সনি আজাদ, চারঘাট
দুস্থ ও অসচ্ছল পরিবারের সুবিধার্থে সরকার ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করে। এই কর্মসূচির উপকারভোগীর নামের তালিকা এ বছর অনলাইন ডেটাবেইসে নিবন্ধন করার সময় বাদ পড়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৮ শতাধিক ব্যক্তি। তালিকায় নাম যুক্ত না হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বিপদে পড়বেন এসব উপকারভোগী।
তবে উপজেলা খাদ্য বিভাগ বলছে, নামের গরমিল, ভুল তথ্য থাকাসহ নানা কারণে বাদ পড়েছেন অনেক উপকারভোগী। পুনরায় যাচাই-বাছাই করার জন্য আবেদন করে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করলে চালের কার্ড ফেরত পাবেন তাঁরা। উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় কার্ডধারীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৯৯ জন। তাঁরা ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল কিনতে পারতেন ডিলারের কাছ থেকে। অবশ্য চালের দাম চলতি মাস থেকে ১৫ টাকা কেজি করা হয়েছে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কার্ডধারীদের নামের তালিকা অনলাইনে নিবন্ধন করা হয়। নিবন্ধন সংশোধন কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা নিবন্ধনকাজ বাস্তবায়ন করছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সদর ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০ উপকারভোগীর মধ্যে ৯৪টি, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ২৯০ কার্ডের মধ্যে ৮৩টি, ইউসুফপুরের ১ হাজার ৪৮০টি কার্ডের ২৭২টি, শলুয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০০টি কার্ডের ১৫৭টি, সরদহ ইউনিয়নের ১ হাজার কার্ডের ৩৩টি এবং নিমপাড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৭৫টি কার্ডের মধ্যে ২২২টিসহ মোট ৮৬১ জন উপকারভোগীর কার্ড বাতিল হয়েছে।
গতকাল বুধবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়া উপকারভোগীরা সেখানে এসে ভিড় করেছেন। এ সময় সরদহ ইউনিয়নের ধর্মহাটা এলাকার ভুক্তভোগী শাহীনুল ইসলাম বলেন, ডিলারের দোকানে চাল নিতে গিয়ে দেখেন, তালিকায় নাম নেই। খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ দিতে গিয়ে জানলেন, নিবন্ধনে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে এমন তথ্য দেওয়া আছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদে এ রকম কোনো তথ্য তিনি দেননি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরানপুর এলাকার ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কার্ডটি অবলম্বন ছিল তাঁর। কিন্তু অনলাইন নিবন্ধনে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন এমন তথ্য দিয়েছেন উদ্যোক্তা। এ জন্য কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিবন্ধনের কাজ করেছি। কিছু ভুল থাকতে পারে।’
উপজেলার নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ২২২ জন কার্ডধারী নতুন তালিকায় বাদ পড়েছেন। বাদ পড়াদের মধ্যে অনেকেই দুস্থ ও হতদরিদ্র। খাদ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সেগুলো সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মলিউজ্জামান বলেন, অনলাইনে ডেটাবেইস করতে গিয়ে দেখা গেছে, নানা তথ্য ভুল। এ জন্য কিছু কার্ড বাতিল হয়েছে। চলতি মাস পর্যন্ত সময় আছে। যাঁরা অভিযোগ নিয়ে আসবেন, যাচাই-বাছাই করে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
দুস্থ ও অসচ্ছল পরিবারের সুবিধার্থে সরকার ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করে। এই কর্মসূচির উপকারভোগীর নামের তালিকা এ বছর অনলাইন ডেটাবেইসে নিবন্ধন করার সময় বাদ পড়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৮ শতাধিক ব্যক্তি। তালিকায় নাম যুক্ত না হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বিপদে পড়বেন এসব উপকারভোগী।
তবে উপজেলা খাদ্য বিভাগ বলছে, নামের গরমিল, ভুল তথ্য থাকাসহ নানা কারণে বাদ পড়েছেন অনেক উপকারভোগী। পুনরায় যাচাই-বাছাই করার জন্য আবেদন করে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করলে চালের কার্ড ফেরত পাবেন তাঁরা। উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় কার্ডধারীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৯৯ জন। তাঁরা ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল কিনতে পারতেন ডিলারের কাছ থেকে। অবশ্য চালের দাম চলতি মাস থেকে ১৫ টাকা কেজি করা হয়েছে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কার্ডধারীদের নামের তালিকা অনলাইনে নিবন্ধন করা হয়। নিবন্ধন সংশোধন কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা নিবন্ধনকাজ বাস্তবায়ন করছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সদর ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০ উপকারভোগীর মধ্যে ৯৪টি, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ২৯০ কার্ডের মধ্যে ৮৩টি, ইউসুফপুরের ১ হাজার ৪৮০টি কার্ডের ২৭২টি, শলুয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০০টি কার্ডের ১৫৭টি, সরদহ ইউনিয়নের ১ হাজার কার্ডের ৩৩টি এবং নিমপাড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৭৫টি কার্ডের মধ্যে ২২২টিসহ মোট ৮৬১ জন উপকারভোগীর কার্ড বাতিল হয়েছে।
গতকাল বুধবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়া উপকারভোগীরা সেখানে এসে ভিড় করেছেন। এ সময় সরদহ ইউনিয়নের ধর্মহাটা এলাকার ভুক্তভোগী শাহীনুল ইসলাম বলেন, ডিলারের দোকানে চাল নিতে গিয়ে দেখেন, তালিকায় নাম নেই। খাদ্য কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ দিতে গিয়ে জানলেন, নিবন্ধনে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে এমন তথ্য দেওয়া আছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদে এ রকম কোনো তথ্য তিনি দেননি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরানপুর এলাকার ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কার্ডটি অবলম্বন ছিল তাঁর। কিন্তু অনলাইন নিবন্ধনে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন এমন তথ্য দিয়েছেন উদ্যোক্তা। এ জন্য কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে। সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিবন্ধনের কাজ করেছি। কিছু ভুল থাকতে পারে।’
উপজেলার নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ২২২ জন কার্ডধারী নতুন তালিকায় বাদ পড়েছেন। বাদ পড়াদের মধ্যে অনেকেই দুস্থ ও হতদরিদ্র। খাদ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সেগুলো সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মলিউজ্জামান বলেন, অনলাইনে ডেটাবেইস করতে গিয়ে দেখা গেছে, নানা তথ্য ভুল। এ জন্য কিছু কার্ড বাতিল হয়েছে। চলতি মাস পর্যন্ত সময় আছে। যাঁরা অভিযোগ নিয়ে আসবেন, যাচাই-বাছাই করে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে