মো. মিরাজ হোসাইন, দৌলতখান (ভোলা)
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পশ্চিম রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙে পড়ছে পিলার। খসে পড়েছে পলেস্তারা। নির্মাণের মাত্র ১৭ বছরে ভবন বেহাল। শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসেছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, দ্রুত সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উপজেলার প্রবেশমুখে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯২০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাক্-প্রাথমিক হিসেবে সুনাম রয়েছে বিদ্যালয়টির। বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮০ জন। বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষামেলা আয়োজন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আধা-পাকা ভবনের কোনো দরজা-জানালা নেই। বারান্দার পিলারগুলো ভেঙে গেছে। বিদ্যালয়ের ছাদের ঢালাই ভেঙে বিভিন্ন স্থানে রড বের হয়ে গেছে। ছাউনির টিন ফুটো হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমান টিপু বলেন, ‘২০০৪-০৫ অর্থবছরে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলছে পাঠদান। নতুন ভবন জরুরি হয়ে পড়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে নতুন ভবন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, ‘নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কোনো বরাদ্দ পাইনি। প্রায় ৩৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে দুই কক্ষের আরেকটি ভবনে চলছে পাঠদান। এক তলাবিশিষ্ট ভবনটি বেশ পুরোনো। ছাদের ঢালাই, পিলার ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে। যে কোনো সময় পুরোনো ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে।’
অভিভাবকরা জানান, ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘ক্লাসে পড়ানোর সময় প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ ও আসবাব। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।’ তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন; কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষা অফিস থেকে আমরা তালিকা পেয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শিগগিরই পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ভবন বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও কোনো সুফল পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাবর নতুন ভবন চেয়ে লিখিত দেওয়া হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পশ্চিম রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙে পড়ছে পিলার। খসে পড়েছে পলেস্তারা। নির্মাণের মাত্র ১৭ বছরে ভবন বেহাল। শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসেছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, দ্রুত সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উপজেলার প্রবেশমুখে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯২০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাক্-প্রাথমিক হিসেবে সুনাম রয়েছে বিদ্যালয়টির। বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮০ জন। বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষামেলা আয়োজন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আধা-পাকা ভবনের কোনো দরজা-জানালা নেই। বারান্দার পিলারগুলো ভেঙে গেছে। বিদ্যালয়ের ছাদের ঢালাই ভেঙে বিভিন্ন স্থানে রড বের হয়ে গেছে। ছাউনির টিন ফুটো হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমান টিপু বলেন, ‘২০০৪-০৫ অর্থবছরে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলছে পাঠদান। নতুন ভবন জরুরি হয়ে পড়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে নতুন ভবন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, ‘নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কোনো বরাদ্দ পাইনি। প্রায় ৩৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে দুই কক্ষের আরেকটি ভবনে চলছে পাঠদান। এক তলাবিশিষ্ট ভবনটি বেশ পুরোনো। ছাদের ঢালাই, পিলার ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে। যে কোনো সময় পুরোনো ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে।’
অভিভাবকরা জানান, ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘ক্লাসে পড়ানোর সময় প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ ও আসবাব। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।’ তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন; কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষা অফিস থেকে আমরা তালিকা পেয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শিগগিরই পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ভবন বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও কোনো সুফল পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাবর নতুন ভবন চেয়ে লিখিত দেওয়া হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে