মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এরশাদুল হক। বাবার বদলে একই পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেছেন শনিবার। অথচ ওই ইউনিয়নে এখনো তফসিলই ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সহিংসতার এমন চিত্র শুধু গত দু-এক দিনের নয়। গত জুন থেকেই নির্বাচনের আগে কিংবা তফসিল ঘোষণার পরপরই সহিংসতায় কোথাও প্রার্থী আবার কোথাও সমর্থকেরা প্রাণ হারাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া ইউপি নির্বাচনে অধিকাংশ বড় দলই অনুপস্থিত। তারপরেও ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৯২ জন মারা গেছেন। আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও তিন ধাপে বাকি ইউপিতে ভোট নেওয়া হবে। এই তিন ধাপে সহিংসতা সামাল দেওয়া যাবে, এমন আশ্বাস ইসিসহ কেউ দিতে পারছেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এত সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাজনীতিতে বাণিজ্য ঢুকে যাওয়া।’ মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে প্রকৃত প্রার্থীরা মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যেই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সুজন সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় সহিংসতাকে আরও উসকে দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনটা একেবারেই গ্রামগঞ্জে হচ্ছে। তাই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করাটা খুব কঠিন। এই সহিংসতা আরও কতটা বাড়তে পারে বা শঙ্কা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কমিশন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। পাবনার ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।
দেশব্যাপী চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপিতে ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর সংঘর্ষ, প্রচারে থাকা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা সহিসংতার নানা তথ্য পাঠিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কাতলাগাড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা ৭টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।
একই রাতে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী মো. হামিদ ফকিরের (৪৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার হামিদ শালনগর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী। হামলায় তাঁর বাম হাতের কনুই থেকে ভেঙে গেছে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর পাবনা জেলা সদরের চর তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত নাসিম শেখের (২৫) বাড়ি ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামে। এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা দেশজুড়ে। নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় প্রশাসন কেউ তা সামাল দিতে পারছে না।
তিন ধাপে অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু
ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় শুধু নভেম্বর মাসেই ৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম। এই মাসে ৯৮টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন ও আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক-কর্মী। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত এই ৪৭ জনের মধ্যে নরসিংদীতে সবচেয়ে বেশি লোক নিহত হয়েছেন। জেলাটিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন নির্বাচনী সহিংসতায়।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব বলছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আট মাসে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হন ৪০ জন। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি।
সব মিলিয়ে তিন ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মোট ৯২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য ভোটকে কেন্দ্র করে এসব নিহতের ঘটনাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘ঝগড়াঝাঁটি’ বলে অভিহিত করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের জয়
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, তৃতীয় ধাপের ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৫২৫টিতে, যা মোট ইউপির ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৪৬টিতে, যা মোট ইউপির ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি।
গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮৩৪ ইউপির মধ্যে ৩৩০টিতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন, যা মোট ইউপির প্রায় ৪০ শতাংশ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৮৬ টিতে, যা মোট ইউপির ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২১ জুনের প্রথম ধাপের ভোটে ২০৪টির মধ্যে ১৪৮টিতে আওয়ামী লীগ জয় পায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৭২ দশমিক ৫৫ শতাংশ ইউপিতে ক্ষমতাসীনদের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ৪৯টিতে, যা মোট ইউপির ২৪ ভাগ।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে অধিকাংশ বড় দলই ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যারা নিয়েছে তারাও সন্তুষ্ট না। তিনটি ধাপের নির্বাচন থেকে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ের হার ক্রমেই কমেছে। বেড়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ের সংখ্যা।
ষষ্ঠ ধাপে ভোট ৩১ জানুয়ারি
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। গতকাল শনিবার রাজধানী আগারগাঁওয়ে জাতীয় নির্বাচন ভবনে এই ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, এই ধাপে সব ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এরশাদুল হক। বাবার বদলে একই পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেছেন শনিবার। অথচ ওই ইউনিয়নে এখনো তফসিলই ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সহিংসতার এমন চিত্র শুধু গত দু-এক দিনের নয়। গত জুন থেকেই নির্বাচনের আগে কিংবা তফসিল ঘোষণার পরপরই সহিংসতায় কোথাও প্রার্থী আবার কোথাও সমর্থকেরা প্রাণ হারাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া ইউপি নির্বাচনে অধিকাংশ বড় দলই অনুপস্থিত। তারপরেও ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৯২ জন মারা গেছেন। আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও তিন ধাপে বাকি ইউপিতে ভোট নেওয়া হবে। এই তিন ধাপে সহিংসতা সামাল দেওয়া যাবে, এমন আশ্বাস ইসিসহ কেউ দিতে পারছেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এত সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাজনীতিতে বাণিজ্য ঢুকে যাওয়া।’ মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে প্রকৃত প্রার্থীরা মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যেই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সুজন সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় সহিংসতাকে আরও উসকে দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনটা একেবারেই গ্রামগঞ্জে হচ্ছে। তাই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করাটা খুব কঠিন। এই সহিংসতা আরও কতটা বাড়তে পারে বা শঙ্কা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কমিশন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। পাবনার ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।
দেশব্যাপী চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপিতে ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর সংঘর্ষ, প্রচারে থাকা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা সহিসংতার নানা তথ্য পাঠিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কাতলাগাড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা ৭টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।
একই রাতে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নড়াইলের লোহাগড়ার শালনগর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী মো. হামিদ ফকিরের (৪৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার হামিদ শালনগর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী। হামলায় তাঁর বাম হাতের কনুই থেকে ভেঙে গেছে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর পাবনা জেলা সদরের চর তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত নাসিম শেখের (২৫) বাড়ি ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামে। এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা দেশজুড়ে। নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় প্রশাসন কেউ তা সামাল দিতে পারছে না।
তিন ধাপে অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু
ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় শুধু নভেম্বর মাসেই ৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম। এই মাসে ৯৮টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন ও আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের এবং চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক-কর্মী। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত এই ৪৭ জনের মধ্যে নরসিংদীতে সবচেয়ে বেশি লোক নিহত হয়েছেন। জেলাটিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন নির্বাচনী সহিংসতায়।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব বলছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আট মাসে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হন ৪০ জন। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি।
সব মিলিয়ে তিন ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মোট ৯২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য ভোটকে কেন্দ্র করে এসব নিহতের ঘটনাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘ঝগড়াঝাঁটি’ বলে অভিহিত করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের জয়
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, তৃতীয় ধাপের ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৫২৫টিতে, যা মোট ইউপির ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৪৬টিতে, যা মোট ইউপির ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যাই বেশি।
গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮৩৪ ইউপির মধ্যে ৩৩০টিতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন, যা মোট ইউপির প্রায় ৪০ শতাংশ। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন ৪৮৬ টিতে, যা মোট ইউপির ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ।
গত ২১ জুনের প্রথম ধাপের ভোটে ২০৪টির মধ্যে ১৪৮টিতে আওয়ামী লীগ জয় পায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৭২ দশমিক ৫৫ শতাংশ ইউপিতে ক্ষমতাসীনদের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ৪৯টিতে, যা মোট ইউপির ২৪ ভাগ।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে অধিকাংশ বড় দলই ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। যারা নিয়েছে তারাও সন্তুষ্ট না। তিনটি ধাপের নির্বাচন থেকে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ের হার ক্রমেই কমেছে। বেড়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ের সংখ্যা।
ষষ্ঠ ধাপে ভোট ৩১ জানুয়ারি
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। গতকাল শনিবার রাজধানী আগারগাঁওয়ে জাতীয় নির্বাচন ভবনে এই ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, এই ধাপে সব ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে