আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ জন নার্স। যাঁরা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া করোনার টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে পরিবার থেকে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল এই কাজে যেতে। কেউবা বলছেন মানুষের সেবা দিতে এ পেশায় এসেছেন, তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁরা ৬৩ হাজার ৫৯১ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়েছেন—এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে টিকা নিতে আসা লোকজন ওই নার্সদের সেবায় সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন টিকাগ্রহীতারা।
১১ জন নার্স হচ্ছেন, সিনিয়র স্টাফ নার্সের ইনচার্জ নাজমিন আক্তার, নার্স সুপারভাইজার আনজুমান আরা বেগম, ভারপ্রাপ্ত সুপারভাইজার আনোয়ারা বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স নিলুফা ইয়াছমিন, আনোয়ারা খাতুন, জুলেখা পারভীন, জহুরা বেগম, সামিনা জাহান, ফাতেমা খানম, রাজিয়া সুলতানা এবং মিডওয়াইফ (ধাত্রী) নার্স হালিমা খাতুন।
গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদানকেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল পৌনে ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ জন নার্স স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি কেন্দ্রের তিনটি বুথে অবস্থান নেন। সকাল ৬টায় সবার আগে নিতে আসেন গুডুম্বা গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭০)। তিনি সকাল ৯টায় টিকাদানকেন্দ্রের নারীদের বুথে টিকা নেন। তিনি বলেন, ‘মুই বুড়া মানুষ, মুরকে গেরামের রুবিয়া মুকি সাথে করে নিয়ে আছে। বুড়া মানুষ দেখে নার্সেরা খুব আস্তে সুচ ফুঁড়ে টিকা দিল। তাঁর সঙ্গে আসা রুবিয়া খানম তিনিও টিকা দিয়েছেন।’
নার্স হালিমা খাতুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল মানুষের সেবা করার। আল্লাহ সেই আশা পূরণ করেছে আমার। তাই নিজে উদ্বুদ্ধ হয়ে টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছি।’
নার্সের সুপারভাইজার আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘করোনার টিকা দিতে আমার পরিবার থেকে বাধা দিয়েছিল। আমি শুনিনি, যেহেতু মানুষের সেবা দিতেই এই পেশায় এসেছি, সেহেতু মরণেই ভয় না করে আমি মানুষকে টিকা দিচ্ছি।’
সিনিয়র স্টাফ নার্স জহুরা বেগম বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকা দিতে আসা লোকজনদের সেবা দিই। এ কাজে ঝুঁকি থাকলেও মানুষের সেবা দিতে পেরে খুব ভালো লাগে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘শুরু থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেরা করোনাকালীন সময়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা টিকা নিতে আসা লোকজনদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেন, এটা সেবা নেওয়ার পর রোগীরাই আমাকে জানিয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেরা নিরলসভাবে টিকা নিতে আসা লোকজনদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া রয়েছে।’
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ জন নার্স। যাঁরা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া করোনার টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে পরিবার থেকে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল এই কাজে যেতে। কেউবা বলছেন মানুষের সেবা দিতে এ পেশায় এসেছেন, তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁরা ৬৩ হাজার ৫৯১ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়েছেন—এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে টিকা নিতে আসা লোকজন ওই নার্সদের সেবায় সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন টিকাগ্রহীতারা।
১১ জন নার্স হচ্ছেন, সিনিয়র স্টাফ নার্সের ইনচার্জ নাজমিন আক্তার, নার্স সুপারভাইজার আনজুমান আরা বেগম, ভারপ্রাপ্ত সুপারভাইজার আনোয়ারা বেগম, সিনিয়র স্টাফ নার্স নিলুফা ইয়াছমিন, আনোয়ারা খাতুন, জুলেখা পারভীন, জহুরা বেগম, সামিনা জাহান, ফাতেমা খানম, রাজিয়া সুলতানা এবং মিডওয়াইফ (ধাত্রী) নার্স হালিমা খাতুন।
গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদানকেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল পৌনে ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ জন নার্স স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি কেন্দ্রের তিনটি বুথে অবস্থান নেন। সকাল ৬টায় সবার আগে নিতে আসেন গুডুম্বা গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৭০)। তিনি সকাল ৯টায় টিকাদানকেন্দ্রের নারীদের বুথে টিকা নেন। তিনি বলেন, ‘মুই বুড়া মানুষ, মুরকে গেরামের রুবিয়া মুকি সাথে করে নিয়ে আছে। বুড়া মানুষ দেখে নার্সেরা খুব আস্তে সুচ ফুঁড়ে টিকা দিল। তাঁর সঙ্গে আসা রুবিয়া খানম তিনিও টিকা দিয়েছেন।’
নার্স হালিমা খাতুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল মানুষের সেবা করার। আল্লাহ সেই আশা পূরণ করেছে আমার। তাই নিজে উদ্বুদ্ধ হয়ে টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছি।’
নার্সের সুপারভাইজার আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘করোনার টিকা দিতে আমার পরিবার থেকে বাধা দিয়েছিল। আমি শুনিনি, যেহেতু মানুষের সেবা দিতেই এই পেশায় এসেছি, সেহেতু মরণেই ভয় না করে আমি মানুষকে টিকা দিচ্ছি।’
সিনিয়র স্টাফ নার্স জহুরা বেগম বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকা দিতে আসা লোকজনদের সেবা দিই। এ কাজে ঝুঁকি থাকলেও মানুষের সেবা দিতে পেরে খুব ভালো লাগে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘শুরু থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেরা করোনাকালীন সময়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা টিকা নিতে আসা লোকজনদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেন, এটা সেবা নেওয়ার পর রোগীরাই আমাকে জানিয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেরা নিরলসভাবে টিকা নিতে আসা লোকজনদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে