সম্পাদকীয়
বিদেশে গিয়ে একটু বেশি আয়-রোজগার করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন আমাদের দেশের অসংখ্য যুবক-তরুণ। বিদেশে যাওয়ার জন্য যেকোনো ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না কতজন। অবৈধ পথে বিদেশযাত্রা করে কতজন সাগরে ডুবে মরছেন, কতজন হয়তো বিদেশের কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। আবার প্রতারক বা ঠকবাজদের পাল্লায় পড়ে অনেককে সর্বস্বান্ত হয়ে পথের ভিখারি হতে হচ্ছে। কষ্ট না করে যে ‘কেষ্ট’ মেলে না, সেটা জানা আছে সবারই। তারপরও কষ্ট করেও অনেকে বিফল হচ্ছেন।
বহু কাঠখড় পুড়িয়েও অনেকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান না, অথচ এবার ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না ৩১ হাজার মানুষ। তাঁদের প্রায় সবারই মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকাপয়সা ব্যয় করতে হয়েছে, সেটাও সংগ্রহ করতে হয়েছে হয় উচ্চ সুদে ঋণদাতা থেকে ধার করে, কেউবা আবাদি জমি বিক্রি করে কিংবা বসতভিটা বন্ধক রেখে।
কিন্তু এত কিছুর পরও মালয়েশিয়া যেতে না পেরে হাজার হাজার মানুষের জীবনে নেমে এসেছে ঘন অন্ধকার। এতগুলো মানুষের এই যে অনিশ্চিত অসহায় অবস্থা–এর দায় কার? কেন এই কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পরলেন না? প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, মূলত উড়োজাহাজের টিকিট-সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হলো প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর।
এ জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি এবং উদাসীনতাকে দায়ী করে বলা হচ্ছে, গত মার্চেই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। অথচ বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় ১৬ মে। এত অল্প সময়ে হাজার হাজার কর্মীর বিদেশে যাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তে যে উড়োজাহাজের টিকিটের সংকট হতে পারে, এটা মন্ত্রণালয়ের মাথামোটা কর্মকর্তারা বুঝতে পারেননি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রবেশের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আরও আগে জানলে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে পারতেন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না।
শেষ দিন নিয়মিত ও বিশেষ মিলিয়ে মোট ১০টি ফ্লাইটে দেড় হাজারের মতো মানুষ মালয়েশিয়া যেতে পেরেছেন। দুই-তিন দিন ধরে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেও বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না ৩১ হাজার মানুষের। সংখ্যাটা একেবারে কম নয়। যাঁদের উদাসীনতা ও গাফিলতির জন্য এই বিপর্যয়, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে কি? শ্রমিকদের ওপর হয়রানির অভিযোগও যেন গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ পায়।
বিদেশে গিয়ে একটু বেশি আয়-রোজগার করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন আমাদের দেশের অসংখ্য যুবক-তরুণ। বিদেশে যাওয়ার জন্য যেকোনো ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না কতজন। অবৈধ পথে বিদেশযাত্রা করে কতজন সাগরে ডুবে মরছেন, কতজন হয়তো বিদেশের কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। আবার প্রতারক বা ঠকবাজদের পাল্লায় পড়ে অনেককে সর্বস্বান্ত হয়ে পথের ভিখারি হতে হচ্ছে। কষ্ট না করে যে ‘কেষ্ট’ মেলে না, সেটা জানা আছে সবারই। তারপরও কষ্ট করেও অনেকে বিফল হচ্ছেন।
বহু কাঠখড় পুড়িয়েও অনেকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান না, অথচ এবার ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না ৩১ হাজার মানুষ। তাঁদের প্রায় সবারই মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকাপয়সা ব্যয় করতে হয়েছে, সেটাও সংগ্রহ করতে হয়েছে হয় উচ্চ সুদে ঋণদাতা থেকে ধার করে, কেউবা আবাদি জমি বিক্রি করে কিংবা বসতভিটা বন্ধক রেখে।
কিন্তু এত কিছুর পরও মালয়েশিয়া যেতে না পেরে হাজার হাজার মানুষের জীবনে নেমে এসেছে ঘন অন্ধকার। এতগুলো মানুষের এই যে অনিশ্চিত অসহায় অবস্থা–এর দায় কার? কেন এই কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পরলেন না? প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, মূলত উড়োজাহাজের টিকিট-সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হলো প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর।
এ জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি এবং উদাসীনতাকে দায়ী করে বলা হচ্ছে, গত মার্চেই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। অথচ বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয় ১৬ মে। এত অল্প সময়ে হাজার হাজার কর্মীর বিদেশে যাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তে যে উড়োজাহাজের টিকিটের সংকট হতে পারে, এটা মন্ত্রণালয়ের মাথামোটা কর্মকর্তারা বুঝতে পারেননি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রবেশের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আরও আগে জানলে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে পারতেন।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না।
শেষ দিন নিয়মিত ও বিশেষ মিলিয়ে মোট ১০টি ফ্লাইটে দেড় হাজারের মতো মানুষ মালয়েশিয়া যেতে পেরেছেন। দুই-তিন দিন ধরে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেও বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না ৩১ হাজার মানুষের। সংখ্যাটা একেবারে কম নয়। যাঁদের উদাসীনতা ও গাফিলতির জন্য এই বিপর্যয়, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে কি? শ্রমিকদের ওপর হয়রানির অভিযোগও যেন গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ পায়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে