বগুড়ার নন্দীগ্রামে কোশাস উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ভর তেঁতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর মুখে ঘুষি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তাঁর তিনটি দাঁত ভেঙে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পণ্ডিত পুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সাজ্জাদুল ইসলামের স্ত্রী ও একই উপজেলার কোশাস উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং হয়। কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন চারজন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি মিটিং না করেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান।

মঞ্জুয়ারা আরও বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় আমার স্বামী বাজারে যান। ওই বাজারে শামিম হোসেনের কাপড়ের দোকান আছে। আমার স্বামী তাঁর দোকানে গিয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শামিম হোসেন আমার স্বামীকে মারধর করেন। মুখে ঘুষি দিলে আমার স্বামীর সামনের তিনটি দাঁত ভেঙে পড়ে যায়।’

পরে সাজ্জাদুল ইসলামকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গতকাল উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামিম হোসেন লিটন বলেন, ‘সাজ্জাদুল ইসলামের সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়েছে। তবে আমি তাঁর দাঁত ভাঙিনি। তিনি দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দাঁত পড়ে যায়।’

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’