নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাসের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক দোকানে প্যাকেট খুলে চিনি বিক্রি করা হচ্ছিল বেশি দামে। ভোজ্যতেলের সরবরাহও কয়েক দিন ধরে কম ছিল। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, ওটা ব্যবসায়ীদের আনুষ্ঠানিকভাবে দাম বাড়ানোর কারসাজি বা কৌশল। অবশেষে চিনি ও ভোজ্যতেলের নতুন দাম ঘোষণা করল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন মাসের শুরুতে ট্যারিফ ও ট্রেড কমিশনে আবেদন করেছিল। কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই মাত্র এক দিন আগে চিঠি দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তারা নতুন দাম কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে।
একই দিনে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের অপরিহার্য পণ্য আটার দাম। ওএমএস তথা খোলাবাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে আটার দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ৬ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-চিনির দাম কমলেও ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হলো পণ্য দুটির। চিনির দাম কেজিতে ১২ টাকা ও সয়াবিন তেলের দাম লিটার-প্রতি ১২-১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গত বুধবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার সই করা এক চিঠিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিটি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। পরদিন বৃহস্পতিবারই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেয় অ্যাসোসিয়েশন।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, যা আগে ছিল ১৫৮ টাকা। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৮ টাকা। বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ৯২৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮৮০ টাকা।
যদিও গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫-১৮০ টাকা, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৮০-১৮৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার ৮৭০-৯০০ টাকা এবং পাম তেল ১২০-১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ টাকা। আগে এই দাম ছিল ৯০ টাকা। প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয়েছে ১০৭ টাকা, যা আগে ছিল ৯৫ টাকা। যদিও বাজারে আগে থেকেই নতুন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছিল। গতকাল তা আরও বেড়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্টে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে অনেকাংশে। সরকারের উচিত আয়বৈষম্য কমিয়ে আনা।’
প্যাকেটজাত চিনি নেই এক মাস ধরে
রাজধানীর মৌলভীবাজার, নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার, বনশ্রীসহ আশপাশের বেশ কিছু বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ। কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা পরিমাণে খুবই কম। আর খোলা চিনি পাওয়া গেলেও তা কোথাও ১১০ টাকা, কোথাও ১১৫ টাকা এবং কোথাও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বনশ্রী এ ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে মেসার্স মায়ের দোয়া স্টোরের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম হাঁকান ১২০ টাকা। নতুন ঘোষিত দাম প্রতি কেজি ১০২ টাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘নতুন মাল আইলে, নতুন দামে বেচুম।’ পাশের সাইনবোর্ডবিহীন আরেকটি দোকানে চিনির দাম চাওয়া হয় ১১৫ টাকা। এরপর আল্লাহর দান জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
আল্লাহর দান স্টোরের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, তিনি ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি ৫ হাজার ৩৫০ টাকায় কিনেছেন। এতে কেজিতে চিনির দাম পড়ছে ১০৭ টাকা। পলিথিন ও পরিবহন খরচ বাদে তিনি সামান্য লাভে ১১০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সয়াবিন তেল নিয়েও তেলেসমাতি
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একজন ভোক্তা কয়েকটি ব্লকে দোকানে দোকানে ঘুরেও সয়াবিন তেল পাননি। ভোজ্যতেল না থাকার কারণ জানতে চাইলে দোকানিরা তাঁকে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ দোকানে সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই। তাই ক্রেতাদের খালি হাতে ফেরাতে হচ্ছে।
এ ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে মীর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সয়াবিন তেল আছে কি না জানতে চাইলে দোকানি আরিফুর রহমান বলেন, ‘তেল, চিনির দাম সরকার ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তিনি কত টাকায় বিক্রি করছেন জানতে চাইলে বলেন, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ টাকা, সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৮ টাকা।
বিশ্ববাজারে দাম কমতির দিকে
আন্তর্জাতিক নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম কমতির দিকে ছিল। তবে সয়াবিন তেলের দাম জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি কমেছিল। পরে সামান্য বেড়েছে। গত মে মাসে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৪৩ সেন্ট, যা কমে সেপ্টেম্বরে ৩৯ সেন্টে বিক্রি হয়। আর সয়াবিন তেল গত মে মাসে ছিল প্রতি টন ১ হাজার ৯৬২ ডলার, যা সেপ্টেম্বরে কমে হয় ১ হাজার ৫৪৮ ডলার।
চিনির দাম এক বছরে বাড়ল ৪৫ শতাংশ
জানা গেছে, গত এক বছরের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪৫ শতাংশের বেশি। এক বছর আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৫-৮০ টাকা, যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১১০-১১৫ টাকায়। কোথাও কোথাও তা ১২০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। আর এক বছর আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা, যা বর্তমানে ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ছিল ১৫০-১৬০ টাকা, যা গতকাল ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয় লিটারে ১৪ টাকা। ১ নভেম্বর আবার লিটারপ্রতি ১৫ টাকা দাম বাড়াতে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেন ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা।
ওএমএসের আটার দাম বাড়ল কেজিতে ৬ টাকা
খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম কেজিপ্রতি ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিতরণ বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম ছিল ১৮ টাকা। বর্তমানে দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৪ টাকা। ৪৩ টাকার দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম করা হয়েছে ৫৫ টাকা। আগামী রোববার থেকে এই দাম কার্যকর হবে। তিনি জানান, দুই কেজির আটার প্যাকেট ৬০ টাকা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ টাকা। বাজারের চেয়ে সরকারি আটার দামের অনেক পার্থক্য। এতে এই আটার অপব্যবহার হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে আটার দাম বাড়ানো হয়েছে।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘গরিবের আটার দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট বাড়বে। এ জন্য মানুষের আয় বাড়াতে হবে। বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো গেলে দাম বাড়লেও ভোক্তার কষ্ট ততটা হবে না।
মাসের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক দোকানে প্যাকেট খুলে চিনি বিক্রি করা হচ্ছিল বেশি দামে। ভোজ্যতেলের সরবরাহও কয়েক দিন ধরে কম ছিল। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, ওটা ব্যবসায়ীদের আনুষ্ঠানিকভাবে দাম বাড়ানোর কারসাজি বা কৌশল। অবশেষে চিনি ও ভোজ্যতেলের নতুন দাম ঘোষণা করল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন মাসের শুরুতে ট্যারিফ ও ট্রেড কমিশনে আবেদন করেছিল। কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই মাত্র এক দিন আগে চিঠি দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তারা নতুন দাম কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে।
একই দিনে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের অপরিহার্য পণ্য আটার দাম। ওএমএস তথা খোলাবাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে আটার দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ৬ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-চিনির দাম কমলেও ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হলো পণ্য দুটির। চিনির দাম কেজিতে ১২ টাকা ও সয়াবিন তেলের দাম লিটার-প্রতি ১২-১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গত বুধবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার সই করা এক চিঠিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিটি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। পরদিন বৃহস্পতিবারই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেয় অ্যাসোসিয়েশন।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, যা আগে ছিল ১৫৮ টাকা। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৮ টাকা। বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ৯২৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮৮০ টাকা।
যদিও গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫-১৮০ টাকা, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৮০-১৮৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার ৮৭০-৯০০ টাকা এবং পাম তেল ১২০-১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ টাকা। আগে এই দাম ছিল ৯০ টাকা। প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয়েছে ১০৭ টাকা, যা আগে ছিল ৯৫ টাকা। যদিও বাজারে আগে থেকেই নতুন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছিল। গতকাল তা আরও বেড়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্টে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে অনেকাংশে। সরকারের উচিত আয়বৈষম্য কমিয়ে আনা।’
প্যাকেটজাত চিনি নেই এক মাস ধরে
রাজধানীর মৌলভীবাজার, নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার, বনশ্রীসহ আশপাশের বেশ কিছু বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ। কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা পরিমাণে খুবই কম। আর খোলা চিনি পাওয়া গেলেও তা কোথাও ১১০ টাকা, কোথাও ১১৫ টাকা এবং কোথাও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বনশ্রী এ ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে মেসার্স মায়ের দোয়া স্টোরের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম হাঁকান ১২০ টাকা। নতুন ঘোষিত দাম প্রতি কেজি ১০২ টাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘নতুন মাল আইলে, নতুন দামে বেচুম।’ পাশের সাইনবোর্ডবিহীন আরেকটি দোকানে চিনির দাম চাওয়া হয় ১১৫ টাকা। এরপর আল্লাহর দান জেনারেল স্টোরে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
আল্লাহর দান স্টোরের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, তিনি ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি ৫ হাজার ৩৫০ টাকায় কিনেছেন। এতে কেজিতে চিনির দাম পড়ছে ১০৭ টাকা। পলিথিন ও পরিবহন খরচ বাদে তিনি সামান্য লাভে ১১০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সয়াবিন তেল নিয়েও তেলেসমাতি
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একজন ভোক্তা কয়েকটি ব্লকে দোকানে দোকানে ঘুরেও সয়াবিন তেল পাননি। ভোজ্যতেল না থাকার কারণ জানতে চাইলে দোকানিরা তাঁকে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ দোকানে সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই। তাই ক্রেতাদের খালি হাতে ফেরাতে হচ্ছে।
এ ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে মীর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সয়াবিন তেল আছে কি না জানতে চাইলে দোকানি আরিফুর রহমান বলেন, ‘তেল, চিনির দাম সরকার ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তিনি কত টাকায় বিক্রি করছেন জানতে চাইলে বলেন, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ টাকা, সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৮ টাকা।
বিশ্ববাজারে দাম কমতির দিকে
আন্তর্জাতিক নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম কমতির দিকে ছিল। তবে সয়াবিন তেলের দাম জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি কমেছিল। পরে সামান্য বেড়েছে। গত মে মাসে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৪৩ সেন্ট, যা কমে সেপ্টেম্বরে ৩৯ সেন্টে বিক্রি হয়। আর সয়াবিন তেল গত মে মাসে ছিল প্রতি টন ১ হাজার ৯৬২ ডলার, যা সেপ্টেম্বরে কমে হয় ১ হাজার ৫৪৮ ডলার।
চিনির দাম এক বছরে বাড়ল ৪৫ শতাংশ
জানা গেছে, গত এক বছরের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪৫ শতাংশের বেশি। এক বছর আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৫-৮০ টাকা, যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১১০-১১৫ টাকায়। কোথাও কোথাও তা ১২০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। আর এক বছর আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা, যা বর্তমানে ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ছিল ১৫০-১৬০ টাকা, যা গতকাল ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয় লিটারে ১৪ টাকা। ১ নভেম্বর আবার লিটারপ্রতি ১৫ টাকা দাম বাড়াতে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেন ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা।
ওএমএসের আটার দাম বাড়ল কেজিতে ৬ টাকা
খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম কেজিপ্রতি ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিতরণ বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম ছিল ১৮ টাকা। বর্তমানে দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৪ টাকা। ৪৩ টাকার দুই কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম করা হয়েছে ৫৫ টাকা। আগামী রোববার থেকে এই দাম কার্যকর হবে। তিনি জানান, দুই কেজির আটার প্যাকেট ৬০ টাকা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ টাকা। বাজারের চেয়ে সরকারি আটার দামের অনেক পার্থক্য। এতে এই আটার অপব্যবহার হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে আটার দাম বাড়ানো হয়েছে।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘গরিবের আটার দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট বাড়বে। এ জন্য মানুষের আয় বাড়াতে হবে। বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো গেলে দাম বাড়লেও ভোক্তার কষ্ট ততটা হবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে