র্যালফ নাদের, আইনজীবী ও লেখক
নিউইয়র্কের একটি আদালতের বিচারকমণ্ডলী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০১৬ সালের নির্বাচন অবৈধভাবে প্রভাবিত করার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং একটি অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বিচারকমণ্ডলীরা এই সিদ্ধান্তে আসার পরপরই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচারাভিযান দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই রায় প্রমাণ করেছে যে ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়’, এমনকি একজন সাবেক প্রেসিডেন্টও নন।
বহুল প্রচারিত সত্য হলো, বেশির ভাগ ফৌজদারি আইন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টদের দ্বারা সংঘটিত আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকই নয়। এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, বিশেষ করে তাঁর বৈদেশিক এবং সামরিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি ফেডারেল আইন স্পষ্টভাবে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রে অস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে শর্ত দিয়ে থাকে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বা আক্রমণাত্মকভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করে—এমন দেশগুলোয় অস্ত্র সরবরাহ করা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষে আইনত অবৈধ। কিন্তু দিনের পর দিন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ এবং নিরপরাধ শিশু, নারী ও পুরুষদের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার পরও জো বাইডেন ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে চলেছেন। তিনি এই পাঁচটি ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছেন।
ইসরায়েলি সরকারের সামরিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবরোধের সমর্থক হিসেবে, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের নিঃশর্ত চালান, বেসামরিক এলাকায় বোমাবর্ষণ এবং গাজায় আত্মরক্ষাহীন অসহায় ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখাসহ একাধিক ব্যাপারে বাইডেন জাতিসংঘের সনদ এবং অন্যান্য চুক্তি লঙ্ঘন করছেন। অথচ এসব সনদ বা চুক্তি অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসন স্বাক্ষর করেছে। এগুলো মার্কিন সিনেট দ্বারা অনুমোদিত। বাইডেন এবং অন্যান্য প্রেসিডেন্ট এমন আচরণ করেন যে তাঁরা এসব তো বটেই, অন্যান্য আইনেরও ঊর্ধ্বে।
একের পর এক প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের দ্বারা বরাদ্দ না করা অর্থ ব্যয় করেছেন। কংগ্রেসের জারি করা সমন অমান্য করেছেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ করেছেন। মার্কিন মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধা দেয়—এমন দেশগুলোয় তাঁরা মারাত্মক অস্ত্র পাঠিয়েছেন। এর ফলে ওই সব বিদেশি রাষ্ট্র সামরিক শাসনের অধীনে বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করে না। এতে করে ফেডারেল আইনের ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে নির্লজ্জভাবে একবাক্যে অনাচারের কথা এভাবে বলেছিলেন: ‘আমার কাছে অনুচ্ছেদ দুই আছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার যা ইচ্ছা চাই তা করার অধিকার আছে।’ ট্রাম্প কংগ্রেসের দেওয়া ১২৫টির বেশি সমন অমান্য করেছেন। তাঁর পুনর্নির্বাচন প্রচারের জন্য হোয়াইট হাউস এবং অন্যান্য ফেডারেল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হ্যাচ অ্যাক্ট নামে পরিচিত আইন লঙ্ঘন করে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর অবশ্যই ৬ জানুয়ারির বিদ্রোহ ছিল বড় ঘটনা এবং নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত তাঁর বিচারের বিলম্ব হয়েই চলেছে।
জো বাইডেন চারপাশে অনৈতিক অর্থের হাতবদল করে, ১৯৯২ সালের ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের অনুমতি দিয়ে চলেছেন। এই আইনে পেন্টাগনকে কংগ্রেসকে একটি নিরীক্ষিত সামরিক বাজেট দিতে বলা হয়েছে। অথচ এসব ঘটনার দায়মুক্তি দিয়ে অন্যান্য দুর্বল দেশে ক্রমাগত বেআইনি অস্ত্র পাঠিয়ে চলেছেন।
প্রেসিডেন্টদের জন্য বিষয়গুলোকে আরও সহজ করার জন্য, বিচার বিভাগের অফিসে লিগ্যাল কাউন্সেল মেমো রয়েছে। কয়েক দশক আগে তৈরি এই মেমোতে দাবি করা হয়, এসবের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি বিচার শুরু করা যাবে না।
অ্যাটর্নি ব্রুস ফেইন আইনি পরামর্শকের অফিসে কাজ করেছেন। ব্রুস ফেইন বারবার বলেছেন, এই ভিত্তিহীন মতামতের কোনো আইনি শক্তি নেই এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত। অর্থাৎ আইন ভাঙলে প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আদালতগুলোও হোয়াইট হাউস বা প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত স্থায়ী অপরাধের জন্য সব ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে প্রেসিডেন্টদের রক্ষা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রায়ে বলেই দিয়েছেন, নির্বাহী শাখার কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে সাধারণ নাগরিকদের এর বিরুদ্ধে মামলা করার কোনো অধিকার নেই। এমনকি কংগ্রেসের সদস্যরাও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন না। বিদেশে অবৈধ যুদ্ধ বা সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করে নানা বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সংবিধান ও ফেডারেল আইনের লঙ্ঘনের অপরাধ আদালত আমলে নেননি; বরং এ ধরনের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। আদালতের বক্তব্য, তাঁরা আদালতের এখতিয়ারের বাইরে ‘রাজনৈতিক প্রশ্ন’ উত্থাপন করেন।
এভাবে প্রেসিডেন্টদের অপরাধ থেকে দূরে থাকার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিকে সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ ব্রুস ফেইন ‘হোয়াইট হাউসে জীবনযাপনের একটি উপায়’ বলে অভিহিত করেছেন। ন্যায়বিচারের বাধা বা গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত আইন বা আইনের ইচ্ছাকৃত অপপ্রয়োগ প্রত্যেক প্রেসিডেন্টই করেছেন। ট্রাম্প শুধু উত্তরাধিকারসূত্রে এটা পেয়েছেন এবং তা নিয়ে গর্ব করেছেন এবং তাঁকে আরও তীব্র করেছেন।
আবার, প্রেসিডেন্টরা আসলে এমনভাবে কাজ করেন, যা তাঁদের সার্বভৌম দায়মুক্তি হিসেবে কাজ করে। আর আইন কখনোই এই সুরক্ষার দায়মুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে না বা করেনি। তাঁরা সত্যিই ফৌজদারি আইনের ঊর্ধ্বে। প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস দ্বারা অভিশংসনের অত্যন্ত কঠিন রাজনৈতিক শাস্তি এবং সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ দ্বারা দোষী সাব্যস্ত করাই কেবল তাঁদের পদ থেকে উৎখাত করতে পারে। তবে এরপরও তাঁরা জীবনভর বিলাসব্যসনে কাটাতে পারেন এবং বিপুল অঙ্কের বক্তৃতা ফি এবং বড় বড় বইয়ের জন্য অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করতে পারেন।
(লেখাটি অনলাইন ম্যাগাজিন কাউন্টার পাঞ্চে প্রকাশিত এবং ইংরেজি থেকে অনূদিত)
নিউইয়র্কের একটি আদালতের বিচারকমণ্ডলী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০১৬ সালের নির্বাচন অবৈধভাবে প্রভাবিত করার জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং একটি অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বিচারকমণ্ডলীরা এই সিদ্ধান্তে আসার পরপরই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচারাভিযান দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই রায় প্রমাণ করেছে যে ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়’, এমনকি একজন সাবেক প্রেসিডেন্টও নন।
বহুল প্রচারিত সত্য হলো, বেশির ভাগ ফৌজদারি আইন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টদের দ্বারা সংঘটিত আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকই নয়। এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, বিশেষ করে তাঁর বৈদেশিক এবং সামরিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি ফেডারেল আইন স্পষ্টভাবে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রে অস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে শর্ত দিয়ে থাকে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বা আক্রমণাত্মকভাবে এসব অস্ত্র ব্যবহার করে—এমন দেশগুলোয় অস্ত্র সরবরাহ করা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষে আইনত অবৈধ। কিন্তু দিনের পর দিন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ এবং নিরপরাধ শিশু, নারী ও পুরুষদের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার পরও জো বাইডেন ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে চলেছেন। তিনি এই পাঁচটি ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছেন।
ইসরায়েলি সরকারের সামরিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবরোধের সমর্থক হিসেবে, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের নিঃশর্ত চালান, বেসামরিক এলাকায় বোমাবর্ষণ এবং গাজায় আত্মরক্ষাহীন অসহায় ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখাসহ একাধিক ব্যাপারে বাইডেন জাতিসংঘের সনদ এবং অন্যান্য চুক্তি লঙ্ঘন করছেন। অথচ এসব সনদ বা চুক্তি অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসন স্বাক্ষর করেছে। এগুলো মার্কিন সিনেট দ্বারা অনুমোদিত। বাইডেন এবং অন্যান্য প্রেসিডেন্ট এমন আচরণ করেন যে তাঁরা এসব তো বটেই, অন্যান্য আইনেরও ঊর্ধ্বে।
একের পর এক প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের দ্বারা বরাদ্দ না করা অর্থ ব্যয় করেছেন। কংগ্রেসের জারি করা সমন অমান্য করেছেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ করেছেন। মার্কিন মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধা দেয়—এমন দেশগুলোয় তাঁরা মারাত্মক অস্ত্র পাঠিয়েছেন। এর ফলে ওই সব বিদেশি রাষ্ট্র সামরিক শাসনের অধীনে বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করে না। এতে করে ফেডারেল আইনের ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে নির্লজ্জভাবে একবাক্যে অনাচারের কথা এভাবে বলেছিলেন: ‘আমার কাছে অনুচ্ছেদ দুই আছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার যা ইচ্ছা চাই তা করার অধিকার আছে।’ ট্রাম্প কংগ্রেসের দেওয়া ১২৫টির বেশি সমন অমান্য করেছেন। তাঁর পুনর্নির্বাচন প্রচারের জন্য হোয়াইট হাউস এবং অন্যান্য ফেডারেল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হ্যাচ অ্যাক্ট নামে পরিচিত আইন লঙ্ঘন করে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর অবশ্যই ৬ জানুয়ারির বিদ্রোহ ছিল বড় ঘটনা এবং নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত তাঁর বিচারের বিলম্ব হয়েই চলেছে।
জো বাইডেন চারপাশে অনৈতিক অর্থের হাতবদল করে, ১৯৯২ সালের ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের অনুমতি দিয়ে চলেছেন। এই আইনে পেন্টাগনকে কংগ্রেসকে একটি নিরীক্ষিত সামরিক বাজেট দিতে বলা হয়েছে। অথচ এসব ঘটনার দায়মুক্তি দিয়ে অন্যান্য দুর্বল দেশে ক্রমাগত বেআইনি অস্ত্র পাঠিয়ে চলেছেন।
প্রেসিডেন্টদের জন্য বিষয়গুলোকে আরও সহজ করার জন্য, বিচার বিভাগের অফিসে লিগ্যাল কাউন্সেল মেমো রয়েছে। কয়েক দশক আগে তৈরি এই মেমোতে দাবি করা হয়, এসবের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি বিচার শুরু করা যাবে না।
অ্যাটর্নি ব্রুস ফেইন আইনি পরামর্শকের অফিসে কাজ করেছেন। ব্রুস ফেইন বারবার বলেছেন, এই ভিত্তিহীন মতামতের কোনো আইনি শক্তি নেই এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত। অর্থাৎ আইন ভাঙলে প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আদালতগুলোও হোয়াইট হাউস বা প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত স্থায়ী অপরাধের জন্য সব ধরনের দায়বদ্ধতা থেকে প্রেসিডেন্টদের রক্ষা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রায়ে বলেই দিয়েছেন, নির্বাহী শাখার কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে সাধারণ নাগরিকদের এর বিরুদ্ধে মামলা করার কোনো অধিকার নেই। এমনকি কংগ্রেসের সদস্যরাও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন না। বিদেশে অবৈধ যুদ্ধ বা সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করে নানা বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সংবিধান ও ফেডারেল আইনের লঙ্ঘনের অপরাধ আদালত আমলে নেননি; বরং এ ধরনের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। আদালতের বক্তব্য, তাঁরা আদালতের এখতিয়ারের বাইরে ‘রাজনৈতিক প্রশ্ন’ উত্থাপন করেন।
এভাবে প্রেসিডেন্টদের অপরাধ থেকে দূরে থাকার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিকে সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ ব্রুস ফেইন ‘হোয়াইট হাউসে জীবনযাপনের একটি উপায়’ বলে অভিহিত করেছেন। ন্যায়বিচারের বাধা বা গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত আইন বা আইনের ইচ্ছাকৃত অপপ্রয়োগ প্রত্যেক প্রেসিডেন্টই করেছেন। ট্রাম্প শুধু উত্তরাধিকারসূত্রে এটা পেয়েছেন এবং তা নিয়ে গর্ব করেছেন এবং তাঁকে আরও তীব্র করেছেন।
আবার, প্রেসিডেন্টরা আসলে এমনভাবে কাজ করেন, যা তাঁদের সার্বভৌম দায়মুক্তি হিসেবে কাজ করে। আর আইন কখনোই এই সুরক্ষার দায়মুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে না বা করেনি। তাঁরা সত্যিই ফৌজদারি আইনের ঊর্ধ্বে। প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস দ্বারা অভিশংসনের অত্যন্ত কঠিন রাজনৈতিক শাস্তি এবং সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ দ্বারা দোষী সাব্যস্ত করাই কেবল তাঁদের পদ থেকে উৎখাত করতে পারে। তবে এরপরও তাঁরা জীবনভর বিলাসব্যসনে কাটাতে পারেন এবং বিপুল অঙ্কের বক্তৃতা ফি এবং বড় বড় বইয়ের জন্য অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করতে পারেন।
(লেখাটি অনলাইন ম্যাগাজিন কাউন্টার পাঞ্চে প্রকাশিত এবং ইংরেজি থেকে অনূদিত)
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে