সম্পাদকীয়
‘হাতি ঘোড়া গেল তল
মশা বলে কত জল।’
প্রবাদটি দ্বারা মূলত মশাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো মশার কামড়ে। তাই আজ মনে হচ্ছে, ‘মশা মাছি গেল তল, হাতি ঘোড়া বলে কত জল।’ প্রবাদটা এখন এমনই হওয়া উচিত।
ছোট্ট একটি প্রাণী, যাকে দেখলে আমরা খুব একটা ভয় পাই না, এটাকে বিশেষভাবে চিড়িয়াখানায়ও রাখা হয় না। মোটকথা, এই মশার বিশেষত্ব বলে কিছুই নেই। তাই মশা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়ও আমাদের নেই। তবে সময় না থাকলেও মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আর প্রতিদিন জ্বরে মারা যাওয়ার সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তবুও মশা নিয়ে আমরা ভাবতে পারব না। সেই সময় আমাদের হাতে নেই যে এত ছোট্ট একটা পতঙ্গের পেছনে সময় নষ্ট করব।
তবে জেনে অবাক হতেই হবে, আমরা বনের রাজা বাঘ আর পশুর রাজা সিংহকে দেখে যে মনে করি, এই বুঝি এসে ঘাড়টা মটকে দিল, সেই ভয়ে তটস্থ থাকি; কিন্তু একবার যদি পরিসংখ্যান দেখি তাহলেই বুঝতে সময় লাগবে না, এসব পশুর ঘাড় মটকানোর চেয়ে ঘাড়ে বসা এক মশার কামড়েই অনেক বেশি মানুষ (প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি) মারা যায়।
কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’—এটা আমরা বেদবাক্য হিসেবেই মানি। তাই যেহেতু মশা দেখে মানুষ মারতে পারে বলে মনে হয় না, তাই আমরা মশাকে পাত্তাই দিই না। তাতে মরতে হলে মরব! কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মশাকে তার সাইজ অনুযায়ী বিচার করব। আমরা ভুলে যাব অভিযোজন ক্ষমতার কথা। আমরা মানব না যে বিশালাকার ডাইনোসরের চেয়ে মশার অভিযোজন ক্ষমতা বেশি। এই যে ডেঙ্গু মহামারি আকারে ছড়াতে শুরু করেছে।
মশার প্রায় সহস্রাধিক প্রজাতির মধ্যে প্রায় ১০০ প্রজাতির মশা অন্তত ২০টি প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে পারে। এর মধ্যে কেবল এডিস মশার কামড়েই হয় ডেঙ্গু। এই এডিস মশা কেবল পরিষ্কার পানিতেই ডিম পাড়ত। আর কামড়াত কেবল সকাল ও সন্ধ্যাবেলায়। কিন্তু এখন তারা অভিযোজিত হয়ে ময়লা পানিতেও ডিম পাড়ছে। শুধু কী তা-ই? সকাল বা সন্ধ্যায় নয়, এডিস মশা কামড়াচ্ছে সব সময়ই; অর্থাৎ আমরা যাকে যত ছোট করে দেখব, অভিযোজিত হয়ে সে হয়ে উঠবে তত শক্তিশালী।
এমনটা হয়েছে মশার ক্ষেত্রেও। এটি হয়ে উঠেছে আরও প্রাণঘাতী। প্রতিদিন মৃতের খাতায় সংখ্যা বাড়ছে। এই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছাড়াও ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ আরও অনেক অসুখ ছড়াচ্ছে। একটা সময় ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ছিল আতঙ্কের নাম। এখন এগুলো প্রায় নিয়ন্ত্রণে। তাই বলা যায়, সঠিক ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধও সম্ভব। প্রয়োজন শুধু ভয়াবহতা বিবেচনায় সঠিক ব্যবস্থাপনার।
‘হাতি ঘোড়া গেল তল
মশা বলে কত জল।’
প্রবাদটি দ্বারা মূলত মশাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো মশার কামড়ে। তাই আজ মনে হচ্ছে, ‘মশা মাছি গেল তল, হাতি ঘোড়া বলে কত জল।’ প্রবাদটা এখন এমনই হওয়া উচিত।
ছোট্ট একটি প্রাণী, যাকে দেখলে আমরা খুব একটা ভয় পাই না, এটাকে বিশেষভাবে চিড়িয়াখানায়ও রাখা হয় না। মোটকথা, এই মশার বিশেষত্ব বলে কিছুই নেই। তাই মশা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়ও আমাদের নেই। তবে সময় না থাকলেও মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আর প্রতিদিন জ্বরে মারা যাওয়ার সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তবুও মশা নিয়ে আমরা ভাবতে পারব না। সেই সময় আমাদের হাতে নেই যে এত ছোট্ট একটা পতঙ্গের পেছনে সময় নষ্ট করব।
তবে জেনে অবাক হতেই হবে, আমরা বনের রাজা বাঘ আর পশুর রাজা সিংহকে দেখে যে মনে করি, এই বুঝি এসে ঘাড়টা মটকে দিল, সেই ভয়ে তটস্থ থাকি; কিন্তু একবার যদি পরিসংখ্যান দেখি তাহলেই বুঝতে সময় লাগবে না, এসব পশুর ঘাড় মটকানোর চেয়ে ঘাড়ে বসা এক মশার কামড়েই অনেক বেশি মানুষ (প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি) মারা যায়।
কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’—এটা আমরা বেদবাক্য হিসেবেই মানি। তাই যেহেতু মশা দেখে মানুষ মারতে পারে বলে মনে হয় না, তাই আমরা মশাকে পাত্তাই দিই না। তাতে মরতে হলে মরব! কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মশাকে তার সাইজ অনুযায়ী বিচার করব। আমরা ভুলে যাব অভিযোজন ক্ষমতার কথা। আমরা মানব না যে বিশালাকার ডাইনোসরের চেয়ে মশার অভিযোজন ক্ষমতা বেশি। এই যে ডেঙ্গু মহামারি আকারে ছড়াতে শুরু করেছে।
মশার প্রায় সহস্রাধিক প্রজাতির মধ্যে প্রায় ১০০ প্রজাতির মশা অন্তত ২০টি প্রাণঘাতী রোগ ছড়াতে পারে। এর মধ্যে কেবল এডিস মশার কামড়েই হয় ডেঙ্গু। এই এডিস মশা কেবল পরিষ্কার পানিতেই ডিম পাড়ত। আর কামড়াত কেবল সকাল ও সন্ধ্যাবেলায়। কিন্তু এখন তারা অভিযোজিত হয়ে ময়লা পানিতেও ডিম পাড়ছে। শুধু কী তা-ই? সকাল বা সন্ধ্যায় নয়, এডিস মশা কামড়াচ্ছে সব সময়ই; অর্থাৎ আমরা যাকে যত ছোট করে দেখব, অভিযোজিত হয়ে সে হয়ে উঠবে তত শক্তিশালী।
এমনটা হয়েছে মশার ক্ষেত্রেও। এটি হয়ে উঠেছে আরও প্রাণঘাতী। প্রতিদিন মৃতের খাতায় সংখ্যা বাড়ছে। এই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছাড়াও ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ আরও অনেক অসুখ ছড়াচ্ছে। একটা সময় ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ছিল আতঙ্কের নাম। এখন এগুলো প্রায় নিয়ন্ত্রণে। তাই বলা যায়, সঠিক ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধও সম্ভব। প্রয়োজন শুধু ভয়াবহতা বিবেচনায় সঠিক ব্যবস্থাপনার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে