ফলে প্রায় ৭টি ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাও নৌকার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে কেউ দলীয় পদে থাকতে পারবে না। অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভৈরবে ভোটগ্রহণ হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার উপজেলার ৭টি ইউপিতে সর্বমোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫৬ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ৭০টি ভোটকেন্দ্র ভোট গ্রহণ হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে