রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
সম্প্রীতির এক অন্য রকম দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের মহামুনি এলাকা। এখানে একই সঙ্গে গড়ে উঠেছে তিনটি সম্প্রদায়ের কবরস্থান, শ্মশান ও সমাধিস্থান। তবে রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক প্রশস্ত করতে প্রাথমিকভাবে জমি অধিগ্রহণের জন্য যে মাপ নেওয়া হয়েছে, সেখানে এসব স্থাপনা পড়ার সম্ভাবনায় জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি এসব স্থাপনাকে অক্ষত রেখে সড়ক প্রশস্ত করতে হবে।
ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এ স্থানটি রামগড় পৌরসভার মহামুনি এলাকার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুসংলগ্ন জায়গায় অবস্থিত। ব্রিটিশ আমল থেকে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সম্প্রীতির বন্ধনের অন্য রকম এক দৃষ্টান্ত এটি।
সরেজমিন মহামুনি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখানে চায়ের দোকানগুলোতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলেমিশে একাকার। সাম্প্রদায়িকতার কোনো নজির নেই। একসঙ্গে কয়েকজন বাঙালি আড্ডা দিচ্ছিলেন একজন উপজাতি নারীর দোকানে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুসলমানদের ঈদে যেমন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের দাওয়াত থাকে; তেমনি বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের পূজা কিংবা বড়দিনেও নিমন্ত্রণ থাকে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সুমন হালদার জনি বলেন, স্থানীয় মুসলমান, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধরা যুগ যুগ ধরে এ স্থান ব্যবহার করে আসছেন। এ নিয়ে কখনো কোনো বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। সবাই তাঁদের নিজ নিজ ধর্মের নিয়ম মেনে দাফন ও সৎকার করে আসছেন।
মহামুনি কবরস্থান কমিটির সদস্য নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘কবর ও শ্মশান পাশাপাশি অবস্থিত। পূর্বপুরুষেরা সম্প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ পাশাপাশি এই কবরস্থান, শ্মশানঘাট করে গেছেন। সড়ক প্রশস্ত করতে এ ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে শুনে মন খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের লোকজন আন্তরিক হলে এ ভূমি অক্ষত রেখে সড়ক নির্মাণ করা যাবে।’
রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মংসাজাই মারমা বলেন, এই গ্রামে এক ধর্মের মানুষের সঙ্গে অন্য ধর্মের মানুষের কোনো দলাদলি নেই। ব্রিটিশ আমল বা তারও আগে মারমাদের শ্মশান ও পরে খ্রিষ্টানদের এবং পাকিস্তান আমল থেকে কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয় এখানে। সাম্প্রদায়িক বন্ধন দৃঢ় করতে এ স্থানকে অক্ষত রেখে সড়ক প্রশস্ত করা উচিত।
রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ কবরস্থান, সমাধি, শ্মশান। সাম্প্রদায়িক বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বন্দর কমিটিকে অনুরোধ করে এই পবিত্র স্থান অক্ষত রেখে সড়ক নির্মাণ করতে।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল জানান, ঐতিহাসিক একটি স্থান এটি। পুরো দেশে এমন একটি স্থান খুঁজে পাওয়া মুশকিল। জাত-ধর্মের বিভেদ ভুলে সাম্প্রদায়িকতার এমন নজির স্থাপন খুব কমই চোখে পড়ে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় এ গ্রামে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে ত্রিপুরা, কে বৌদ্ধ আর কে খ্রিষ্টান; তার কোনো ভেদাভেদ নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই দাবি যুক্তিসংগত। তাদের দাবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ঐতিহাসিক স্থানকে অক্ষত রাখতে তিনি তাঁদের পাশে থাকবেন।
সম্প্রীতির এক অন্য রকম দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের মহামুনি এলাকা। এখানে একই সঙ্গে গড়ে উঠেছে তিনটি সম্প্রদায়ের কবরস্থান, শ্মশান ও সমাধিস্থান। তবে রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক প্রশস্ত করতে প্রাথমিকভাবে জমি অধিগ্রহণের জন্য যে মাপ নেওয়া হয়েছে, সেখানে এসব স্থাপনা পড়ার সম্ভাবনায় জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি এসব স্থাপনাকে অক্ষত রেখে সড়ক প্রশস্ত করতে হবে।
ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এ স্থানটি রামগড় পৌরসভার মহামুনি এলাকার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুসংলগ্ন জায়গায় অবস্থিত। ব্রিটিশ আমল থেকে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সম্প্রীতির বন্ধনের অন্য রকম এক দৃষ্টান্ত এটি।
সরেজমিন মহামুনি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখানে চায়ের দোকানগুলোতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলেমিশে একাকার। সাম্প্রদায়িকতার কোনো নজির নেই। একসঙ্গে কয়েকজন বাঙালি আড্ডা দিচ্ছিলেন একজন উপজাতি নারীর দোকানে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুসলমানদের ঈদে যেমন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের দাওয়াত থাকে; তেমনি বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের পূজা কিংবা বড়দিনেও নিমন্ত্রণ থাকে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সুমন হালদার জনি বলেন, স্থানীয় মুসলমান, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধরা যুগ যুগ ধরে এ স্থান ব্যবহার করে আসছেন। এ নিয়ে কখনো কোনো বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। সবাই তাঁদের নিজ নিজ ধর্মের নিয়ম মেনে দাফন ও সৎকার করে আসছেন।
মহামুনি কবরস্থান কমিটির সদস্য নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘কবর ও শ্মশান পাশাপাশি অবস্থিত। পূর্বপুরুষেরা সম্প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ পাশাপাশি এই কবরস্থান, শ্মশানঘাট করে গেছেন। সড়ক প্রশস্ত করতে এ ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে শুনে মন খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের লোকজন আন্তরিক হলে এ ভূমি অক্ষত রেখে সড়ক নির্মাণ করা যাবে।’
রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মংসাজাই মারমা বলেন, এই গ্রামে এক ধর্মের মানুষের সঙ্গে অন্য ধর্মের মানুষের কোনো দলাদলি নেই। ব্রিটিশ আমল বা তারও আগে মারমাদের শ্মশান ও পরে খ্রিষ্টানদের এবং পাকিস্তান আমল থেকে কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয় এখানে। সাম্প্রদায়িক বন্ধন দৃঢ় করতে এ স্থানকে অক্ষত রেখে সড়ক প্রশস্ত করা উচিত।
রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ কবরস্থান, সমাধি, শ্মশান। সাম্প্রদায়িক বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বন্দর কমিটিকে অনুরোধ করে এই পবিত্র স্থান অক্ষত রেখে সড়ক নির্মাণ করতে।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল জানান, ঐতিহাসিক একটি স্থান এটি। পুরো দেশে এমন একটি স্থান খুঁজে পাওয়া মুশকিল। জাত-ধর্মের বিভেদ ভুলে সাম্প্রদায়িকতার এমন নজির স্থাপন খুব কমই চোখে পড়ে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় এ গ্রামে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে ত্রিপুরা, কে বৌদ্ধ আর কে খ্রিষ্টান; তার কোনো ভেদাভেদ নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই দাবি যুক্তিসংগত। তাদের দাবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ঐতিহাসিক স্থানকে অক্ষত রাখতে তিনি তাঁদের পাশে থাকবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে