হিরামন মণ্ডল সাগর, বটিয়াঘাটা
সারা দেশের মতো খুলনার বটিয়াঘাটায়ও ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মমিনুর রহমান এ অভিযানের উদ্বোধন করেন। তবে ধানের সংগ্রহ মূল্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম ধার্য করায় চাষিরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, এ বছর বটিয়াঘাটায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সরকারিভাবে ধার্য করা হয়েছে ধান ৪৫১ মেট্রিক টন ও চাল ৭৪০ মেট্রিক টন। চালের সংগ্রহ মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৭ টাকা। সদ্য যোগদানকারী এ কর্মকর্তা আশা করছেন, সরকার নির্ধারিত সময়ের আগে ধান ও চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সরকার এটা জাতীয় পর্যায়ে নিয়েছে। নিশ্চয়ই কৃষক বাইরে বেশি দাম পেলে তাঁরা সেখানে ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষক যেখানে বেশি দাম পাবেন, সেখানেই ধান বিক্রি করবেন। এটা তাঁদের অধিকার। সরকারি খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করতে চাইলে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষকদের বিক্রি করতে হবে।
উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি গৌরদাস ঢালি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক খাদ্যগুদামে ধান দিতে হলে সেক্ষেত্রে কৃষকদের অনেক সমস্যা হবে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী একজন কৃষককে ধান লাগাতে খরচ হয় অনেক। ধান লাগাতে হয় সার, কীটনাশক ও বিভিন্ন ওষুধসহ নানা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। ধান রোপণে চড়া দামে শ্রমিকও খাটাতে হয়।
এখন সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ২৭ টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে এটি প্রায় ৩৭ টাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে। ফলে এত অল্প দামে গুদামে ধান দিলে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। সরকার একটু সদয় হয়ে বিবেচনা করলে কৃষকেরা তাঁদের ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ধানের মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা। নতুন ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকার বেশি। সেক্ষেত্রে কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করলে তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
বটিয়াঘাটা হেতালবুনিয়া এলাকার কৃষক অজিত রায় বলেন, ‘বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খাদ্যগুদামের ধানের দাম অনেক কম। তাই আমিসহ আমাদের এলাকার বেশির ভাগ কৃষক এবার খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করতে রাজি নই। কারণ আমাদের ধান-চাল উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তাতে গুদামে বিক্রি করলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
গত বছরে বটিয়াঘাটা খাদ্যগুদামে ধান-চালের মূল্য কম থাকায় সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন বলেন, ধান-চালের মূল্য কম থাকায় গতবার কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রয় করেছিলেন অনেক কম। যে কারণে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।
এদিকে গত রোববার সকালে বটিয়াঘাটা খাদ্যগুদামে আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান এর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি গৌরদাস ঢালী, বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম শাহীন, সাংবাদিক অজিত রায়সহ অনেকে।
সারা দেশের মতো খুলনার বটিয়াঘাটায়ও ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মমিনুর রহমান এ অভিযানের উদ্বোধন করেন। তবে ধানের সংগ্রহ মূল্য বাজারমূল্যের চেয়ে কম ধার্য করায় চাষিরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, এ বছর বটিয়াঘাটায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সরকারিভাবে ধার্য করা হয়েছে ধান ৪৫১ মেট্রিক টন ও চাল ৭৪০ মেট্রিক টন। চালের সংগ্রহ মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৭ টাকা। সদ্য যোগদানকারী এ কর্মকর্তা আশা করছেন, সরকার নির্ধারিত সময়ের আগে ধান ও চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সরকার এটা জাতীয় পর্যায়ে নিয়েছে। নিশ্চয়ই কৃষক বাইরে বেশি দাম পেলে তাঁরা সেখানে ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষক যেখানে বেশি দাম পাবেন, সেখানেই ধান বিক্রি করবেন। এটা তাঁদের অধিকার। সরকারি খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করতে চাইলে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কৃষকদের বিক্রি করতে হবে।
উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি গৌরদাস ঢালি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক খাদ্যগুদামে ধান দিতে হলে সেক্ষেত্রে কৃষকদের অনেক সমস্যা হবে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী একজন কৃষককে ধান লাগাতে খরচ হয় অনেক। ধান লাগাতে হয় সার, কীটনাশক ও বিভিন্ন ওষুধসহ নানা সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। ধান রোপণে চড়া দামে শ্রমিকও খাটাতে হয়।
এখন সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ২৭ টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে এটি প্রায় ৩৭ টাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে। ফলে এত অল্প দামে গুদামে ধান দিলে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। সরকার একটু সদয় হয়ে বিবেচনা করলে কৃষকেরা তাঁদের ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ধানের মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা। নতুন ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকার বেশি। সেক্ষেত্রে কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করলে তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
বটিয়াঘাটা হেতালবুনিয়া এলাকার কৃষক অজিত রায় বলেন, ‘বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খাদ্যগুদামের ধানের দাম অনেক কম। তাই আমিসহ আমাদের এলাকার বেশির ভাগ কৃষক এবার খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করতে রাজি নই। কারণ আমাদের ধান-চাল উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তাতে গুদামে বিক্রি করলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
গত বছরে বটিয়াঘাটা খাদ্যগুদামে ধান-চালের মূল্য কম থাকায় সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন বলেন, ধান-চালের মূল্য কম থাকায় গতবার কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রয় করেছিলেন অনেক কম। যে কারণে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।
এদিকে গত রোববার সকালে বটিয়াঘাটা খাদ্যগুদামে আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান এর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি গৌরদাস ঢালী, বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম শাহীন, সাংবাদিক অজিত রায়সহ অনেকে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে