মুনতাসীর মামুন
সাতই মার্চের দিনটিতে ভাষণ দেওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে অনেক মানুষের ভিড়। প্রত্যেকেই উদ্গ্রীব—ভাষণে কী বলবেন বঙ্গবন্ধু?
ছাত্রনেতাদের মধ্যে সিরাজুল আলম খান যখন বারবার বঙ্গবন্ধুর কাছে পীড়াপীড়ি করছিলেন স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য, তখন বঙ্গবন্ধু যে কথা বলেছিলেন, তা আজও ভোলেননি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সিরাজ, লিডার শুড লিড দ্য ল্যাড। ল্যাড শুড নট লিড দ্য লিডার। কী করতে হবে আমি জানি। তোমরা তোমাদের কাজ করো। যাও।’
তখনকার যে অবস্থা, তার অনেক খবরই জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনারা পেতেন। ওই সময় পাকিস্তানিরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল। তাদের যুদ্ধবিমান তৈরি ছিল, হেলিকপ্টার তৈরি ছিল। সাতই মার্চের ভাষণে তিনি কী বলবেন, সে অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যান রেডি ছিল পাকিস্তানিদের। তাই জাতির পিতাকে কৌশলী হতে হয়েছে।
সাতই মার্চের কথা শেখ হাসিনা বলেছেন এভাবে, ‘আমি আব্বার মাথার কাছে বসে আস্তে আস্তে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। এটা ছিল আমার রুটিন ওয়ার্ক। আমি সব সময় করতাম। ভাবতাম, এটা করতে না পারলে আমার জীবন বৃথা। আব্বা যখন খাটে শুতেন, বালিশটা নামিয়ে আমার বসার জন্য একটা জায়গা করে দিতেন। আমি আব্বার কাছে বসে মাথায় হাত বোলাচ্ছিলাম। মা পাশে এসে বসলেন। বললেন, “আজ সারা দিন দেশের মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। সামনে তোমার বাঁশের লাঠির জনগণ, পেছনে বন্দুক। এই মানুষদের তোমাকে বাঁচাতেও হবে—এই মানুষদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণও করতে হবে। অনেকে অনেক কথা বলবে—তোমার মনে যে ঠিক চিন্তাটা থাকবে—তুমি সেই কথাটা বলবে—আর কারও কথায় কান দেবে না। তোমার নিজের চিন্তা থেকে যে কথা আসবে, সেটা সভাতে বলবে।”’
বঙ্গবন্ধু কোনো লিখিত ভাষণ দেননি। তিনি সেদিন রচনা করেছেন এক স্বতঃস্ফূর্ত মহাকাব্য।
সূত্র: মুনতাসীর মামুন, বঙ্গবন্ধুসমগ্র, পৃষ্ঠা ৪২৮
সাতই মার্চের দিনটিতে ভাষণ দেওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে অনেক মানুষের ভিড়। প্রত্যেকেই উদ্গ্রীব—ভাষণে কী বলবেন বঙ্গবন্ধু?
ছাত্রনেতাদের মধ্যে সিরাজুল আলম খান যখন বারবার বঙ্গবন্ধুর কাছে পীড়াপীড়ি করছিলেন স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য, তখন বঙ্গবন্ধু যে কথা বলেছিলেন, তা আজও ভোলেননি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সিরাজ, লিডার শুড লিড দ্য ল্যাড। ল্যাড শুড নট লিড দ্য লিডার। কী করতে হবে আমি জানি। তোমরা তোমাদের কাজ করো। যাও।’
তখনকার যে অবস্থা, তার অনেক খবরই জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনারা পেতেন। ওই সময় পাকিস্তানিরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল। তাদের যুদ্ধবিমান তৈরি ছিল, হেলিকপ্টার তৈরি ছিল। সাতই মার্চের ভাষণে তিনি কী বলবেন, সে অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যান রেডি ছিল পাকিস্তানিদের। তাই জাতির পিতাকে কৌশলী হতে হয়েছে।
সাতই মার্চের কথা শেখ হাসিনা বলেছেন এভাবে, ‘আমি আব্বার মাথার কাছে বসে আস্তে আস্তে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। এটা ছিল আমার রুটিন ওয়ার্ক। আমি সব সময় করতাম। ভাবতাম, এটা করতে না পারলে আমার জীবন বৃথা। আব্বা যখন খাটে শুতেন, বালিশটা নামিয়ে আমার বসার জন্য একটা জায়গা করে দিতেন। আমি আব্বার কাছে বসে মাথায় হাত বোলাচ্ছিলাম। মা পাশে এসে বসলেন। বললেন, “আজ সারা দিন দেশের মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। সামনে তোমার বাঁশের লাঠির জনগণ, পেছনে বন্দুক। এই মানুষদের তোমাকে বাঁচাতেও হবে—এই মানুষদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণও করতে হবে। অনেকে অনেক কথা বলবে—তোমার মনে যে ঠিক চিন্তাটা থাকবে—তুমি সেই কথাটা বলবে—আর কারও কথায় কান দেবে না। তোমার নিজের চিন্তা থেকে যে কথা আসবে, সেটা সভাতে বলবে।”’
বঙ্গবন্ধু কোনো লিখিত ভাষণ দেননি। তিনি সেদিন রচনা করেছেন এক স্বতঃস্ফূর্ত মহাকাব্য।
সূত্র: মুনতাসীর মামুন, বঙ্গবন্ধুসমগ্র, পৃষ্ঠা ৪২৮
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে