রিমন রহমান, রাজশাহী
রেললাইন নতুন। স্টেশনও নতুন। এসব করতে সরকারের খরচ হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথে ট্রেন চলে মাত্র একটি। এই রেলরুটের ১০টি স্টেশন পড়ে আছে অরক্ষিত। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা থাকলেও সামর্থ্য না থাকায় একটির বেশি ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না।
এই চিত্র পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেলপথের। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ’ শীর্ষক এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭১৪ কোটি টাকার বেশি। ২০১৮ সালে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ হয়। ওই বছরে এই ৩০ কিলোমিটারে রাজশাহী-পাবনা রুটের ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চালু করা হয়। পুরো কাজ শেষে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি রেলপথটি চালু করা হয়। তখন ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নাম পরিবর্তন করে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ রাখা হয়। তবে করোনাকালে ট্রেনটি ছয় মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ঢালারচর থেকে ছেড়ে বেলা ১১টায় রাজশাহী পৌঁছায়। একই ট্রেন বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঢালারচরে পৌঁছায়। ট্রেনটি চলে সপ্তাহে ছয় দিন। এক দিন এ রেলপথে কোনো ট্রেনই চলাচল করে না।
ওই প্রকল্পের অধীনে পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন ১০টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়। লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করতে হয়েছে ৬০টি। এ ছাড়া ছোট-বড় ৯১টি সেতুও নির্মাণ করতে হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী জনবল দিয়ে স্টেশনগুলো চালানো হয়।
এসব স্টেশনে নিরাপত্তাকর্মীও থাকেন না। ফলে স্টেশনে থাকে বখাটেদের উৎপাত। বসে মাদকের আড্ডা।
এই রেলপথের রাঘবপুর স্টেশনের পাশেই বাড়ি ব্যবসায়ী সরকার সারোয়ার জাহানের। তিনি বলেন, দিনে মাত্র একটা ট্রেন চলে এই পথে। স্টেশনগুলো প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসব দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রহরীও নেই।
পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে এই রেললাইন চলে গেছে। সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম মোল্লা রোববার বলেন, ‘এখন এই লাইনে খুব বেশি উপকার হচ্ছে না। শুধু পাবনার তিনটি উপজেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য একটি ট্রেনে রাজশাহী যাওয়া-আসা করছেন। ঢাকার সাথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে নতুন রেলপথটায় উপকার পাওয়া যাবে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, রেলপথটি দিয়ে একটি ট্রেনে এখন মাসে প্রায় ৫০ হাজার জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। সবশেষ গত মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী ঢালারচর এক্সপ্রেস ৪৭ হাজার ৬৯৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এতে ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৬২ টাকার টিকিট বিক্রি করা হয়। রেল সূত্র বলছে, ট্রেনটির পরিচালনব্যয় এর চেয়ে বেশি।
বিপুল টাকা খরচ করে রেলপথটিতে মাত্র একটি ট্রেন চালানোর সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কামরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘এটা আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আসলে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে এর কস্ট ইফেকটিভ অ্যানালাইসিস করা দরকার। কত খরচ করলে রিটার্ন কত আসবে, সেটা হিসাব করতে হবে। রিটার্ন আনার পরিকল্পনা থাকতে হবে। তা না হলে অর্থ ব্যয়ই হবে, ভালো রিটার্ন আসবে না।’
কেন এই রেলপথ
প্রকল্প প্রস্তাবে রেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করলে এটিকে আঞ্চলিক সংযোগ ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের বিকল্প রুট হিসেবে কাজে লাগানো যাবে। এ রেলপথের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ জেলাকে রেলের আওতায় আনা যাবে। রাজশাহীর সঙ্গে পাবনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগও সহজ হবে। এ লক্ষ্য পূরণ হলেও অন্যগুলোর কিছুই হয়নি এখনো।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘এই রেলপথে আরও ট্রেনের দরকার আছে। কয়টা দরকার, সেটা আমরা এখনো হিসাব করে দেখিনি। কারণ, আমাদের সামর্থ্যই নেই। একটা ট্রেন চালানোর সামর্থ্য আছে, সেটাই দিয়েছি।’
রেললাইন নতুন। স্টেশনও নতুন। এসব করতে সরকারের খরচ হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এত টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথে ট্রেন চলে মাত্র একটি। এই রেলরুটের ১০টি স্টেশন পড়ে আছে অরক্ষিত। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা থাকলেও সামর্থ্য না থাকায় একটির বেশি ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না।
এই চিত্র পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেলপথের। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ’ শীর্ষক এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭১৪ কোটি টাকার বেশি। ২০১৮ সালে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ হয়। ওই বছরে এই ৩০ কিলোমিটারে রাজশাহী-পাবনা রুটের ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চালু করা হয়। পুরো কাজ শেষে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি রেলপথটি চালু করা হয়। তখন ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নাম পরিবর্তন করে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ রাখা হয়। তবে করোনাকালে ট্রেনটি ছয় মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ঢালারচর থেকে ছেড়ে বেলা ১১টায় রাজশাহী পৌঁছায়। একই ট্রেন বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঢালারচরে পৌঁছায়। ট্রেনটি চলে সপ্তাহে ছয় দিন। এক দিন এ রেলপথে কোনো ট্রেনই চলাচল করে না।
ওই প্রকল্পের অধীনে পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন ১০টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়। লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করতে হয়েছে ৬০টি। এ ছাড়া ছোট-বড় ৯১টি সেতুও নির্মাণ করতে হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী জনবল দিয়ে স্টেশনগুলো চালানো হয়।
এসব স্টেশনে নিরাপত্তাকর্মীও থাকেন না। ফলে স্টেশনে থাকে বখাটেদের উৎপাত। বসে মাদকের আড্ডা।
এই রেলপথের রাঘবপুর স্টেশনের পাশেই বাড়ি ব্যবসায়ী সরকার সারোয়ার জাহানের। তিনি বলেন, দিনে মাত্র একটা ট্রেন চলে এই পথে। স্টেশনগুলো প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসব দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রহরীও নেই।
পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে এই রেললাইন চলে গেছে। সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম মোল্লা রোববার বলেন, ‘এখন এই লাইনে খুব বেশি উপকার হচ্ছে না। শুধু পাবনার তিনটি উপজেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য একটি ট্রেনে রাজশাহী যাওয়া-আসা করছেন। ঢাকার সাথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে নতুন রেলপথটায় উপকার পাওয়া যাবে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, রেলপথটি দিয়ে একটি ট্রেনে এখন মাসে প্রায় ৫০ হাজার জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। সবশেষ গত মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী ঢালারচর এক্সপ্রেস ৪৭ হাজার ৬৯৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এতে ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৬২ টাকার টিকিট বিক্রি করা হয়। রেল সূত্র বলছে, ট্রেনটির পরিচালনব্যয় এর চেয়ে বেশি।
বিপুল টাকা খরচ করে রেলপথটিতে মাত্র একটি ট্রেন চালানোর সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কামরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘এটা আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আসলে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে এর কস্ট ইফেকটিভ অ্যানালাইসিস করা দরকার। কত খরচ করলে রিটার্ন কত আসবে, সেটা হিসাব করতে হবে। রিটার্ন আনার পরিকল্পনা থাকতে হবে। তা না হলে অর্থ ব্যয়ই হবে, ভালো রিটার্ন আসবে না।’
কেন এই রেলপথ
প্রকল্প প্রস্তাবে রেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করলে এটিকে আঞ্চলিক সংযোগ ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের বিকল্প রুট হিসেবে কাজে লাগানো যাবে। এ রেলপথের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ জেলাকে রেলের আওতায় আনা যাবে। রাজশাহীর সঙ্গে পাবনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগও সহজ হবে। এ লক্ষ্য পূরণ হলেও অন্যগুলোর কিছুই হয়নি এখনো।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘এই রেলপথে আরও ট্রেনের দরকার আছে। কয়টা দরকার, সেটা আমরা এখনো হিসাব করে দেখিনি। কারণ, আমাদের সামর্থ্যই নেই। একটা ট্রেন চালানোর সামর্থ্য আছে, সেটাই দিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে