আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
চলতি বছর পাস হওয়া বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে তীব্র মামলাজটের আশঙ্কা করেছে পুলিশ। এই আশঙ্কা দূর করতে আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটি। এতে মামলা তদন্তে উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩-এর ২ (ড) ধারা অনুযায়ী, মামলা তদন্ত করবেন পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন কর্মকর্তা। ৩৮ ধারায়ও বলা হয়, পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে কোনো কর্মকর্তা এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধের তদন্ত করতে পারবেন না। মূলত এ বিষয়টি নিয়েই আপত্তি পুলিশের।
পুলিশ বলছে, মামলা তদন্তের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ পরিদর্শক নেই। বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা আইনে অসংখ্য মামলা হচ্ছে, কেবল পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা হবে। আইনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মামলার তদন্তকার্য সম্পাদন করা দুরূহ হয়ে উঠবে। এতে মামলাজট সৃষ্টি হবে।
বর্তমানে সাইবার অপরাধসংক্রান্ত সব মামলা সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তির অভাবে থানা-পুলিশ এসব মামলা তদন্ত করতে পারছে না। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট তথা সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট মামলাগুলো তদন্ত করছে। কিন্তু ওই ইউনিটে পর্যাপ্ত পরিদর্শক নেই। এ জন্য সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি চিঠি দিয়েছে।
ডিএমপির ওই চিঠিতে বলা হয়, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডে (সিআরপিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য করা হয়। সব মামলা এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য তদন্ত করতে পারেন। তাই সময়োপযোগী সাইবার নিরাপত্তা মামলাও এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে নির্দিষ্ট সময় এসব মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত হবে। বর্তমানে এসআই পদের পুলিশ কর্মকর্তাদের কম্পিউটার ও সাইবার অপরাধের বিষয়ে জানাশোনা আছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস ড. খ মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনে যে পরিমাণ মামলা হয়, এতসংখ্যক পরিদর্শক আমাদের নেই। তাই এই মামলা তদন্তের জন্য এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাই বিষয়টি আমরা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছি।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সাইবার অপরাধের মামলাগুলো একটি বিশেষ আইনের বিশেষায়িত মামলা। বেশির ভাগ মামলা থানা-পুলিশ তদন্ত করে না। সব মামলা সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে চলে আসে। সেই ইউনিটে এত পুলিশ পরিদর্শক নেই। তাই মামলার জট এড়ানোর জন্যও এসআইদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
পুলিশের এই দাবি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আগে বুঝতে হবে কেন পরিদর্শকদের এই আইনে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ এটি একটি বিশেষ আইন। বিশেষ আইনে বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য থাকে। মামলা কম হবে ধারণা করেই তখন পরিদর্শকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আইনে যাঁদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরই তদন্ত করতে হবে। পুলিশ যদি মনে করে তাঁরা পেরে উঠছেন না, তাঁদের সে দাবিও যৌক্তিক হতে পারে, কিন্তু সে জন্য সংসদে যেতে হবে। সংসদ ঠিক করবে এসআই অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না।
পুলিশ ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর থেকে দেশে এই আইনে সাড়ে ৭ হাজারের মতো মামলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে চারটির বেশি মামলা হয়েছে। ওই সব মামলা পুরোনো আইনেই চলমান রয়েছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে সাইবার নিরাপত্তা মামলা হওয়ার পর দুই মাসে নতুন এই আইনে সারা দেশে ১২১টি মামলা হয়েছে।
বিলুপ্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রায় ৮০ শতাংশ মামলা সরকারপক্ষের লোকজন করেছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস)-এর চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই মামলাগুলোর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সরকারের সমালোচক, ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী পক্ষ। তবে সরকার এখন বিভিন্ন সমালোচনার মুখে থাকায় মামলা কমেছে। কিন্তু মানুষের হয়রানি কমেনি। নতুন আইনে এই হয়রানি বন্ধ হওয়া উচিত। তদন্ত পরিদর্শক বা এসআই যেই করুক, মানুষের ভোগান্তি কমা প্রয়োজন।
চলতি বছর পাস হওয়া বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে তীব্র মামলাজটের আশঙ্কা করেছে পুলিশ। এই আশঙ্কা দূর করতে আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটি। এতে মামলা তদন্তে উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩-এর ২ (ড) ধারা অনুযায়ী, মামলা তদন্ত করবেন পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন কর্মকর্তা। ৩৮ ধারায়ও বলা হয়, পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে কোনো কর্মকর্তা এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধের তদন্ত করতে পারবেন না। মূলত এ বিষয়টি নিয়েই আপত্তি পুলিশের।
পুলিশ বলছে, মামলা তদন্তের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ পরিদর্শক নেই। বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা আইনে অসংখ্য মামলা হচ্ছে, কেবল পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা হবে। আইনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মামলার তদন্তকার্য সম্পাদন করা দুরূহ হয়ে উঠবে। এতে মামলাজট সৃষ্টি হবে।
বর্তমানে সাইবার অপরাধসংক্রান্ত সব মামলা সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তির অভাবে থানা-পুলিশ এসব মামলা তদন্ত করতে পারছে না। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট তথা সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিট মামলাগুলো তদন্ত করছে। কিন্তু ওই ইউনিটে পর্যাপ্ত পরিদর্শক নেই। এ জন্য সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি চিঠি দিয়েছে।
ডিএমপির ওই চিঠিতে বলা হয়, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডে (সিআরপিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য করা হয়। সব মামলা এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য তদন্ত করতে পারেন। তাই সময়োপযোগী সাইবার নিরাপত্তা মামলাও এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে নির্দিষ্ট সময় এসব মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত হবে। বর্তমানে এসআই পদের পুলিশ কর্মকর্তাদের কম্পিউটার ও সাইবার অপরাধের বিষয়ে জানাশোনা আছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস ড. খ মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনে যে পরিমাণ মামলা হয়, এতসংখ্যক পরিদর্শক আমাদের নেই। তাই এই মামলা তদন্তের জন্য এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাই বিষয়টি আমরা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছি।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, সাইবার অপরাধের মামলাগুলো একটি বিশেষ আইনের বিশেষায়িত মামলা। বেশির ভাগ মামলা থানা-পুলিশ তদন্ত করে না। সব মামলা সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে চলে আসে। সেই ইউনিটে এত পুলিশ পরিদর্শক নেই। তাই মামলার জট এড়ানোর জন্যও এসআইদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
পুলিশের এই দাবি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আগে বুঝতে হবে কেন পরিদর্শকদের এই আইনে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ এটি একটি বিশেষ আইন। বিশেষ আইনে বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য থাকে। মামলা কম হবে ধারণা করেই তখন পরিদর্শকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আইনে যাঁদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরই তদন্ত করতে হবে। পুলিশ যদি মনে করে তাঁরা পেরে উঠছেন না, তাঁদের সে দাবিও যৌক্তিক হতে পারে, কিন্তু সে জন্য সংসদে যেতে হবে। সংসদ ঠিক করবে এসআই অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না।
পুলিশ ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর থেকে দেশে এই আইনে সাড়ে ৭ হাজারের মতো মামলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে চারটির বেশি মামলা হয়েছে। ওই সব মামলা পুরোনো আইনেই চলমান রয়েছে। তবে গত সেপ্টেম্বরে সাইবার নিরাপত্তা মামলা হওয়ার পর দুই মাসে নতুন এই আইনে সারা দেশে ১২১টি মামলা হয়েছে।
বিলুপ্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রায় ৮০ শতাংশ মামলা সরকারপক্ষের লোকজন করেছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস)-এর চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই মামলাগুলোর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সরকারের সমালোচক, ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী পক্ষ। তবে সরকার এখন বিভিন্ন সমালোচনার মুখে থাকায় মামলা কমেছে। কিন্তু মানুষের হয়রানি কমেনি। নতুন আইনে এই হয়রানি বন্ধ হওয়া উচিত। তদন্ত পরিদর্শক বা এসআই যেই করুক, মানুষের ভোগান্তি কমা প্রয়োজন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে