মুরাদনগর উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী টিকা পাবে।

টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সিরাজুল ইসলাম মানিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার, রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন প্রমুখ।

উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একদল প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীরা শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অডিটোরিয়ামে এ জন্য তিনটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে টিকা নিতে দেখা গেছে। এ দিন শুভ নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়। এরপরই টিকা নেয় একই শ্রেণির শিক্ষার্থী তৌহিদ হোসেন।

প্রথম টিকা নেওয়া শিক্ষার্থী শুভর কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে সে বলে, ‘টিকা নেওয়ার আগে সামান্য ভয় থাকলেও এখন ভালোই লাগছে। তবে আগের মতোই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছেন স্যারেরা।’

টিকা নেওয়াদের একজন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার্থী সাদিকা আফরোজ হেমা জানায়, ‘আব্বু-আম্মু দুজনই টিকা নিয়েছেন। কোনো সমস্যা দেখিনি। আমারও ভালো লাগছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই।’

সন্তানকে টিকা দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীর মা নাজমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার স্বামী দুই মাস আগে টিকার দুটি ডোজ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আশা করি, ওরও কিছু হবে না।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম তালুকদার বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের তালিকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়েছি। সে অনুযায়ী টিকাদান কার্যক্রম চলছে।’

আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মানিক (আরএমও) বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে।’