আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ঈদের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কত স্বপ্নই দেখেছিলেন তাঁরা। আগুনে শেষ হয়েছে সব। রাজধানীর বঙ্গবাজারসহ সাতটি মার্কেটের জায়গায় এখন অবশিষ্ট শুধু পুড়ে বেঁকে যাওয়া লোহা-টিন, কাঠ-কয়লা আর পোড়ামাটি। সব হারিয়ে এখন সেই পোড়ামাটিই পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা, মার্কেটের জায়গা দখল হয়ে যেতে পারে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ গতকাল বুধবার পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও তাঁদের ধারণ করা ভিডিও থেকে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যারাক লাগোয়া আদর্শ মার্কেট থেকে।
অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর গতকাল সন্ধ্যায় পুড়ে যাওয়া মার্কেটের বিভিন্ন জায়গায় স্তূপের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ওই সব জায়গায় দিনভর পানিও দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মধ্যে গতকালও ব্যবসায়ী-মহাজন ও দোকানকর্মীরা হাঁ-হুতাশ করে বেড়ান। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করার কাজও শুরু করেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো।
মার্কেট বেদখল ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের ২৪ ঘণ্টার পাহারা
মার্কেট ও দোকান যাতে পরবর্তী সময়ে বুঝে পান, সে জন্য গতকাল ব্যবসায়ীরা প্রতিটি মার্কেট রশি দিয়ে মেপে আলাদা করে রেখেছেন। যাঁর যাঁর দোকান, সেগুলো শনাক্ত করে দিনরাত তাঁরা মার্কেটের আশপাশেই আছেন।
বজলু নামে মহানগর মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দোকানের তো কিছুই নেই। ১৮ বছর ধরে ব্যবসা করছি। যাতে পরবর্তী সময়ে দোকান পাই, সে জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নিজের নাম রাখার চেষ্টা করছি।’
ব্যবসায়ীদের পুড়ে যাওয়া দোকানের ছাইয়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশের বহুতল এনেক্সকো ভবনে ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান থেকে জিনিসপত্র বের করার চেষ্টা করেছেন।
ব্যবসায়ী ও দোকানমালিকদের তালিকা হচ্ছে
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বঙ্গবাজার, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, মহানগর কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট, ঢাকা মহানগর মার্কেট এবং এনেক্সকো টাওয়ারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকানমালিকদের তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে সব কটি মার্কেটের অফিস সহকারীরা তালিকা করতে ঘটনাস্থলে ছিলেন। আরও দুই দিন কাজ করে এই তালিকা করা হবে। এরপর তালিকাটি সরকার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে। ছয় মার্কেটে ছয় হাজার দোকান পুড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
গুলিস্তান মার্কেটের অফিস সহকারী আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা তালিকা প্রস্তুত করছি। প্রথম দিন অনেক ভিড় হওয়ায় কাজ করা যায়নি। আরও দু-এক দিন কাজ করলে তালিকা শেষ হবে।’
আদর্শ মার্কেট থেকে যেভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়
কাঠের তৈরি আদর্শ মার্কেটের উত্তর কর্নারে আগুনের সূত্রপাত হয়। উত্তর কর্নারের তৃতীয় তলায় একটি মসজিদ এবং সাত থেকে আটটি পোশাক তৈরির ছোট ছোট কারখানা ছিল। মসজিদের ওপরে নিরাপত্তাকর্মী, ইলেকট্রিশিয়ানদের ঘুমানোর জন্য একটি কক্ষ রয়েছে; যেটাকে চারতলা বলে মার্কেটের সবাই। ঘটনার দিন সাহ্রি খেয়ে নামাজ শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আদর্শ মার্কেটের ইলেকট্রিশিয়ান মামুন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী বেল্লাল তাঁকে ফোন দিয়ে জানান, ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছেন। মামুন ও মসজিদের মুয়াজ্জিন ইব্রাহীম খলীল দ্রুত ফায়ার ইস্টিংগুইশার নিয়ে নামেন। মসজিদের নিচে ১০ ফুট গলি দিয়ে তাঁরা দুজন ফায়ার ইস্টিংগুইশার ব্যবহার করতে করতে বের হয়ে যান। নিরাপত্তাকর্মী বেল্লাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি। তবে ইলেকট্রিশিয়ান মাইন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, তাঁরা ধোঁয়ার তীব্রতায় ভেতরে থাকতে পারছিলেন না। তাই ফায়ার ইস্টিংগুইশার ব্যবহার করে চলে আসেন। তাঁদের বর্ণনাতেও পুলিশ ব্যারাক লাগোয়া আদর্শ মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া একটি ভিডিওতেও আদর্শ মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে দেখা যায়।
আদর্শ মার্কেটের অফিস সহকারী আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, ‘আমি ফজরের নামাজ আদায় করে শুয়ে ছিলাম। তখন নিরাপত্তাকর্মী আগুনের খবর দিলে দ্রুত রামপুরার বাসা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি আমাদের মার্কেট আগুনে জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ব্যারাকের পাশে পানি দিচ্ছে।’
গুলিস্তান হকার্স মার্কেটের ১০৮৩ নম্বর দোকানের মালিক জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটে আসি। এসে দেখি পুলিশ ব্যারাকের পাশে আদর্শ মার্কেটের উত্তর কর্নারের টিনের চালের ওপর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। কাঠের তৈরি আদর্শ মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
জুয়েল রানা এ সময় একটি ভিডিও দেখান। ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ মার্কেটে প্রথমে ছোট পরিসরে আগুন ছড়ায়। পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যারাকের পরে একটি সীমানাদেয়াল। এই দেয়াল ঘেঁষেই আদর্শ মার্কেট। সেখানে আগুনের সূত্রপাতের পর তা কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।
বাদশাহ নামের এক দোকানি বলেন, এখানে আগুন কেউ ধরিয়ে না দিলে এভাবে কখনো আগুন ছড়ানোর কথা না। যে কেউ শত্রুতা করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এটা ভালো করে তদন্ত করা উচিত।
বঙ্গমার্কেটের অফিস সহকারী সোলায়মান শিকদার বলেন, ‘আগুন আদর্শ মার্কেট থেকে শুরু হয়েছে। তবে কীভাবে এত ভোরে আগুন লাগল, তা আমরা বুঝতেছি না।’
ভিডিও দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার ঘোষণা
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন লালবাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন। তিনি বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগুনের ঘটনায় শাহবাগ থানা-পুলিশ একটি এবং ব্যবসায়ীরা ছয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হবে। ডিএমপির লালবাগ বিভাগ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে বলেছি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মামলা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে কেউ যদি এ ধরনের আক্রমণ করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
ঈদের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কত স্বপ্নই দেখেছিলেন তাঁরা। আগুনে শেষ হয়েছে সব। রাজধানীর বঙ্গবাজারসহ সাতটি মার্কেটের জায়গায় এখন অবশিষ্ট শুধু পুড়ে বেঁকে যাওয়া লোহা-টিন, কাঠ-কয়লা আর পোড়ামাটি। সব হারিয়ে এখন সেই পোড়ামাটিই পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা, মার্কেটের জায়গা দখল হয়ে যেতে পারে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ গতকাল বুধবার পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও তাঁদের ধারণ করা ভিডিও থেকে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনের সূত্রপাত পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যারাক লাগোয়া আদর্শ মার্কেট থেকে।
অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর গতকাল সন্ধ্যায় পুড়ে যাওয়া মার্কেটের বিভিন্ন জায়গায় স্তূপের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ওই সব জায়গায় দিনভর পানিও দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মধ্যে গতকালও ব্যবসায়ী-মহাজন ও দোকানকর্মীরা হাঁ-হুতাশ করে বেড়ান। ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করার কাজও শুরু করেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো।
মার্কেট বেদখল ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের ২৪ ঘণ্টার পাহারা
মার্কেট ও দোকান যাতে পরবর্তী সময়ে বুঝে পান, সে জন্য গতকাল ব্যবসায়ীরা প্রতিটি মার্কেট রশি দিয়ে মেপে আলাদা করে রেখেছেন। যাঁর যাঁর দোকান, সেগুলো শনাক্ত করে দিনরাত তাঁরা মার্কেটের আশপাশেই আছেন।
বজলু নামে মহানগর মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দোকানের তো কিছুই নেই। ১৮ বছর ধরে ব্যবসা করছি। যাতে পরবর্তী সময়ে দোকান পাই, সে জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নিজের নাম রাখার চেষ্টা করছি।’
ব্যবসায়ীদের পুড়ে যাওয়া দোকানের ছাইয়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশের বহুতল এনেক্সকো ভবনে ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান থেকে জিনিসপত্র বের করার চেষ্টা করেছেন।
ব্যবসায়ী ও দোকানমালিকদের তালিকা হচ্ছে
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বঙ্গবাজার, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, মহানগর কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট, ঢাকা মহানগর মার্কেট এবং এনেক্সকো টাওয়ারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকানমালিকদের তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে সব কটি মার্কেটের অফিস সহকারীরা তালিকা করতে ঘটনাস্থলে ছিলেন। আরও দুই দিন কাজ করে এই তালিকা করা হবে। এরপর তালিকাটি সরকার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে। ছয় মার্কেটে ছয় হাজার দোকান পুড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
গুলিস্তান মার্কেটের অফিস সহকারী আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা তালিকা প্রস্তুত করছি। প্রথম দিন অনেক ভিড় হওয়ায় কাজ করা যায়নি। আরও দু-এক দিন কাজ করলে তালিকা শেষ হবে।’
আদর্শ মার্কেট থেকে যেভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়
কাঠের তৈরি আদর্শ মার্কেটের উত্তর কর্নারে আগুনের সূত্রপাত হয়। উত্তর কর্নারের তৃতীয় তলায় একটি মসজিদ এবং সাত থেকে আটটি পোশাক তৈরির ছোট ছোট কারখানা ছিল। মসজিদের ওপরে নিরাপত্তাকর্মী, ইলেকট্রিশিয়ানদের ঘুমানোর জন্য একটি কক্ষ রয়েছে; যেটাকে চারতলা বলে মার্কেটের সবাই। ঘটনার দিন সাহ্রি খেয়ে নামাজ শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আদর্শ মার্কেটের ইলেকট্রিশিয়ান মামুন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী বেল্লাল তাঁকে ফোন দিয়ে জানান, ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছেন। মামুন ও মসজিদের মুয়াজ্জিন ইব্রাহীম খলীল দ্রুত ফায়ার ইস্টিংগুইশার নিয়ে নামেন। মসজিদের নিচে ১০ ফুট গলি দিয়ে তাঁরা দুজন ফায়ার ইস্টিংগুইশার ব্যবহার করতে করতে বের হয়ে যান। নিরাপত্তাকর্মী বেল্লাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি। তবে ইলেকট্রিশিয়ান মাইন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, তাঁরা ধোঁয়ার তীব্রতায় ভেতরে থাকতে পারছিলেন না। তাই ফায়ার ইস্টিংগুইশার ব্যবহার করে চলে আসেন। তাঁদের বর্ণনাতেও পুলিশ ব্যারাক লাগোয়া আদর্শ মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া একটি ভিডিওতেও আদর্শ মার্কেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে দেখা যায়।
আদর্শ মার্কেটের অফিস সহকারী আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে গতকাল বলেন, ‘আমি ফজরের নামাজ আদায় করে শুয়ে ছিলাম। তখন নিরাপত্তাকর্মী আগুনের খবর দিলে দ্রুত রামপুরার বাসা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি আমাদের মার্কেট আগুনে জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ব্যারাকের পাশে পানি দিচ্ছে।’
গুলিস্তান হকার্স মার্কেটের ১০৮৩ নম্বর দোকানের মালিক জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটে আসি। এসে দেখি পুলিশ ব্যারাকের পাশে আদর্শ মার্কেটের উত্তর কর্নারের টিনের চালের ওপর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। কাঠের তৈরি আদর্শ মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
জুয়েল রানা এ সময় একটি ভিডিও দেখান। ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ মার্কেটে প্রথমে ছোট পরিসরে আগুন ছড়ায়। পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যারাকের পরে একটি সীমানাদেয়াল। এই দেয়াল ঘেঁষেই আদর্শ মার্কেট। সেখানে আগুনের সূত্রপাতের পর তা কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।
বাদশাহ নামের এক দোকানি বলেন, এখানে আগুন কেউ ধরিয়ে না দিলে এভাবে কখনো আগুন ছড়ানোর কথা না। যে কেউ শত্রুতা করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এটা ভালো করে তদন্ত করা উচিত।
বঙ্গমার্কেটের অফিস সহকারী সোলায়মান শিকদার বলেন, ‘আগুন আদর্শ মার্কেট থেকে শুরু হয়েছে। তবে কীভাবে এত ভোরে আগুন লাগল, তা আমরা বুঝতেছি না।’
ভিডিও দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার ঘোষণা
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন লালবাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন। তিনি বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগুনের ঘটনায় শাহবাগ থানা-পুলিশ একটি এবং ব্যবসায়ীরা ছয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হবে। ডিএমপির লালবাগ বিভাগ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে বলেছি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মামলা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে কেউ যদি এ ধরনের আক্রমণ করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে