সম্পাদকীয়
একসময় বাংলাদেশে রেলওয়ে লাভজনক হলেও ১৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিতে হচ্ছে। স্বাধীনতার পর দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে, সে তুলনায় রেলের পরিধি ও সেবা বিস্তৃত হয়নি। ফলে রেলওয়েতে যাত্রীসংখ্যা ও চাহিদা অনুসারে পরিবহনসেবাও বাড়েনি। কিন্তু ক্রমাগত রেলওয়েকে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে এবং ভর্তুকি দিয়ে সচল রেখে এ খাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ লোকসান কমাতে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবু রেলকে লাভজনক করা যায়নি। এ নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রেল একটি লাভজনক খাত। ভারতে প্রতিদিন প্রায় ১১ হাজার ট্রেন চলে। টিকিট প্রাপ্তি, টিকিটের দাম কম হওয়া থেকে ট্রেনের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের কারণে সেখানে বেশির ভাগ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কিন্তু বাংলাদেশে ট্রেনযাত্রা হলো এক ভোগান্তির নাম। এখানে টিকিট প্রাপ্তিসহ যাত্রা করতেও নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
বাংলাদেশে রেলে লোকসানের অন্যতম কারণ হলো দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যয়। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং অর্ধেকের কম বগি নিয়ে চলাচলের কারণে লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে। যেমন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোর ২২টি বগি নিয়ে চলাচল করার ক্ষমতা থাকলেও চালানো হয় ১২-১৬টি বগি নিয়ে। অন্যদিকে ২০১৬ সাল থেকে জনবল, ইঞ্জিন ও যাত্রীবাহী বগির সংকটে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রী পরিবহন ও আয় তাই অর্ধেকে নেমেছে। এভাবে বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেন বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ট্রেনে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় না করে এর বদলে ঘুষ নিচ্ছেন অনেক কর্মচারী। এই চিত্র সারা দেশের। পাশাপাশি ট্রেনে পণ্য পরিবহন করেও বিশাল অঙ্কের টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু এসব দিকে রেল কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
বাংলাদেশে ট্রেনকে বলা হয় ‘গরিবের রথ’। একে দিন দিন মানুষের সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এ কাজটির দায়িত্ব পেয়েছিল সহজ ডট কম নামের একটি কোম্পানি। দেখা গেছে, এ কাজের জন্য তারা টিকিট বিক্রির অধিকাংশ টাকা পেয়েছে। আর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পেয়েছে অল্প কিছু টাকা। তাহলে রেলওয়েতে এত কর্মকর্তা-কর্মচারী রেখে কী লাভ? রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ কাজে দক্ষ করলে অনেক টাকা বেঁচে যেত।
রেলওয়ের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত হলেও এগুলোর সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রমাগত লোকসানের ভেতর দিয়ে চলতে পারে না। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক কার্যক্রম জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা দরকার।
একসময় বাংলাদেশে রেলওয়ে লাভজনক হলেও ১৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিতে হচ্ছে। স্বাধীনতার পর দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে, সে তুলনায় রেলের পরিধি ও সেবা বিস্তৃত হয়নি। ফলে রেলওয়েতে যাত্রীসংখ্যা ও চাহিদা অনুসারে পরিবহনসেবাও বাড়েনি। কিন্তু ক্রমাগত রেলওয়েকে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে এবং ভর্তুকি দিয়ে সচল রেখে এ খাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ লোকসান কমাতে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবু রেলকে লাভজনক করা যায়নি। এ নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশসহ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রেল একটি লাভজনক খাত। ভারতে প্রতিদিন প্রায় ১১ হাজার ট্রেন চলে। টিকিট প্রাপ্তি, টিকিটের দাম কম হওয়া থেকে ট্রেনের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের কারণে সেখানে বেশির ভাগ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কিন্তু বাংলাদেশে ট্রেনযাত্রা হলো এক ভোগান্তির নাম। এখানে টিকিট প্রাপ্তিসহ যাত্রা করতেও নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
বাংলাদেশে রেলে লোকসানের অন্যতম কারণ হলো দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যয়। এ ছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ এবং অর্ধেকের কম বগি নিয়ে চলাচলের কারণে লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে। যেমন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোর ২২টি বগি নিয়ে চলাচল করার ক্ষমতা থাকলেও চালানো হয় ১২-১৬টি বগি নিয়ে। অন্যদিকে ২০১৬ সাল থেকে জনবল, ইঞ্জিন ও যাত্রীবাহী বগির সংকটে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রী পরিবহন ও আয় তাই অর্ধেকে নেমেছে। এভাবে বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেন বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ট্রেনে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় না করে এর বদলে ঘুষ নিচ্ছেন অনেক কর্মচারী। এই চিত্র সারা দেশের। পাশাপাশি ট্রেনে পণ্য পরিবহন করেও বিশাল অঙ্কের টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু এসব দিকে রেল কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
বাংলাদেশে ট্রেনকে বলা হয় ‘গরিবের রথ’। একে দিন দিন মানুষের সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এ কাজটির দায়িত্ব পেয়েছিল সহজ ডট কম নামের একটি কোম্পানি। দেখা গেছে, এ কাজের জন্য তারা টিকিট বিক্রির অধিকাংশ টাকা পেয়েছে। আর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পেয়েছে অল্প কিছু টাকা। তাহলে রেলওয়েতে এত কর্মকর্তা-কর্মচারী রেখে কী লাভ? রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ কাজে দক্ষ করলে অনেক টাকা বেঁচে যেত।
রেলওয়ের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত হলেও এগুলোর সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রমাগত লোকসানের ভেতর দিয়ে চলতে পারে না। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক কার্যক্রম জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা দরকার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে