বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই প্রিয়জনের কাছে ফেরা। প্রিয় মানুষটার পথ চেয়ে থাকা, একবুক স্বপ্ন নিয়ে তবেই বাড়ি ফেরা। পথে কত ঝঞ্ঝাট, কত ভিড়ভাট্টা! পথের সব ক্লান্তি নিমেষেই মুখের হাসিতে বদলে যায় যখন বাড়ি ফেরা হয়। বাঙালির এমন আবেগঘন ঈদ আনন্দকে আরও একটু আবেগে রাঙাতে গ্রামীণফোন তৈরি করেছিল অসাধারণ এক গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’। সেও প্রায় দেড় যুগের কাছাকাছি হতে চলল। আজও গানটি সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে মানুষের মন ছুঁয়ে আছে। সেই গানের জন্মকথা নিয়ে কথা হয় আনিকা মেহজাবিনের সঙ্গে। মূল গানটি তাঁরই লেখা। স্মৃতি হাতড়ে আনিকা বললেন, ‘তখন আমি গ্রামীণফোনে কাজ করতাম। আমার তখনকার বস খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বললেন, কিছু একটা করো, খুব দ্রুত করতে হবে। উনার রুমের সামনে দাঁড়িয়েই আমি তিনটা লাইন লিখলাম—“স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার”। পড়ে তিনি বললেন, ওকে, এই তিনটি লাইনের সঙ্গে ঘরে ফেরা মানুষদের কানেক্ট করে আমরা একটা টিভিসি বানাই।’
এভাবেই একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হলো একটা গানের। গানের কথাগুলো লেখার পর যোগাযোগ করা হলো হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে। হাবিব লন্ডন যাবেন, তিন দিন পরেই ফ্লাইট। যা করার দ্রুত করতে হবে। কথা হয় মিলন মাহমুদের সঙ্গে। আনিকা, মিলন আর হাবিব—তিনজন একসঙ্গে বসে গেলেন স্টুডিওতে। আনিকা বলেন, ‘ভোররাতে শেষ হলো গান। অফিশিয়ালরা শুনে বললেন, আনিকা এটা একটা দারুণ গান হবে। পুরো গানটা বানাও। ব্যস তৈরি হলো একটা গান। আনিকা হাবিব ওয়াহিদ গানটি দিয়ে চলে গেলেন লন্ডনে। টিভিসি হলো। সিডিতে রেকর্ড করে বিভিন্ন লঞ্চে, বাসে বাসে দিলাম বাজানোর জন্য। দিনে দিন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠল গানটি।’
বলা চলে, তখন ছিল অনেকটাই অ্যানালগ যুগ। সময় বদলেছে, প্রযুক্তি বদলেছে। কিন্তু ঈদকে নিয়ে মানুষের আবেগটা একই রয়ে গেছে। প্রয়োজন দেখা দিল গানটির নতুন সংগীতায়োজন। ২০১৬ সালে বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে-এর ক্রিয়েটিভ বিভাগের রাসেল মাহমুদ পুরনো গানটির আদল ঠিক রেখে নতুন করে লিখলেন। তিনি লিখলেন, ‘স্বপ্নপানে দিলাম পাড়ি, অচিন পথে আপন ছাড়ি, পেছন ফেলে উঠান বাড়ি, প্রিয়মুখ আর স্মৃতির শাড়ি, মন ঘরে চল ফিরে আবার, স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল বলেন, ‘আমি তখন গ্রে-তে কাজ করি। গ্রামীণফোনকে বললাম, স্বপ্ন যাবে বাড়ি-তো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এটা আবার নতুন করে করা যেতে পারে। সম্মতি জানায় গ্রামীণফোন। স্বপ্ন যাবে বাড়ি- শব্দ তিনটি রেখে পুরো গানটি লিখলাম আমি। এবারও সুর ও সংগীত আয়োজনের দায়িত্ব নিলেন হাবিব ওয়াহিদ। নতুন গানটি তিনি গাওয়ালেন মিঠুন চক্রকে দিয়ে। সেই থেকে গানটি এখন পর্যন্ত চলছে। নানা সময়ে নানা রকম ভিডিও হয়েছে, তবে গানটি একই থেকেছে। এবারও প্রবাসীদের হাইলাইট করে একটি ভিডিও হয়েছে গানটির সঙ্গে।’
নতুন গানটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেলেও অনেকেই জানতেন না গানটির গায়কের নাম। আগের গানটির জনপ্রিয়তার কারণে নতুন গানটিও মিলন গেয়েছন বলেই মনে করতেন অনেকে। নতুন গানটির গায়ক নির্বাচনেরও একটা মজার গল্প আছে। রাসেল মাহমুদ গানটি লেখার পর পরিকল্পনা চলল গায়ক নিয়ে। কে গাইবেন নতুন করে? হাবিব ডাকলেন মিঠুন চক্রকে। কোক স্টুডিও, উইন্ড অব চেঞ্জের মতো সংগীত আয়োজনগুলোর সুবাদে মিঠুন এখন পরিচিত মুখ। তবে ২০১৬ সালে মিঠুনকে কম লোকেই চিনতেন। মিঠুন বাদ্য বাজান, গানে কণ্ঠ দেন না। কিন্তু তাঁর ভয়েসটা নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলেন হাবিব। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘আমাকে দিয়ে গান গাওয়াবে শুনে তো আমি অবাক! হাবিব ওয়াহিদ আমাকে বলেই নিয়েছিলেন, ডামি ভয়েস হিসেবে ক্লায়েন্টকে পাঠাবেন। তাদের পছন্দ হলে ভয়েসটা থাকবে, নয়তো শিল্পী বদল হবে।’
গাইলেন মিঠুন। ভালো লাগল আয়োজকদেরও। নতুন করে আবারও তৈরি হলো স্বপ্ন যাবে বাড়ি। প্রায় আট বছর হয়ে গেল গানটি চলছে। এ ভার্সনটি কেবল টিভিতেই নয়, অনলাইনের প্রয়োজনেও তৈরি হয়েছিল। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের নিয়ে গানটির নতুন ভিডিওটির ভিউ এরই মধ্যে কোটির ঘর ছুঁয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘দেয়ালের দেশে’ সিনেমার ‘তোমার সঙ্গে আর হলো না দেখা, বুকে আমার বিসর্জনের ব্যথা’ গানটি দিয়ে সিনেমার গানে অভিষেক হচ্ছে মিঠুন চক্রের।
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই প্রিয়জনের কাছে ফেরা। প্রিয় মানুষটার পথ চেয়ে থাকা, একবুক স্বপ্ন নিয়ে তবেই বাড়ি ফেরা। পথে কত ঝঞ্ঝাট, কত ভিড়ভাট্টা! পথের সব ক্লান্তি নিমেষেই মুখের হাসিতে বদলে যায় যখন বাড়ি ফেরা হয়। বাঙালির এমন আবেগঘন ঈদ আনন্দকে আরও একটু আবেগে রাঙাতে গ্রামীণফোন তৈরি করেছিল অসাধারণ এক গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’। সেও প্রায় দেড় যুগের কাছাকাছি হতে চলল। আজও গানটি সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে মানুষের মন ছুঁয়ে আছে। সেই গানের জন্মকথা নিয়ে কথা হয় আনিকা মেহজাবিনের সঙ্গে। মূল গানটি তাঁরই লেখা। স্মৃতি হাতড়ে আনিকা বললেন, ‘তখন আমি গ্রামীণফোনে কাজ করতাম। আমার তখনকার বস খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বললেন, কিছু একটা করো, খুব দ্রুত করতে হবে। উনার রুমের সামনে দাঁড়িয়েই আমি তিনটা লাইন লিখলাম—“স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার”। পড়ে তিনি বললেন, ওকে, এই তিনটি লাইনের সঙ্গে ঘরে ফেরা মানুষদের কানেক্ট করে আমরা একটা টিভিসি বানাই।’
এভাবেই একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হলো একটা গানের। গানের কথাগুলো লেখার পর যোগাযোগ করা হলো হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে। হাবিব লন্ডন যাবেন, তিন দিন পরেই ফ্লাইট। যা করার দ্রুত করতে হবে। কথা হয় মিলন মাহমুদের সঙ্গে। আনিকা, মিলন আর হাবিব—তিনজন একসঙ্গে বসে গেলেন স্টুডিওতে। আনিকা বলেন, ‘ভোররাতে শেষ হলো গান। অফিশিয়ালরা শুনে বললেন, আনিকা এটা একটা দারুণ গান হবে। পুরো গানটা বানাও। ব্যস তৈরি হলো একটা গান। আনিকা হাবিব ওয়াহিদ গানটি দিয়ে চলে গেলেন লন্ডনে। টিভিসি হলো। সিডিতে রেকর্ড করে বিভিন্ন লঞ্চে, বাসে বাসে দিলাম বাজানোর জন্য। দিনে দিন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠল গানটি।’
বলা চলে, তখন ছিল অনেকটাই অ্যানালগ যুগ। সময় বদলেছে, প্রযুক্তি বদলেছে। কিন্তু ঈদকে নিয়ে মানুষের আবেগটা একই রয়ে গেছে। প্রয়োজন দেখা দিল গানটির নতুন সংগীতায়োজন। ২০১৬ সালে বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রে-এর ক্রিয়েটিভ বিভাগের রাসেল মাহমুদ পুরনো গানটির আদল ঠিক রেখে নতুন করে লিখলেন। তিনি লিখলেন, ‘স্বপ্নপানে দিলাম পাড়ি, অচিন পথে আপন ছাড়ি, পেছন ফেলে উঠান বাড়ি, প্রিয়মুখ আর স্মৃতির শাড়ি, মন ঘরে চল ফিরে আবার, স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল বলেন, ‘আমি তখন গ্রে-তে কাজ করি। গ্রামীণফোনকে বললাম, স্বপ্ন যাবে বাড়ি-তো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এটা আবার নতুন করে করা যেতে পারে। সম্মতি জানায় গ্রামীণফোন। স্বপ্ন যাবে বাড়ি- শব্দ তিনটি রেখে পুরো গানটি লিখলাম আমি। এবারও সুর ও সংগীত আয়োজনের দায়িত্ব নিলেন হাবিব ওয়াহিদ। নতুন গানটি তিনি গাওয়ালেন মিঠুন চক্রকে দিয়ে। সেই থেকে গানটি এখন পর্যন্ত চলছে। নানা সময়ে নানা রকম ভিডিও হয়েছে, তবে গানটি একই থেকেছে। এবারও প্রবাসীদের হাইলাইট করে একটি ভিডিও হয়েছে গানটির সঙ্গে।’
নতুন গানটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেলেও অনেকেই জানতেন না গানটির গায়কের নাম। আগের গানটির জনপ্রিয়তার কারণে নতুন গানটিও মিলন গেয়েছন বলেই মনে করতেন অনেকে। নতুন গানটির গায়ক নির্বাচনেরও একটা মজার গল্প আছে। রাসেল মাহমুদ গানটি লেখার পর পরিকল্পনা চলল গায়ক নিয়ে। কে গাইবেন নতুন করে? হাবিব ডাকলেন মিঠুন চক্রকে। কোক স্টুডিও, উইন্ড অব চেঞ্জের মতো সংগীত আয়োজনগুলোর সুবাদে মিঠুন এখন পরিচিত মুখ। তবে ২০১৬ সালে মিঠুনকে কম লোকেই চিনতেন। মিঠুন বাদ্য বাজান, গানে কণ্ঠ দেন না। কিন্তু তাঁর ভয়েসটা নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইলেন হাবিব। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘আমাকে দিয়ে গান গাওয়াবে শুনে তো আমি অবাক! হাবিব ওয়াহিদ আমাকে বলেই নিয়েছিলেন, ডামি ভয়েস হিসেবে ক্লায়েন্টকে পাঠাবেন। তাদের পছন্দ হলে ভয়েসটা থাকবে, নয়তো শিল্পী বদল হবে।’
গাইলেন মিঠুন। ভালো লাগল আয়োজকদেরও। নতুন করে আবারও তৈরি হলো স্বপ্ন যাবে বাড়ি। প্রায় আট বছর হয়ে গেল গানটি চলছে। এ ভার্সনটি কেবল টিভিতেই নয়, অনলাইনের প্রয়োজনেও তৈরি হয়েছিল। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের নিয়ে গানটির নতুন ভিডিওটির ভিউ এরই মধ্যে কোটির ঘর ছুঁয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘দেয়ালের দেশে’ সিনেমার ‘তোমার সঙ্গে আর হলো না দেখা, বুকে আমার বিসর্জনের ব্যথা’ গানটি দিয়ে সিনেমার গানে অভিষেক হচ্ছে মিঠুন চক্রের।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে