ফরিদখান মিন্টু, শরণখোলা (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন এমবিবিএস চিকিৎসক রয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের তিনজনই পারিবারিক সমস্যা ও অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে রয়েছেন। একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছাড়া তিন দিন ধরে কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে।
দুজন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক দেখছেন রোগী। এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে গত বুধবার একজন চিকিৎসক ধার করে আনা হয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডা. নাদিয়া নওরিন পারিবারিক সমস্যার কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ছুটিতে রয়েছেন। ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাসের বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি ১০ অক্টোবর ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন। এ ছাড়া আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ ১১ অক্টোবর থেকে জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতায় বাসায় অবস্থান করছেন। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো কোনো ডাক্তার নেই হাসপাতালটিতে।
গত বুধবার দুপুরে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি ও বহির্বিভাগে রোগীর ভিড়। মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা ডা. রাফসান হোসাইন নতুন ভবনের ২৬ নম্বর কক্ষে রোগী দেখছেন। পাশের ২৭ নম্বর কক্ষে রোগী দেখছেন উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক মল্লিক আরাফাত। দুই কক্ষের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
জরুরি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক বিশ্বজিত মজুমদার। মারামারি, দুর্ঘটনায় আহত ও অন্যান্য মিলিয়ে সেখানে রোগীতে ঠাসা। একা এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান জরুরি বিভাগের এই চিকিৎসক।
উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বুধবার সকাল ১০টায় রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে না পেরে চলে যান।
উপজেলা দক্ষিণ রাজাপুর গ্রাম থেকে মো. মনির হোসেন বুধবার সকাল ৯টায় তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের (১১) টনসিলের সমস্যা নিয়ে এসেছেন। তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর চিকিৎসককে দেখানোর সুযোগ পান। এভাবে অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় তিনজন চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন। রোগীর প্রচণ্ড চাপ। এ অবস্থায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ফাঁকে তিনি নিজে গিয়েও বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানোর পর আপাতত মোরেলগঞ্জ থেকে একজন চিকিৎসক পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গোলাম মোকদারি খান নামের একজন চিকিৎসক এখানে ডেপুটেশনে পাঠানোর কথা।
সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন বলেন, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যার বিষয়টি তিনি জানেন। ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক সেখানে পদায়ন করা হয়েছে। যাঁরা ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। চলমান এই সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন এমবিবিএস চিকিৎসক রয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের তিনজনই পারিবারিক সমস্যা ও অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে রয়েছেন। একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছাড়া তিন দিন ধরে কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে।
দুজন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক দেখছেন রোগী। এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে গত বুধবার একজন চিকিৎসক ধার করে আনা হয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডা. নাদিয়া নওরিন পারিবারিক সমস্যার কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ছুটিতে রয়েছেন। ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাসের বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি ১০ অক্টোবর ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন। এ ছাড়া আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ ১১ অক্টোবর থেকে জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতায় বাসায় অবস্থান করছেন। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো কোনো ডাক্তার নেই হাসপাতালটিতে।
গত বুধবার দুপুরে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি ও বহির্বিভাগে রোগীর ভিড়। মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা ডা. রাফসান হোসাইন নতুন ভবনের ২৬ নম্বর কক্ষে রোগী দেখছেন। পাশের ২৭ নম্বর কক্ষে রোগী দেখছেন উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক মল্লিক আরাফাত। দুই কক্ষের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
জরুরি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক বিশ্বজিত মজুমদার। মারামারি, দুর্ঘটনায় আহত ও অন্যান্য মিলিয়ে সেখানে রোগীতে ঠাসা। একা এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান জরুরি বিভাগের এই চিকিৎসক।
উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বুধবার সকাল ১০টায় রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে না পেরে চলে যান।
উপজেলা দক্ষিণ রাজাপুর গ্রাম থেকে মো. মনির হোসেন বুধবার সকাল ৯টায় তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের (১১) টনসিলের সমস্যা নিয়ে এসেছেন। তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর চিকিৎসককে দেখানোর সুযোগ পান। এভাবে অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় তিনজন চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন। রোগীর প্রচণ্ড চাপ। এ অবস্থায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ফাঁকে তিনি নিজে গিয়েও বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানোর পর আপাতত মোরেলগঞ্জ থেকে একজন চিকিৎসক পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গোলাম মোকদারি খান নামের একজন চিকিৎসক এখানে ডেপুটেশনে পাঠানোর কথা।
সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন বলেন, শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যার বিষয়টি তিনি জানেন। ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক সেখানে পদায়ন করা হয়েছে। যাঁরা ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। চলমান এই সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে