সাইফুল মাসুম, ঢাকা
কেউ কিনেছেন ছোলা, মুড়ি, খেজুর; কেউ কিনেছেন সবজি, মুরগি, ডিম। কারও হাতে গরুর মাংস, আলু আর মসলা। রোজা শুরুর আগে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে দেখা গেল বাড়তি ভিড়। এর মধ্যে কাঁচাবাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও হাসি নেই ক্রেতা-বিক্রেতা কারও মুখেই। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম চাইছে। রমজানের বাজার তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়েছে, তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। এতে ক্রেতা অনেক কমে গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গতকাল মাঝারি মানের প্রতি কেজি খেজুর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। গত বছর রমজানে একই মানের খেজুরের দাম ছিল ২৫০-২৮০ টাকা। এক বছরে কেজিপ্রতি খেজুরের দাম বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা। রমজান শুরু হওয়ার আগেই একইভাবে বেড়ে গেছে চাল, ডাল, ছোলা, মুড়ি, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছর রমজান এলেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এ মাসের জন্য। এ সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা-বৈঠক করে নানা নির্দেশনা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে দেয় না। সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা তা মানেন না।
বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারে কথা হয় গৃহিণী জেসমিনের সঙ্গে। তিনি জানান, রোজার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে এসেছেন। ছোলা, মুড়ি ও কিছু সবজি কিনেছেন। দাম বেশি হওয়ায় পরিমাণে কম করে নিয়েছেন।
মগবাজার-মৌচাক এলাকার অলিগলিতে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন মো. পিন্টু। গত বুধবার তিনি বলেন, ‘সবজির দাম বেড়েছে ডাবল। বড় লাউ আগে ৫০ টাকায় বেচতাম, এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুন আগে ৭০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ৯০ টাকা। ২০ টাকার টমেটো এখন ৪০ টাকা। দুই দিন আগেও শসার কেজি ৩০ টাকা ছিল, এখন ৬০ টাকা।’
আজিমপুরের বাসিন্দা নাদিম নেওয়াজ বলেন, ‘কাঁচাবাজারে গেলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে ৬০ টাকায় বেগুন কিনেছি। এক দিনের ব্যবধানে আজ (বুধবার) ১০০ টাকা।’
বুধবারের তুলনায় গতকাল সবজির বাজারে দাম বেড়েছে আরেক দফা। হাতিরপুলের সবজি বিক্রেতা মেহেদী হাসান অপু বলেন, ‘বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে। কাল শসা ছিল ৬০ টাকা, আজ ৮০ টাকা। বেগুন ছিল ৮০, আজ ১০০ টাকা। লেবুর হালি ছিল ৪০, আজ ৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়স গতকাল ছিল ৭০, আজ ৮০ টাকা। দাম বেশি হওয়ায় মানুষ পরিমাণে কম কিনছে।’
গতকাল ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে। সেখানে কথা হয় কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা মাকসুদা বেগমের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘দোকানিরা ইচ্ছেমতো দাম চাইছেন। গতকাল যে দামে সবজি কিনেছি, আজ তা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।’
মিরপুর সাড়ে ১১-এর নিউ সোসাইটি মার্কেটে পাঁচ শতাধিক নিত্যপণ্যের দোকান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ কেনাকাটা করেন। মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম গাউস সিদ্দিকী বলেন, ‘সারা দেশে পণ্যের যে দাম বেড়েছে, এখানেও তা বেড়েছে। পাইকারদের পণ্য বিক্রির ওপর খুচরা বাজারে পণ্যের দাম নির্ভর করে।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নিয়মিত নিত্যপণ্যের বাজার পর্যবেক্ষণ করে। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্য এবং রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০২২ সালের রমজানে (এপ্রিল) পণ্যের যে দাম ছিল, তার চেয়ে এ বছর (মার্চ ২০২৩) দাম অনেক বেশি। গত বছর রমজান শুরু হয়েছিল ৩ এপ্রিল, আর এ বছর শুরু ২৪ মার্চ। গত রমজানের বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, পণ্যপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
পর্যবেক্ষণমতে, গত বছর ছোলার দাম ছিল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ৪৫-৫০ টাকা মোটা চাল ছিল, এবার ৬০ টাকা। চিনি ছিল ৮০ টাকা, এখন ১২৫ টাকা। পেঁয়াজ ছিল ৩০-৩৫ টাকা, এখন ৪৫ টাকা। রসুন ছিল ৮০-৯০ টাকা, এবার ১৩০-১৪০ টাকা। ডিমের হালি ছিল ৩৫ টাকা, এখন ৫৫ টাকা। খোলা আটা ছিল ৪০ টাকা, এখন ৬০ টাকা। লেবুর হালি ছিল ২০ টাকা, এখন ৬০ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) ১৩৫ থেকে হয়েছে ১৪৫ টাকা। আদা ছিল ৯০ টাকা, এখন ১২০ টাকা।
গরুর মাংসের কেজি গত বছর ছিল ৬৫০ টাকা। এবার রোজা শুরুর দু-এক দিন আগেও অনেক জায়গায় তা বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। কিন্তু গতকাল এক লাফে বেড়ে যায় আরও ৫০ টাকা।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে কথা হয় গৃহিণী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানালেন, যে টাকা নিয়ে বাজার করতে এসেছেন, সবকিছুর দাম বেশি হওয়া দু-একটি আইটেম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম রমজান হিসেবে গরুর মাংস কিনতে চেয়েছি, কিন্তু ৮০০ টাকা দাম হওয়ায় আজকে আর কিনলাম না।’
নিউমার্কেটের খাসির মাংস বিক্রেতা আব্দুল করিম স্টোরের জসিম উদ্দিন বলেন, গত বছর খাসির মাংসের দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা ছিল, এবার ১১০০ টাকা। মানুষ দাম শুনে না কিনেই ফিরে যাচ্ছে।
ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আলমগীর কবির বলেন, ‘প্রতিটি উৎসব ঘিরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ইচ্ছেমতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পণ্যের তালিকা করে দেয়। কিন্তু বাজার ঘুরে নির্দেশিত মূল্যতালিকা আমরা দেখি না। সরকারের নোটিশ কিংবা দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কা করে না।’
নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে ডলারের দাম বাড়াকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ডলারের দাম কত, এবার কত; এটা হিসাব করলে বুঝবেন কতটা বেড়েছে।’ তাঁর দাবি, মুরগি ও ডিম ছাড়া বাকি নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে আছে।
নিত্যপণ্যের বাজার এখনো স্থিতিশীল থাকার দাবি করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার রমজানে দ্রব্যমূল্য এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। পণ্যের সরবরাহ এখনো ঠিক আছে। বাজার তদারকি বাড়ানো হয়েছে। বাজারে কোনো অস্থিরতা দেখা দিলে আমরা বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া নির্ধারিত মূল্যতালিকা যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেউ কিনেছেন ছোলা, মুড়ি, খেজুর; কেউ কিনেছেন সবজি, মুরগি, ডিম। কারও হাতে গরুর মাংস, আলু আর মসলা। রোজা শুরুর আগে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে দেখা গেল বাড়তি ভিড়। এর মধ্যে কাঁচাবাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও হাসি নেই ক্রেতা-বিক্রেতা কারও মুখেই। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম চাইছে। রমজানের বাজার তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়েছে, তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। এতে ক্রেতা অনেক কমে গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গতকাল মাঝারি মানের প্রতি কেজি খেজুর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। গত বছর রমজানে একই মানের খেজুরের দাম ছিল ২৫০-২৮০ টাকা। এক বছরে কেজিপ্রতি খেজুরের দাম বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা। রমজান শুরু হওয়ার আগেই একইভাবে বেড়ে গেছে চাল, ডাল, ছোলা, মুড়ি, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছর রমজান এলেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এ মাসের জন্য। এ সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা-বৈঠক করে নানা নির্দেশনা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে দেয় না। সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা তা মানেন না।
বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারে কথা হয় গৃহিণী জেসমিনের সঙ্গে। তিনি জানান, রোজার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে এসেছেন। ছোলা, মুড়ি ও কিছু সবজি কিনেছেন। দাম বেশি হওয়ায় পরিমাণে কম করে নিয়েছেন।
মগবাজার-মৌচাক এলাকার অলিগলিতে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন মো. পিন্টু। গত বুধবার তিনি বলেন, ‘সবজির দাম বেড়েছে ডাবল। বড় লাউ আগে ৫০ টাকায় বেচতাম, এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা। বেগুন আগে ৭০ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ৯০ টাকা। ২০ টাকার টমেটো এখন ৪০ টাকা। দুই দিন আগেও শসার কেজি ৩০ টাকা ছিল, এখন ৬০ টাকা।’
আজিমপুরের বাসিন্দা নাদিম নেওয়াজ বলেন, ‘কাঁচাবাজারে গেলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে ৬০ টাকায় বেগুন কিনেছি। এক দিনের ব্যবধানে আজ (বুধবার) ১০০ টাকা।’
বুধবারের তুলনায় গতকাল সবজির বাজারে দাম বেড়েছে আরেক দফা। হাতিরপুলের সবজি বিক্রেতা মেহেদী হাসান অপু বলেন, ‘বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে। কাল শসা ছিল ৬০ টাকা, আজ ৮০ টাকা। বেগুন ছিল ৮০, আজ ১০০ টাকা। লেবুর হালি ছিল ৪০, আজ ৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়স গতকাল ছিল ৭০, আজ ৮০ টাকা। দাম বেশি হওয়ায় মানুষ পরিমাণে কম কিনছে।’
গতকাল ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে। সেখানে কথা হয় কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা মাকসুদা বেগমের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘দোকানিরা ইচ্ছেমতো দাম চাইছেন। গতকাল যে দামে সবজি কিনেছি, আজ তা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।’
মিরপুর সাড়ে ১১-এর নিউ সোসাইটি মার্কেটে পাঁচ শতাধিক নিত্যপণ্যের দোকান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ কেনাকাটা করেন। মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম গাউস সিদ্দিকী বলেন, ‘সারা দেশে পণ্যের যে দাম বেড়েছে, এখানেও তা বেড়েছে। পাইকারদের পণ্য বিক্রির ওপর খুচরা বাজারে পণ্যের দাম নির্ভর করে।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নিয়মিত নিত্যপণ্যের বাজার পর্যবেক্ষণ করে। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্য এবং রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০২২ সালের রমজানে (এপ্রিল) পণ্যের যে দাম ছিল, তার চেয়ে এ বছর (মার্চ ২০২৩) দাম অনেক বেশি। গত বছর রমজান শুরু হয়েছিল ৩ এপ্রিল, আর এ বছর শুরু ২৪ মার্চ। গত রমজানের বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, পণ্যপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
পর্যবেক্ষণমতে, গত বছর ছোলার দাম ছিল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ৪৫-৫০ টাকা মোটা চাল ছিল, এবার ৬০ টাকা। চিনি ছিল ৮০ টাকা, এখন ১২৫ টাকা। পেঁয়াজ ছিল ৩০-৩৫ টাকা, এখন ৪৫ টাকা। রসুন ছিল ৮০-৯০ টাকা, এবার ১৩০-১৪০ টাকা। ডিমের হালি ছিল ৩৫ টাকা, এখন ৫৫ টাকা। খোলা আটা ছিল ৪০ টাকা, এখন ৬০ টাকা। লেবুর হালি ছিল ২০ টাকা, এখন ৬০ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) ১৩৫ থেকে হয়েছে ১৪৫ টাকা। আদা ছিল ৯০ টাকা, এখন ১২০ টাকা।
গরুর মাংসের কেজি গত বছর ছিল ৬৫০ টাকা। এবার রোজা শুরুর দু-এক দিন আগেও অনেক জায়গায় তা বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। কিন্তু গতকাল এক লাফে বেড়ে যায় আরও ৫০ টাকা।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে কথা হয় গৃহিণী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানালেন, যে টাকা নিয়ে বাজার করতে এসেছেন, সবকিছুর দাম বেশি হওয়া দু-একটি আইটেম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম রমজান হিসেবে গরুর মাংস কিনতে চেয়েছি, কিন্তু ৮০০ টাকা দাম হওয়ায় আজকে আর কিনলাম না।’
নিউমার্কেটের খাসির মাংস বিক্রেতা আব্দুল করিম স্টোরের জসিম উদ্দিন বলেন, গত বছর খাসির মাংসের দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা ছিল, এবার ১১০০ টাকা। মানুষ দাম শুনে না কিনেই ফিরে যাচ্ছে।
ক্যাবের ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আলমগীর কবির বলেন, ‘প্রতিটি উৎসব ঘিরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ইচ্ছেমতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পণ্যের তালিকা করে দেয়। কিন্তু বাজার ঘুরে নির্দেশিত মূল্যতালিকা আমরা দেখি না। সরকারের নোটিশ কিংবা দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কা করে না।’
নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে ডলারের দাম বাড়াকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ডলারের দাম কত, এবার কত; এটা হিসাব করলে বুঝবেন কতটা বেড়েছে।’ তাঁর দাবি, মুরগি ও ডিম ছাড়া বাকি নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে আছে।
নিত্যপণ্যের বাজার এখনো স্থিতিশীল থাকার দাবি করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার রমজানে দ্রব্যমূল্য এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। পণ্যের সরবরাহ এখনো ঠিক আছে। বাজার তদারকি বাড়ানো হয়েছে। বাজারে কোনো অস্থিরতা দেখা দিলে আমরা বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া নির্ধারিত মূল্যতালিকা যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে