কালিহাতীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিহরাইল গ্রামের নুরু মিয়াকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
নিহত জহিরুল ইসলাম আকাশ (৩০) পাইকড়া ইউনিয়নের শিহরাইল উত্তরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন, শিহড়াইল গ্রামের আজিজুল, আবুল, নুরু মিয়া, জনি, মোসলেম, হাসমত, পাভেল ও জাহিদুল।

গোপালপুর গ্রামের শম্ভু, রাসেল, সোহেল, মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে শিহরাইলের জালার মেম্বারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন দা, রামদা, শাবলসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ফরমানের ওপর হামলা করেন। তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন এবং তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় তাঁরা আরও ৪ থেকে ৭ জনকে মারধর করে মারাত্মক আহত করেন। এ সময় তাঁদের গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

তাঁরা আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপালপুর (নতুন) পাইলট বাজারে কম্পিউটারের দোকানে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর অজুহাতে শিহরাইলের আাজিজুল আমাদের রাসেলের গায়ে গরম চা ঢেলে দেন। তখন তাঁরা একত্র হয়ে আমাদের গ্রামের লোকজনকে মারধর করেন। এ ঘটনার জেরেই শুক্রবার সকালে আমাদের গ্রামের লোকজনকে মারধর করা হয়।’

এ বিষয়ে শিহরাইল গ্রামের আহত আজিজুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গোপালপুর গ্রামে একটি দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় কম্পিউটারের সাউন্ড বক্সের উচ্চ শব্দে গান বাজাতে মানা করলে গোপালপুর গ্রামের লোকজন আমাদের কয়েকজনকে মারধর করেন। এতে আমি আহত হয়ে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হই। শুক্রবার সকালের ঘটনা আমি জানি না।’

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের নার্স সেলিম বলেন, এ ঘটনায় হতাহত সবাই শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহাম্মেদ বলেন, হাসপাতালে আনার পথেই জহিরুল ইসলাম আকাশ মারা যান। বাঁ পায়ে আঘাতের জায়গায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই সম্ভবত তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।