চাষী নজরুল ইসলাম
চাষী নজরুল ইসলাম সিনেমাঅন্তঃপ্রাণ। ফতেহ লোহানীর ‘আসিয়া’ ছবিতে ছোট্ট একটা ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু ফতেহ লোহানীর নির্দেশে তিনি হয়ে গেলেন ছবির সহকারী পরিচালক। সেই থেকে শুরু। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রথম ছবি চাষীর। ‘ওরা ১১ জন’ নামের সেই ছবিতে যাঁরা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, তাঁদের সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আগে কখনো অভিনয় করেননি।
তবে চাষী নজরুল ইসলামের জীবনের একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা হলো, তিনি তাঁর ‘সংগ্রাম’ ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েও অভিনয় করিয়েছেন। তখন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হয়ে জওহরলাল নেহরুও ‘দিল্লি দূর নেহি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
‘সংগ্রাম’ ছবির শেষ দৃশ্যে সেনাবাহিনী স্যালুট দেবে আর শেখ মুজিব তা গ্রহণ করবেন। এ রকম ছিল দৃশ্যটা। অভিনেতা খসরু ও চাষী নজরুল গেলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। খসরু বলল, ‘আপনার কাছে একটা কাজে আইছি।’
‘কী কাজ?’
‘মার্চপাস্টের একটা দৃশ্য করব। আপনি স্যালুট নিবেন।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘চুপ! আমি ফিল্মে অ্যাকটিং করব না।’
খসরু বললেন, ‘এইটা তো অ্যাকটিং হইল না। আপনি এইটা না করলে সিনেমা শেষ হবে না।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘মান্নান রে ডাক।’
মান্নান মানে আবদুল মান্নান, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে খসরু সব খুলে বললেন। তারপর বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি জিজ্ঞেস করে অ্যাকটিং করা যায় কি না, আপনি বলবেন, করা যায়।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা-ই করলেন।
এরপর পিলখানায় কাজটা করা হয়। সে সময় সফিউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফসহ সবাই বঙ্গবন্ধুর পেছনে লাইন ধরে বসা ছিলেন।
একসময় বঙ্গবন্ধু স্যালুট গ্রহণ করতে করতে বললেন, ‘অ্যাই! কতক্ষণ হাত তুইলা রাখব রে?’
ততক্ষণে দৃশ্যধারণ শেষ।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চাষী নজরুল ইসলামের সাক্ষাৎকার ‘চলচ্চিত্র আবার দাঁড়িয়ে যাবে’
চাষী নজরুল ইসলাম সিনেমাঅন্তঃপ্রাণ। ফতেহ লোহানীর ‘আসিয়া’ ছবিতে ছোট্ট একটা ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু ফতেহ লোহানীর নির্দেশে তিনি হয়ে গেলেন ছবির সহকারী পরিচালক। সেই থেকে শুরু। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রথম ছবি চাষীর। ‘ওরা ১১ জন’ নামের সেই ছবিতে যাঁরা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, তাঁদের সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আগে কখনো অভিনয় করেননি।
তবে চাষী নজরুল ইসলামের জীবনের একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা হলো, তিনি তাঁর ‘সংগ্রাম’ ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েও অভিনয় করিয়েছেন। তখন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হয়ে জওহরলাল নেহরুও ‘দিল্লি দূর নেহি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
‘সংগ্রাম’ ছবির শেষ দৃশ্যে সেনাবাহিনী স্যালুট দেবে আর শেখ মুজিব তা গ্রহণ করবেন। এ রকম ছিল দৃশ্যটা। অভিনেতা খসরু ও চাষী নজরুল গেলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। খসরু বলল, ‘আপনার কাছে একটা কাজে আইছি।’
‘কী কাজ?’
‘মার্চপাস্টের একটা দৃশ্য করব। আপনি স্যালুট নিবেন।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘চুপ! আমি ফিল্মে অ্যাকটিং করব না।’
খসরু বললেন, ‘এইটা তো অ্যাকটিং হইল না। আপনি এইটা না করলে সিনেমা শেষ হবে না।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘মান্নান রে ডাক।’
মান্নান মানে আবদুল মান্নান, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে খসরু সব খুলে বললেন। তারপর বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি জিজ্ঞেস করে অ্যাকটিং করা যায় কি না, আপনি বলবেন, করা যায়।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা-ই করলেন।
এরপর পিলখানায় কাজটা করা হয়। সে সময় সফিউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফসহ সবাই বঙ্গবন্ধুর পেছনে লাইন ধরে বসা ছিলেন।
একসময় বঙ্গবন্ধু স্যালুট গ্রহণ করতে করতে বললেন, ‘অ্যাই! কতক্ষণ হাত তুইলা রাখব রে?’
ততক্ষণে দৃশ্যধারণ শেষ।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চাষী নজরুল ইসলামের সাক্ষাৎকার ‘চলচ্চিত্র আবার দাঁড়িয়ে যাবে’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১৪ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১৪ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১৫ ঘণ্টা আগে