নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। এতে এই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের শেষ হতে চলেছে। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান নিয়ে দুশ্চিন্তায় লঞ্চশ্রমিক, মালিক ও ঘাট ব্যবসায়ীরা।
ঘাট ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নদীপথে যাতায়াতের জন্য ১৯৮৪ সালে খেয়াঘাট হিসেবে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরঘাট স্থাপন করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার্থে লঞ্চঘাট স্থাপন করা হয় মাঝিরঘাটে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হয় এই ঘাট দিয়ে। বর্তমানে শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে ২০টি লঞ্চ ও ৪৪টি স্পিডবোট চলাচল করছে। এসব লঞ্চ ও স্পিডবোটে তিন শতাধিক মানুষ কাজ করেন। লঞ্চে টোল আদায়, ফেরিওয়ালা, মালামাল ওঠানো-নামানো মিলিয়ে রয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। এ ছাড়া লঞ্চঘাটকে কেন্দ্র করে মাঝিরঘাটে গড়ে ওঠা দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীর জীবিকা নির্বাহ হয়।
২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হলে বন্ধ হয়ে যাবে এই ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়বেন ঘাটনির্ভর ব্যবসায়ী ও লঞ্চমালিকেরা।
নাওডোবার আলামিন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে লঞ্চ থেকে যাত্রীদের মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজ করেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে খুশি তিনি। তবে নিজের আয়ের পথ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন। আলামিন বলেন, ‘পরিবারে মা ও ছোট বোন রয়েছে। এই কুলিগিরি কইরা সংসার চালাই। লঞ্চ বন্ধ হয়ে গেলে কী করমু কইতে পারি না। মাছ ধরতে অইব, নয়তো কৃষিকাম করমু।’
লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, জীবন-জীবিকার তাগিদে আরও অনেকেই লঞ্চের যাত্রীদের কাছে খাবার বিক্রি করছেন। ঝালমুড়ি, আচার, কেউ-বা চানাচুর ও পানি বিক্রি করছেন।
পানি বিক্রেতা সালাম শেখ বলেন, ‘২০ বছর ধরে পানি বিক্রি করছি এই লঞ্চঘাটে। সেতু চালু হলে যাত্রীরা আর এই ঘাটে আসবেন না। তখন কী করব জানি না। ভিটেমাটি ছাড়া আর জমিও নেই যে চাষাবাদ করে খাব। সরকার যদি একটা ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আমরা দুই বেলা খেতে পারতাম।’
মাঝিরঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী মোস্তফা মৃধা বলেন, ‘তিন মাস হইছে জমিন বেইচ্চা খাওনের হোটেল দিছি। আগে চাষাবাদ কইরা খাইতাম। বয়স অইছে, রইদের মধ্যে আর খেতে কাম করতে পারি না।’
লঞ্চের টোল কাউন্টারের ইলিয়াস শেখ বলেন, ‘আমাদের রোদে পুড়ে খাটাখাটনি করা কিংবা বোঝা টানার অভ্যাস নেই। এই বয়সে এসে এখন চাষাবাদ করে খেতে হবে।’
লঞ্চমালিক লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘যৌথ মালিকানায় আমার সাতটি লঞ্চ রয়েছে। এসব লঞ্চে ৪৯ জন শ্রমিক কাজ করেন। একেকটি লঞ্চে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টাকা আয় হয়। শুধু লঞ্চমালিকই নন, বিপদে পড়েছেন লঞ্চের কেরানি, সুকানিসহ অন্য কর্মচারীও। তাই সরকারের বিকল্প নৌপথ চালু করা উচিত।’
মাঝিরঘাটের ইজারাদার মোকলেছ মাদবর বলেন, ‘লঞ্চঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ২০ হাজার যাত্রী পারাপার হয়। এই ঘাটকে কেন্দ্র করে মাঝিরঘাট এলাকার গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পদ্মা সেতু চালু হলে এই নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।’
নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। এতে এই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের শেষ হতে চলেছে। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান নিয়ে দুশ্চিন্তায় লঞ্চশ্রমিক, মালিক ও ঘাট ব্যবসায়ীরা।
ঘাট ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নদীপথে যাতায়াতের জন্য ১৯৮৪ সালে খেয়াঘাট হিসেবে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরঘাট স্থাপন করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার্থে লঞ্চঘাট স্থাপন করা হয় মাঝিরঘাটে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হয় এই ঘাট দিয়ে। বর্তমানে শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে ২০টি লঞ্চ ও ৪৪টি স্পিডবোট চলাচল করছে। এসব লঞ্চ ও স্পিডবোটে তিন শতাধিক মানুষ কাজ করেন। লঞ্চে টোল আদায়, ফেরিওয়ালা, মালামাল ওঠানো-নামানো মিলিয়ে রয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। এ ছাড়া লঞ্চঘাটকে কেন্দ্র করে মাঝিরঘাটে গড়ে ওঠা দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীর জীবিকা নির্বাহ হয়।
২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হলে বন্ধ হয়ে যাবে এই ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়বেন ঘাটনির্ভর ব্যবসায়ী ও লঞ্চমালিকেরা।
নাওডোবার আলামিন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে লঞ্চ থেকে যাত্রীদের মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজ করেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে খুশি তিনি। তবে নিজের আয়ের পথ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন। আলামিন বলেন, ‘পরিবারে মা ও ছোট বোন রয়েছে। এই কুলিগিরি কইরা সংসার চালাই। লঞ্চ বন্ধ হয়ে গেলে কী করমু কইতে পারি না। মাছ ধরতে অইব, নয়তো কৃষিকাম করমু।’
লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, জীবন-জীবিকার তাগিদে আরও অনেকেই লঞ্চের যাত্রীদের কাছে খাবার বিক্রি করছেন। ঝালমুড়ি, আচার, কেউ-বা চানাচুর ও পানি বিক্রি করছেন।
পানি বিক্রেতা সালাম শেখ বলেন, ‘২০ বছর ধরে পানি বিক্রি করছি এই লঞ্চঘাটে। সেতু চালু হলে যাত্রীরা আর এই ঘাটে আসবেন না। তখন কী করব জানি না। ভিটেমাটি ছাড়া আর জমিও নেই যে চাষাবাদ করে খাব। সরকার যদি একটা ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আমরা দুই বেলা খেতে পারতাম।’
মাঝিরঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী মোস্তফা মৃধা বলেন, ‘তিন মাস হইছে জমিন বেইচ্চা খাওনের হোটেল দিছি। আগে চাষাবাদ কইরা খাইতাম। বয়স অইছে, রইদের মধ্যে আর খেতে কাম করতে পারি না।’
লঞ্চের টোল কাউন্টারের ইলিয়াস শেখ বলেন, ‘আমাদের রোদে পুড়ে খাটাখাটনি করা কিংবা বোঝা টানার অভ্যাস নেই। এই বয়সে এসে এখন চাষাবাদ করে খেতে হবে।’
লঞ্চমালিক লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘যৌথ মালিকানায় আমার সাতটি লঞ্চ রয়েছে। এসব লঞ্চে ৪৯ জন শ্রমিক কাজ করেন। একেকটি লঞ্চে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টাকা আয় হয়। শুধু লঞ্চমালিকই নন, বিপদে পড়েছেন লঞ্চের কেরানি, সুকানিসহ অন্য কর্মচারীও। তাই সরকারের বিকল্প নৌপথ চালু করা উচিত।’
মাঝিরঘাটের ইজারাদার মোকলেছ মাদবর বলেন, ‘লঞ্চঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ২০ হাজার যাত্রী পারাপার হয়। এই ঘাটকে কেন্দ্র করে মাঝিরঘাট এলাকার গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পদ্মা সেতু চালু হলে এই নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে