সম্পাদকীয়
কত ধরনের নির্মমতার খবরই না আমাদের সংবাদপত্রের পাতায় পড়তে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুনখারাবির ঘটনাগুলো বড়দের মধ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, তরুণেরাও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। এমন একটি নির্মমতার খবর প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়। বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছেন।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার কৃষক আবুল কালামের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মো. ফিরোজ (৪০) সৌদিপ্রবাসী। বাকি দুই ছেলে ইউনুছ (২৪) ও আব্দুর রশিদ (২২) বাড়িতেই থাকেন। ফিরোজ প্রবাস থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের খরচ চালানোর জন্য ছোট দুই ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠান। মূলত এই টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই ইউনুছ লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ছোট ভাই আব্দুর রশিদ মারা যান। পরে বড় ভাই লাশ জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন।
আমাদের সমাজে খুনের ঘটনাগুলো মূলত লোভ ও স্বার্থের কারণেই ঘটে থাকে। কাউকে খুন করে বড় অঙ্কের কিছু পাওয়ার ভাবনা থেকে এসব ঘটনা ঘটে। কিন্তু বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকার হিসাব নিয়ে অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এমন করুণ মৃত্যুর ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
আমরা এখন এক চরম অস্থির সময়ে বসবাস করছি। অসহনশীল আচরণই যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় বলা হতো ‘ভাই ভাই একঠাঁই’। অথচ এখন ভাইও আর ভাইকে শ্রদ্ধা, স্নেহ, ভালোবাসা ও আদর না দেখিয়ে হিংসাত্মক আচরণ করতে পিছপা হচ্ছে না। সামান্য অর্থের কারণে বড় ভাই যে ছোট ভাইকে হত্যা করলেন, এটাকে কি একটি আকস্মিক ঘটনা বলে সান্ত্বনা খোঁজা যাবে? আসলে আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষয় যে কতটা নিম্নগামী হয়েছে, তারই স্পষ্ট নির্দশন এই ঘটনা।
স্নেহ-মমতা, শ্রদ্ধা দেখানো হলো মানুষের বিশেষ গুণ। এই গুণগুলো অর্জন ও আয়ত্তে আসে প্রথমত, পিতা-মাতাসহ পরিবারের অগ্রজদের কাছ থেকে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি সমাজ থেকে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজ আর মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে মূল্যবোধের অভাব দেখা যায়। সারাক্ষণ মানুষের মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতাই মানুষের জীবনকে ধৈর্যহীন করে তুলছে। ফলে মানুষ ক্রমেই বিদ্বেষপরায়ণ ও হিংসুটে হয়ে উঠছে। তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েরাও কাণ্ডজ্ঞান বিসর্জন দিয়ে নির্মম আচরণ করতে কার্পণ্য করছে না।
হত্যার ঘটনা বড় ভাই স্বীকার করেছেন। দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে এবং তাঁর শাস্তির ব্যবস্থাও হবে। শুধু আইনের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে মূল্যবোধের যে চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, তা কীভাবে দূর করা যায়, সে ব্যাপারে সবাইকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কগুলো সুস্থ, সতেজ রাখার
জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। তরুণদের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কত ধরনের নির্মমতার খবরই না আমাদের সংবাদপত্রের পাতায় পড়তে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুনখারাবির ঘটনাগুলো বড়দের মধ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, তরুণেরাও এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। এমন একটি নির্মমতার খবর প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়। বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছেন।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার কৃষক আবুল কালামের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মো. ফিরোজ (৪০) সৌদিপ্রবাসী। বাকি দুই ছেলে ইউনুছ (২৪) ও আব্দুর রশিদ (২২) বাড়িতেই থাকেন। ফিরোজ প্রবাস থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের খরচ চালানোর জন্য ছোট দুই ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠান। মূলত এই টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই ইউনুছ লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ছোট ভাই আব্দুর রশিদ মারা যান। পরে বড় ভাই লাশ জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন।
আমাদের সমাজে খুনের ঘটনাগুলো মূলত লোভ ও স্বার্থের কারণেই ঘটে থাকে। কাউকে খুন করে বড় অঙ্কের কিছু পাওয়ার ভাবনা থেকে এসব ঘটনা ঘটে। কিন্তু বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকার হিসাব নিয়ে অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এমন করুণ মৃত্যুর ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
আমরা এখন এক চরম অস্থির সময়ে বসবাস করছি। অসহনশীল আচরণই যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় বলা হতো ‘ভাই ভাই একঠাঁই’। অথচ এখন ভাইও আর ভাইকে শ্রদ্ধা, স্নেহ, ভালোবাসা ও আদর না দেখিয়ে হিংসাত্মক আচরণ করতে পিছপা হচ্ছে না। সামান্য অর্থের কারণে বড় ভাই যে ছোট ভাইকে হত্যা করলেন, এটাকে কি একটি আকস্মিক ঘটনা বলে সান্ত্বনা খোঁজা যাবে? আসলে আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষয় যে কতটা নিম্নগামী হয়েছে, তারই স্পষ্ট নির্দশন এই ঘটনা।
স্নেহ-মমতা, শ্রদ্ধা দেখানো হলো মানুষের বিশেষ গুণ। এই গুণগুলো অর্জন ও আয়ত্তে আসে প্রথমত, পিতা-মাতাসহ পরিবারের অগ্রজদের কাছ থেকে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি সমাজ থেকে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজ আর মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে মূল্যবোধের অভাব দেখা যায়। সারাক্ষণ মানুষের মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতাই মানুষের জীবনকে ধৈর্যহীন করে তুলছে। ফলে মানুষ ক্রমেই বিদ্বেষপরায়ণ ও হিংসুটে হয়ে উঠছে। তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েরাও কাণ্ডজ্ঞান বিসর্জন দিয়ে নির্মম আচরণ করতে কার্পণ্য করছে না।
হত্যার ঘটনা বড় ভাই স্বীকার করেছেন। দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে এবং তাঁর শাস্তির ব্যবস্থাও হবে। শুধু আইনের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে মূল্যবোধের যে চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, তা কীভাবে দূর করা যায়, সে ব্যাপারে সবাইকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কগুলো সুস্থ, সতেজ রাখার
জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। তরুণদের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে