সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। ব্রিটিশ শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া এক মহানায়কের নাম। দেশ ও মানুষের কথা ভেবে চিরকুমার ছিলেন তিনি। লোকে যাঁকে ভালোবেসে মহারাজ বলে ডাকতেন। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে সেই ত্রৈলোক্যনাথের পৈতৃক সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
উত্তরসূরি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, মহারাজের পৈতৃক সম্পত্তির বিষয়টি সমাধান করে সেখানে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জাদুঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে; যাতে করে তরুণ প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে জানতে পারে।
ত্রৈলোক্যনাথ ১৮৮৯ সালে কাপাসাটিয়া গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশবিরোধী অগ্নিযুগে যে কয়েকজন মানুষ ভারতবর্ষে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন, শাসকদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি তাঁদের অন্যতম। জীবনের ৩০ বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন। আত্মগোপনেও থেকেছেন পাঁচ-ছয় বছর।
ত্রৈলোক্যনাথকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বরেণ্য নেতারা স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন বাংলার আরেক স্বাধীনতাকামী নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জীবনসায়াহ্নে ১৯৭০ সালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যান ত্রৈলোক্যনাথ। সেখানে ৯ আগস্ট রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় তরুণ প্রজন্ম মহারাজ সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। সেখানে তাঁর নামে থাকা একটি পাঠাগার ছাড়া তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে আর কিছুই নেই। এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, মহারাজের পৈতৃক ভিটাসহ দুটি বড় পুকুর দখল হয়ে যাচ্ছে।
ত্রৈলোক্যনাথ জীবিত থাকাকালীন তাঁর বসতভিটা ও পৈতৃক সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন নিদান চন্দ্র সাহা। একসময় তিনি এলাকায় ঋণগ্রস্ত হয়ে গেলে ভারতে চলে যান। তাঁর স্বজনেরা বর্তমানে মহারাজের পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখল করে আছেন। এ ছাড়া দুটি পুকুর স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করছেন। মহারাজের পৈতৃক ভিটাসহ সব সম্পত্তি দখলমুক্ত করে সেখানে স্মৃতি কমপ্লেক্স ও স্মৃতি জাদুঘর করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
প্রতিবেশী নান্টু পাল বলেন, মহারাজের বাড়িতে যে জায়গা-জমি ছিল, তা অনেকের হাতে চলে যাচ্ছে। এগুলো উদ্ধার করে রাষ্ট্রের হেফাজতে নেওয়া দরকার।
কুলিয়ারচর উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ জহির উদ্দিন অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব গুণীজনকে যেভাবে তুলে আনার দরকার ছিল, সেভাবে রাষ্ট্র দেখভাল করেনি।
কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও মহারাজের স্মৃতিবিজড়িত গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘তাঁর স্মৃতিটুকু সর্বস্তরের লোকের কাছে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমি প্রত্যাশা করি।’
লেখক ও গবেষক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত করে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করা হোক; যার মধ্য দিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাঁকে এবং বাংলার ইতিহাসকে আরও বেশি করে জানতে পারবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পৈতৃক জায়গার সমস্যা সমাধান করে তরুণ প্রজন্মের জানার জন্য এখানে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জাদুঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই আঙ্গিকেই আমাদের জেলা প্রশাসক নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা চাই মহারাজ সম্পর্কে মানুষ জানুক, তাঁকে নিয়ে গবেষণা করুক এবং অনুপ্রাণিত হোক।’
মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। ব্রিটিশ শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া এক মহানায়কের নাম। দেশ ও মানুষের কথা ভেবে চিরকুমার ছিলেন তিনি। লোকে যাঁকে ভালোবেসে মহারাজ বলে ডাকতেন। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে সেই ত্রৈলোক্যনাথের পৈতৃক সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
উত্তরসূরি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, মহারাজের পৈতৃক সম্পত্তির বিষয়টি সমাধান করে সেখানে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জাদুঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে; যাতে করে তরুণ প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে জানতে পারে।
ত্রৈলোক্যনাথ ১৮৮৯ সালে কাপাসাটিয়া গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশবিরোধী অগ্নিযুগে যে কয়েকজন মানুষ ভারতবর্ষে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন, শাসকদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি তাঁদের অন্যতম। জীবনের ৩০ বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন। আত্মগোপনেও থেকেছেন পাঁচ-ছয় বছর।
ত্রৈলোক্যনাথকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বরেণ্য নেতারা স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন বাংলার আরেক স্বাধীনতাকামী নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জীবনসায়াহ্নে ১৯৭০ সালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যান ত্রৈলোক্যনাথ। সেখানে ৯ আগস্ট রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় তরুণ প্রজন্ম মহারাজ সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। সেখানে তাঁর নামে থাকা একটি পাঠাগার ছাড়া তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে আর কিছুই নেই। এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, মহারাজের পৈতৃক ভিটাসহ দুটি বড় পুকুর দখল হয়ে যাচ্ছে।
ত্রৈলোক্যনাথ জীবিত থাকাকালীন তাঁর বসতভিটা ও পৈতৃক সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন নিদান চন্দ্র সাহা। একসময় তিনি এলাকায় ঋণগ্রস্ত হয়ে গেলে ভারতে চলে যান। তাঁর স্বজনেরা বর্তমানে মহারাজের পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখল করে আছেন। এ ছাড়া দুটি পুকুর স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করছেন। মহারাজের পৈতৃক ভিটাসহ সব সম্পত্তি দখলমুক্ত করে সেখানে স্মৃতি কমপ্লেক্স ও স্মৃতি জাদুঘর করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
প্রতিবেশী নান্টু পাল বলেন, মহারাজের বাড়িতে যে জায়গা-জমি ছিল, তা অনেকের হাতে চলে যাচ্ছে। এগুলো উদ্ধার করে রাষ্ট্রের হেফাজতে নেওয়া দরকার।
কুলিয়ারচর উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ জহির উদ্দিন অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব গুণীজনকে যেভাবে তুলে আনার দরকার ছিল, সেভাবে রাষ্ট্র দেখভাল করেনি।
কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও মহারাজের স্মৃতিবিজড়িত গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘তাঁর স্মৃতিটুকু সর্বস্তরের লোকের কাছে ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমি প্রত্যাশা করি।’
লেখক ও গবেষক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত করে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করা হোক; যার মধ্য দিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাঁকে এবং বাংলার ইতিহাসকে আরও বেশি করে জানতে পারবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পৈতৃক জায়গার সমস্যা সমাধান করে তরুণ প্রজন্মের জানার জন্য এখানে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জাদুঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই আঙ্গিকেই আমাদের জেলা প্রশাসক নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা চাই মহারাজ সম্পর্কে মানুষ জানুক, তাঁকে নিয়ে গবেষণা করুক এবং অনুপ্রাণিত হোক।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে