খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দিন-রাতের চিকিৎসাসেবায় বিস্তর ফারাক। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাতে চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়ের সংকট তীব্র। দিনের প্রথম প্রহরে একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলেও রাত নামলে ভরসা ইন্টার্ন চিকিৎসক। রোগীর স্বজনেরা এ অবস্থার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েন। মেঝে দখল করে রাতভর হাসপাতালেই থেকে যান।
এ নিয়ে সিটি মেয়রের উপস্থিতিতেই হাসপাতালের পরিচালক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কিছুদিন আগে। তিনি সিনিয়র চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিকিৎসকদের চিঠি দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ইনডোর সেবা দিতে বলা হলেও তা মানছেন না কেউ।
গত সপ্তাহে হাসপাতালের ডি ব্লকে ভর্তি এক রোগীকে ইনসুলিন দেওয়ার কথা ছিল। রাত সাড়ে ৯টার পর নার্সদের বলা হলেও তাঁরা বলেন, এটা রোগীর স্বজনেরাই দেবেন। একই ওয়ার্ডে একজন রোগীর হাতের ক্যানুলা খুলে দেওয়ার জন্য চিকিৎসক বললেও নার্স পরে উধাও হয়ে যান। একই অবস্থা মেডিসিন ১ বিভাগের বেলায়ও। হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে সংকট আরও প্রবল। সেখানকার একাধিক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, দিনে একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসতেও পারেন। রাতে আর দেখা মেলে না। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়ে কোনোরকমে রাত পার করা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই হাসপাতালে।
গত ১১ জুন রাতে এক কলেজছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘাত আর বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হাসপাতালে আসেন। ওই সময় শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা হাসপাতালে না আসার বিষয়টি মেয়রকে জানান। একই অভিযোগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সারা রাত ইন্টার্নরাই হাসপাতালের শেষ ভরসা। মেয়র এ সময় এ ধরনের অভিযোগ স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভায় উত্থাপনের পরামর্শ দেন।
এদিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়দের দায়িত্বে অবহেলা চরমে পৌঁছেছে। রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, রাত-দিন ওয়ার্ডবয়রা ট্রলি-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকেন। রোগী আনলেই দু-তিন শ টাকা দিতে হয়। রাতে অবশ্য টাকার অঙ্ক বেড়ে যায়।
এসব বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কয়েক মাস আগে সকালে ও সন্ধ্যায় সব অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকদের হাসপাতালে এসে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই চিঠির পর কয়েকজন চিকিৎসক এলেও পরবর্তী সময়ে আর এ নিয়ম কেউ মানছেন না। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা হাসপাতালমুখী না হলে এই অবস্থা কটিয়ে ওঠা কঠিন। সবার আগে প্রয়োজন রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের চাপ কমানো। এ জন্য নতুন ভবন চালুর চেষ্টাও চলছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংগঠন মৈত্রী ভলান্টিয়ার্সের সমন্বয়ক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু জানান, রাতে সেবা পায় না রোগী। কেবল দু-একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক থাকেন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। তিনিও এ সমস্যায় পড়েছেন। রাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না। তিনি এ অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে দিন-রাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দিন-রাতের চিকিৎসাসেবায় বিস্তর ফারাক। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাতে চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়ের সংকট তীব্র। দিনের প্রথম প্রহরে একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলেও রাত নামলে ভরসা ইন্টার্ন চিকিৎসক। রোগীর স্বজনেরা এ অবস্থার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েন। মেঝে দখল করে রাতভর হাসপাতালেই থেকে যান।
এ নিয়ে সিটি মেয়রের উপস্থিতিতেই হাসপাতালের পরিচালক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কিছুদিন আগে। তিনি সিনিয়র চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিকিৎসকদের চিঠি দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ইনডোর সেবা দিতে বলা হলেও তা মানছেন না কেউ।
গত সপ্তাহে হাসপাতালের ডি ব্লকে ভর্তি এক রোগীকে ইনসুলিন দেওয়ার কথা ছিল। রাত সাড়ে ৯টার পর নার্সদের বলা হলেও তাঁরা বলেন, এটা রোগীর স্বজনেরাই দেবেন। একই ওয়ার্ডে একজন রোগীর হাতের ক্যানুলা খুলে দেওয়ার জন্য চিকিৎসক বললেও নার্স পরে উধাও হয়ে যান। একই অবস্থা মেডিসিন ১ বিভাগের বেলায়ও। হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে সংকট আরও প্রবল। সেখানকার একাধিক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, দিনে একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসতেও পারেন। রাতে আর দেখা মেলে না। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়ে কোনোরকমে রাত পার করা হয়। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই হাসপাতালে।
গত ১১ জুন রাতে এক কলেজছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘাত আর বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হাসপাতালে আসেন। ওই সময় শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা হাসপাতালে না আসার বিষয়টি মেয়রকে জানান। একই অভিযোগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সারা রাত ইন্টার্নরাই হাসপাতালের শেষ ভরসা। মেয়র এ সময় এ ধরনের অভিযোগ স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভায় উত্থাপনের পরামর্শ দেন।
এদিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়দের দায়িত্বে অবহেলা চরমে পৌঁছেছে। রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, রাত-দিন ওয়ার্ডবয়রা ট্রলি-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকেন। রোগী আনলেই দু-তিন শ টাকা দিতে হয়। রাতে অবশ্য টাকার অঙ্ক বেড়ে যায়।
এসব বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কয়েক মাস আগে সকালে ও সন্ধ্যায় সব অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকদের হাসপাতালে এসে নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই চিঠির পর কয়েকজন চিকিৎসক এলেও পরবর্তী সময়ে আর এ নিয়ম কেউ মানছেন না। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা হাসপাতালমুখী না হলে এই অবস্থা কটিয়ে ওঠা কঠিন। সবার আগে প্রয়োজন রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের চাপ কমানো। এ জন্য নতুন ভবন চালুর চেষ্টাও চলছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংগঠন মৈত্রী ভলান্টিয়ার্সের সমন্বয়ক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু জানান, রাতে সেবা পায় না রোগী। কেবল দু-একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক থাকেন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। তিনিও এ সমস্যায় পড়েছেন। রাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না। তিনি এ অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে দিন-রাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে