সম্পাদকীয়
না চাইলেও প্রতিবছর একটি গোলকধাঁধায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। ধাঁধাটি খুব পরিচিত, উত্তরও জানা। কিন্তু মেলাতে ভীষণ কষ্ট! ধাঁধাটি হচ্ছে রমজানের পণ্যের দাম। রমজান মাস এলে পণ্যের দাম বাড়ে—এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বছর তো রমজানের আগেই দাম বেড়ে যাচ্ছে।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে হিজরি বছরের রমজান মাস। এখনো প্রায় দুই মাস বাকি। এ মাস ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সংযমের মাস। সংযম তো শুধু রোজা রেখেই করা যায় না, নানা দিক দিয়েই সংযম করা সম্ভব। এই যেমন সংযত ব্যবহার করা, পরিমিত খাবার খাওয়া, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ না করা ইত্যাদি।
অথচ আমরা যদি রমজান মাসে বাজারের দিকে তাকাই, দেখতে পাই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। পণ্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরাটাও যে একধরনের সংযম, তা যেন কারও মাথাতেই নেই। আর তাই যাঁরা রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারেন, তাঁরা চুপটি করে বসে থাকেন না। দামটা বাড়িয়েই দেন। ইতিমধ্যেই বেড়েছে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজের দাম। খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়।
এসব পণ্যের চাহিদা রমজানে বেশি থাকে। আগেই যদি এগুলোর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে দুই মাস পর আরও বাড়তি মূল্যের শঙ্কা জনমনে উঁকি দেওয়াটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার-সংকটের কারণে দাম বাড়াতে হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নিত্যপণ্য আমদানিতে ডলারের সংকট নেই!
রমজানে বাড়তি পণ্যমূল্যের জন্য অনেকের আবার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। যাঁদের হয় না, তাঁরা হয়তো নিজেরাই দাম বাড়ান। পণ্যের ব্যবসায়ীরা তো বাড়ানই, অন্যরা বাড়ান ওই বাড়তি দামে পণ্য কিনে কিনে। আবার ক্রেতারা বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হন বলেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ান। এটা ধাঁধা নয়তো কী!
কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে ইফতার পার্টির চল। হচ্ছে বিশাল আয়োজন। সেই আয়োজনে খরচটাও হয় বিশাল। উদরপূর্তির জন্য থাকে নানা পদের ভারী খাবার। বাড়তি দামের বাজারটা চলে আসে এই ইফতার পার্টিতে। এলাহি ব্যাপার! কিন্তু ব্যাপারটা রমজানের সংযমের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। বিশাল খরচে বেশি পদে আহার করে তাঁরা যদি রসনাবিলাস না করতেন তাহলে হয়তো বাজার পরিস্থিতিটা একটু হলেও স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হতো।
ভেবে দেখতে হয় কারা এত খরচ করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে অবৈধ আয়কারী আছেন নিশ্চয়ই। অন্যায়ভাবে আয় করে নেন বাজার পণ্যের ব্যবসায়ীরাও। তাঁরাও নিশ্চয়ই একইভাবে খরচ করতে সক্ষম। একদিকে অন্যায়ভাবে উপার্জন এবং অন্যদিকে বাজারে গিয়ে বাড়তি দামে জিনিসপত্র কেনা তাঁদের জন্য শখের ব্যাপার হলেও আদতে ভুগতে হয় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত খরিদদারদের।
এই অবৈধ আয়কারীরাই আসলে বাজার অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। সেখানে বাকিদের গোলকধাঁধার হিসাব মেলাতে কষ্ট হয়। কিন্তু সেই হিসাব মেলানোটাই সবচেয়ে জরুরি কাজ। গোলকধাঁধার রহস্যময়তায় সেই জরুরি কাজটাই ভেস্তে গেছে! এ রকম ‘সংযম’ সব ধরনের অর্জনকে ম্লান করে দেয়।
না চাইলেও প্রতিবছর একটি গোলকধাঁধায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। ধাঁধাটি খুব পরিচিত, উত্তরও জানা। কিন্তু মেলাতে ভীষণ কষ্ট! ধাঁধাটি হচ্ছে রমজানের পণ্যের দাম। রমজান মাস এলে পণ্যের দাম বাড়ে—এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বছর তো রমজানের আগেই দাম বেড়ে যাচ্ছে।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে হিজরি বছরের রমজান মাস। এখনো প্রায় দুই মাস বাকি। এ মাস ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সংযমের মাস। সংযম তো শুধু রোজা রেখেই করা যায় না, নানা দিক দিয়েই সংযম করা সম্ভব। এই যেমন সংযত ব্যবহার করা, পরিমিত খাবার খাওয়া, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ না করা ইত্যাদি।
অথচ আমরা যদি রমজান মাসে বাজারের দিকে তাকাই, দেখতে পাই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। পণ্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরাটাও যে একধরনের সংযম, তা যেন কারও মাথাতেই নেই। আর তাই যাঁরা রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারেন, তাঁরা চুপটি করে বসে থাকেন না। দামটা বাড়িয়েই দেন। ইতিমধ্যেই বেড়েছে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজের দাম। খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়।
এসব পণ্যের চাহিদা রমজানে বেশি থাকে। আগেই যদি এগুলোর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে দুই মাস পর আরও বাড়তি মূল্যের শঙ্কা জনমনে উঁকি দেওয়াটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার-সংকটের কারণে দাম বাড়াতে হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নিত্যপণ্য আমদানিতে ডলারের সংকট নেই!
রমজানে বাড়তি পণ্যমূল্যের জন্য অনেকের আবার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। যাঁদের হয় না, তাঁরা হয়তো নিজেরাই দাম বাড়ান। পণ্যের ব্যবসায়ীরা তো বাড়ানই, অন্যরা বাড়ান ওই বাড়তি দামে পণ্য কিনে কিনে। আবার ক্রেতারা বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হন বলেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ান। এটা ধাঁধা নয়তো কী!
কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে ইফতার পার্টির চল। হচ্ছে বিশাল আয়োজন। সেই আয়োজনে খরচটাও হয় বিশাল। উদরপূর্তির জন্য থাকে নানা পদের ভারী খাবার। বাড়তি দামের বাজারটা চলে আসে এই ইফতার পার্টিতে। এলাহি ব্যাপার! কিন্তু ব্যাপারটা রমজানের সংযমের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। বিশাল খরচে বেশি পদে আহার করে তাঁরা যদি রসনাবিলাস না করতেন তাহলে হয়তো বাজার পরিস্থিতিটা একটু হলেও স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হতো।
ভেবে দেখতে হয় কারা এত খরচ করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে অবৈধ আয়কারী আছেন নিশ্চয়ই। অন্যায়ভাবে আয় করে নেন বাজার পণ্যের ব্যবসায়ীরাও। তাঁরাও নিশ্চয়ই একইভাবে খরচ করতে সক্ষম। একদিকে অন্যায়ভাবে উপার্জন এবং অন্যদিকে বাজারে গিয়ে বাড়তি দামে জিনিসপত্র কেনা তাঁদের জন্য শখের ব্যাপার হলেও আদতে ভুগতে হয় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত খরিদদারদের।
এই অবৈধ আয়কারীরাই আসলে বাজার অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। সেখানে বাকিদের গোলকধাঁধার হিসাব মেলাতে কষ্ট হয়। কিন্তু সেই হিসাব মেলানোটাই সবচেয়ে জরুরি কাজ। গোলকধাঁধার রহস্যময়তায় সেই জরুরি কাজটাই ভেস্তে গেছে! এ রকম ‘সংযম’ সব ধরনের অর্জনকে ম্লান করে দেয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে